মালদা, 12 জুন : কোরোনা মোকাবিলায় হলুদ মিশ্রিত দুধের উপর ভরসা করছে পুলিশ ৷ সঙ্গে সারাদিনে দোসর গরম জল আর গ্রিন টি ৷ কোরোনা সংক্রমণ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে এসব নিয়ে একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছেন পুলিশ সুপার ৷ সেই নির্দেশিকা জেলার প্রতিটি থানায় পাঠানো হয়েছে ৷ আজ থেকেই এই নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, শুধু পুলিশকর্মী নয়, ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্যও এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷
পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া আজ বলেন, "আমরা সবসময় চেষ্টা করি যাতে কোনও পুলিশকর্মী কোরোনায় সংক্রমিত না হয়ে পড়েন ৷ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বারবার জানাচ্ছেন, কোরোনাকে প্রতিহত করতে হলে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে ৷ আমরা ICMR, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গাইডলাইন মেনে এই জেলার পুলিশকর্মীদের জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি ৷ তার মধ্যে রয়েছে গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া, গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া, হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়া, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাওয়া প্রভৃতি ৷ ইতিমধ্যেই আমরা হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পুলিশকর্মীদের মধ্যে বিতরণ করেছি ৷ সিভিক ভলান্টিয়ারদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ৷ তাঁদেরও আমরা সমস্ত কিছু সরবরাহ করছি ৷"
গত 10 জুন পুলিশ সুপারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোরোনা মোকাবিলায় প্রত্যেক পুলিশ ও সিভিককর্মীকে দিনে বেশ কয়েকবার গরম জল খেতে হবে ৷ তুলসি, দারুচিনি, গোলমরিচ, আদা ও কিসমিস মিশ্রিত গ্রিন টি দিনে এক থেকে দু’বার পান করতে হবে ৷ একইভাবে দিনে এক-দু’বার আধা চামচ হলুদ মিশিয়ে 150 মিলিলিটার দুধ পান করতে হবে ৷ জেলা পুলিশ লাইনে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর হলুদ মিশ্রিত দুধ পুলিশকর্মীদের দেওয়া হবে ৷ থানা ও ফাঁড়িগুলিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা সেই দায়িত্ব পালন করবেন ৷ এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সবাইকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্সেনিক অ্যালবা 30 কিংবা আয়ুর্বেদিক আয়ুষ কাত্থ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশকর্মীদের একাংশের দাবি, উত্তরবঙ্গে একমাত্র এই জেলাতেই কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোরোনা মোকাবিলায় পুলিশ ও সিভিককর্মীদের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷