মালদা, 11 অক্টোবর: রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন এক মহিলা ৷ গাঁজা পাচারের (Ganja Smuggling) অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে, যে গাড়িতে গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ, তার চালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Malda Police) ৷ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) গাজোল টোল প্লাজা (Gazole Toll Plaza) সংলগ্ন এলাকায় ৷ তবে শেষ খবর অনুযায়ী, এ নিয়ে জেলা পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ৷
গাজোল থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তাদের কাছে গাঁজা পাচারের তথ্য আসে ৷ বলা হয়, উত্তরবঙ্গ থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা একটি গাড়িতে করে দক্ষিণবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ওই গাড়িটিকে পাকড়াও করতে গাজোল টোল প্লাজার কাছে নজরদারিতে মোতায়েন করা হয় পুলিশকর্মীদের ৷ পরে গাড়িটি হতেই চালককে থামতে বলা হয় ৷ এরপর ওই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় গাঁজার 10টি প্যাকেট ৷
আরও পড়ুন: লাউদোহার জঙ্গল থেকে 20 কেজি গাঁজা-সহ ধৃত দুই
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ডিএসপি (আইনশৃঙ্খলা) আজহারউদ্দিন খান এবং সহকারী বিডিও দেবব্রত ঘোষ ৷ 10টি প্যাকেট থেকে মোট 72 কেজি 700 গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয় ৷ গ্রেফতার করা হয় ওই গাড়িতে থাকা মহিলা ও চালককে ৷ ধৃত মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর নাম রত্না সরকার (35) ৷ বাড়ি কোচবিহারের মাথাভাঙা থানার নিশিগঞ্জ এলাকায় ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির চালক মহম্মদ সালামকেও ৷ ধৃত চালকের বাড়ি আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানার এথেলবাড়ি এলাকায় ৷ তবে এ নিয়ে জেলা পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ৷ যদিও পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজার প্যাকেটগুলি কোচবিহার থেকে রানাঘাট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷
ধৃত মহিলার দাবি, উদ্ধার হওয়া ওই গাঁজা রানাঘাটের একটি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়াই ছিল তাঁর দায়িত্ব ৷ এই কাজের জন্য তাঁকে 5 হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ৷ মহিলা জানিয়েছেন, আগে তাঁর স্বামী এই কাজ করতেন ৷ এখন তিনি জেলে রয়েছেন ৷ তাই স্বামীর বদলে তিনিই কাজে নেমেছেন ৷ মহিলার যুক্তি, তিনি আর কোনও কাজ করতে পারেন না ৷ এদিকে, বাড়িতে তাঁর এক ছেলে রয়েছে ৷ তাই পেট চালাতে এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷