মালদা, 5 এপ্রিল : লকডাউনের মাঝে বাজারে আসা মানুষদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করল জেলা বণিকসভা ৷ পাশাপাশি বাজারে ভিড় না করার বার্তাও দিতে দেখা গেল তাদের ৷ আজ সকালে রথবাড়ি মোড়ে এই স্ক্রিনিং ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স ৷ ছিলেন চিকিৎসকরাও ৷ নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সাধারণ মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয় ৷ বিলি করা হয় মাস্কও ৷ সবার হাত স্যানিটাইজ়ার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয় ৷ অনেকেই সেই ক্যাম্পে হাজির হয় ৷


প্রশাসন বাজারের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় সকালের দিকে বাজারে ভিড় অন্য সময়ের তুলনায় বেশি থাকে । আজও সেখানে সেই ছবি দেখা গেছে ৷ প্রতিদিনের মতো পুলিশ আজও বাজারে উপস্থিত সবাইকে সতর্ক করেছে ৷ কিন্তু কোনও কিছুতেই যেন ভিড় সামাল দেওয়া যায়নি ৷ একারণেই আজ মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের পক্ষ থেকে রথবাড়ি মোড়ে একটি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয় ৷ ক্যাম্পে ছিলেন "বঙ্গরত্ন" দ্বিগিন্দ্রনাথ সরকার সহ কয়েকজন চিকিৎসক ৷ ক্যাম্পের সামনে 1 মিটার দূরে দূরে চক-দণ্ডী কেটে দেওয়া হয় ৷ বাজারে আসা অনেকেই সেখানে নিজেদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করান ৷ অনেক পুলিশকর্মীও পরীক্ষা করান ৷

বণিকসভার জেলা সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "সৌভাগ্যের বিষয় যে এখনও পর্যন্ত মালদা জেলায় একজনের শরীরেও কোরোনা ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি ৷ কিন্তু কোরোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে ৷ অনেক আবেদনের পরেও মালদার বাসিন্দারা বাজার-হাটে সামাজিক দূরত্ব মানছে না ৷ রীতিমতো জমায়েত করে বাজার করতে দেখা যাচ্ছে অনেককে ৷ এটা সত্যিই বিপজ্জনক ৷ আমরা আজও মানুষকে সতর্ক করেছি ৷ আমরা প্রায় 1200টি মাস্ক মানুষের মধ্যে বিলি করেছি ৷ কারণ, এখন বাজারে মাস্কের অভাব ৷ ওষুধের দোকানগুলিতেও মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না ৷ ফলে অনেকেই মুখ খোলা রেখে বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছে ৷ তার উপর এখন হাসপাতালগুলিতেও প্রচণ্ড ভিড় ৷ সাধারণ জ্বর কিংবা সর্দি-কাশি নিয়ে মানুষ সেখানে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে ৷ দীর্ঘক্ষণ সময় লাগছে ৷ সেকারণে আজ আমরা থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও করেছিলাম ৷ যদি কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা ছিল অ্যাম্বুলেন্সেরও ৷ আমরা আগামীতেও এভাবে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাব ৷ "