ETV Bharat / state

Malda Swasthya Sathi Card problem: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না চিকিৎসা, মুখ ফিরিয়েছে প্রশাসনও ! মৃত্যুশয্যায় যুবক

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেও (Malda Swasthya Sathi Card problem) মিলছে না চিকিৎসা ৷ প্রশাসনও মুখ ফিরিয়েছে বলে অভিযোগ ৷ মৃত্যুশয্যায় মালদার (Malda news) হাসান আলি ৷ সরকারি সাহায্যের আশায় তাঁর পরিবার ৷

malda-man-does-not-getting-treatment-from-swasthya-sathi-card
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না চিকিৎসা, মুখ ফিরিয়েছে প্রশাসনও ! মৃত্যুশয্যায় যুবক
author img

By

Published : Feb 3, 2022, 8:47 PM IST

মালদা, 3 ফেব্রুয়ারি: একটি কিডনি আগেই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে । আরেকটিও নষ্টের পথে । উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন । হাতে রয়েছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Malda Swasthya Sathi Card problem)। কিন্তু তাতে নাকি চিকিৎসার সুযোগ মিলছে না । স্বামীকে সুস্থ করে তুলতে বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে ছুটে গিয়েছেন স্ত্রী । অভিযোগ, আশ্বাস ছাড়া কিছু জোটেনি । এ দিকে, তাঁর অসুস্থ স্বামী কাজ করতে না পারায় ভিক্ষাবৃত্তি করে পেট ভরছে পরিবারের চারজনের । নিরুপায় হয়ে সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন 30 বছর বয়সি যুবক ও তাঁর স্ত্রী (Malda man does not getting treatment from swasthya sathi card)।

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই কাউয়ামারি গ্রাম (Malda news)। ওই গ্রামে জন্ম হাসান আলির । অভাবের সংসারে পড়াশোনা বিশেষ এগোয়নি । তাই খুব কম বয়স থেকেই শ্রমিকের কাজে নেমে পড়েন । বছর বারো আগে বিয়েও করেন । বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সমস্যা ধরা পড়ে হাসানের শরীরে । প্রথমে জ্বর, তারপর নানাবিধ উপসর্গ । স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান । পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসান কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ।

হাতে যা টাকা-পয়সা ছিল তা দিয়ে দিন কয়েক চিকিৎসা হয়েছিল । কিন্তু টাকার অভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চিকিৎসা বন্ধ । এ দিকে এরই মধ্যে দুই ছেলের জন্ম হয়েছে । বড়টির বয়স পাঁচ বছর, ছোটটির মাত্র দুই । ফলে এখন চিকিৎসা করানোর থেকে স্ত্রী-ছেলেদের পেটে দানাপানি যোগানোই বড় চিন্তা হাসানের । তাই বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি ।

আরও পড়ুন: Swasthya Sathi Card Fraud : স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার নামে দুর্নীতির অভিযোগ, কাঠগড়ায় উপপ্রধান

হাসান জানাচ্ছেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমার দুটি কিডনিই খারাপ । বাড়িতে শুয়ে মৃত্যুর দিন গুনছি । চিকিৎসার জন্য পঞ্চায়েত প্রধান, বিধায়ক, মন্ত্রী-সহ সবার কাছে গিয়েছি । কেউ কোনও সাহায্য করেননি । আমার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে । কিন্তু সেটা কোনও কাজের নয় ।”

হাসানের স্ত্রী মুসলেমা খাতুন আক্ষেপ করে জানালেন, “10 বছর ধরে স্বামী অসুস্থ । গ্রামবাসীরাই আমাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করছেন । কিন্তু প্রধান কিংবা অন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আমরা কোনও সাহায্য পাইনি । স্বামীকে সুস্থ করতে আমি সবার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি ।”

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না চিকিৎসা, মুখ ফিরিয়েছে প্রশাসনও! মৃত্যুশয্যায় যুবক

আরও পড়ুন : Swasthya Sathi Case in High Court: কীভাবে ব্যয়বহুল স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা দিচ্ছে রাজ্য, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

হাসান ও তাঁর পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল প্রতিবেশী ইসমাইল । তিনি বললেন, “হাসান মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে । চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য অনেকের কাছে গিয়েছে । বিধায়কের কাছেও গিয়েছে । কিন্তু বিধায়ক তো শুধু রাজনীতি করতেই ব্যস্ত ।”

হাসানের বিষয়ে জানেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তজমুল হোসেনও । এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলে ওঠেন, “কাউয়ামারি গ্রামের ওই ছেলেটির অসুস্থতার খবর আমরা শুনেছি । বিডিওর সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে যতটা সাহায্য করা যায় তার ব্যবস্থা করব । স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কেন তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে না জানি না । সেই বিষয়টি নিয়েও বিডিওর সঙ্গে কথা বলব ।”

মালদা, 3 ফেব্রুয়ারি: একটি কিডনি আগেই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে । আরেকটিও নষ্টের পথে । উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন । হাতে রয়েছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Malda Swasthya Sathi Card problem)। কিন্তু তাতে নাকি চিকিৎসার সুযোগ মিলছে না । স্বামীকে সুস্থ করে তুলতে বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে ছুটে গিয়েছেন স্ত্রী । অভিযোগ, আশ্বাস ছাড়া কিছু জোটেনি । এ দিকে, তাঁর অসুস্থ স্বামী কাজ করতে না পারায় ভিক্ষাবৃত্তি করে পেট ভরছে পরিবারের চারজনের । নিরুপায় হয়ে সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন 30 বছর বয়সি যুবক ও তাঁর স্ত্রী (Malda man does not getting treatment from swasthya sathi card)।

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই কাউয়ামারি গ্রাম (Malda news)। ওই গ্রামে জন্ম হাসান আলির । অভাবের সংসারে পড়াশোনা বিশেষ এগোয়নি । তাই খুব কম বয়স থেকেই শ্রমিকের কাজে নেমে পড়েন । বছর বারো আগে বিয়েও করেন । বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সমস্যা ধরা পড়ে হাসানের শরীরে । প্রথমে জ্বর, তারপর নানাবিধ উপসর্গ । স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান । পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসান কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ।

হাতে যা টাকা-পয়সা ছিল তা দিয়ে দিন কয়েক চিকিৎসা হয়েছিল । কিন্তু টাকার অভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চিকিৎসা বন্ধ । এ দিকে এরই মধ্যে দুই ছেলের জন্ম হয়েছে । বড়টির বয়স পাঁচ বছর, ছোটটির মাত্র দুই । ফলে এখন চিকিৎসা করানোর থেকে স্ত্রী-ছেলেদের পেটে দানাপানি যোগানোই বড় চিন্তা হাসানের । তাই বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি ।

আরও পড়ুন: Swasthya Sathi Card Fraud : স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার নামে দুর্নীতির অভিযোগ, কাঠগড়ায় উপপ্রধান

হাসান জানাচ্ছেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমার দুটি কিডনিই খারাপ । বাড়িতে শুয়ে মৃত্যুর দিন গুনছি । চিকিৎসার জন্য পঞ্চায়েত প্রধান, বিধায়ক, মন্ত্রী-সহ সবার কাছে গিয়েছি । কেউ কোনও সাহায্য করেননি । আমার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে । কিন্তু সেটা কোনও কাজের নয় ।”

হাসানের স্ত্রী মুসলেমা খাতুন আক্ষেপ করে জানালেন, “10 বছর ধরে স্বামী অসুস্থ । গ্রামবাসীরাই আমাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করছেন । কিন্তু প্রধান কিংবা অন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আমরা কোনও সাহায্য পাইনি । স্বামীকে সুস্থ করতে আমি সবার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি ।”

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না চিকিৎসা, মুখ ফিরিয়েছে প্রশাসনও! মৃত্যুশয্যায় যুবক

আরও পড়ুন : Swasthya Sathi Case in High Court: কীভাবে ব্যয়বহুল স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা দিচ্ছে রাজ্য, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

হাসান ও তাঁর পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল প্রতিবেশী ইসমাইল । তিনি বললেন, “হাসান মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে । চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য অনেকের কাছে গিয়েছে । বিধায়কের কাছেও গিয়েছে । কিন্তু বিধায়ক তো শুধু রাজনীতি করতেই ব্যস্ত ।”

হাসানের বিষয়ে জানেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তজমুল হোসেনও । এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলে ওঠেন, “কাউয়ামারি গ্রামের ওই ছেলেটির অসুস্থতার খবর আমরা শুনেছি । বিডিওর সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে যতটা সাহায্য করা যায় তার ব্যবস্থা করব । স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কেন তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে না জানি না । সেই বিষয়টি নিয়েও বিডিওর সঙ্গে কথা বলব ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.