ETV Bharat / state

Higher Secondary Examination: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তায় এক ঘণ্টা দেরিতে পরীক্ষায় বসলেন চিকিৎসাধীন পরীক্ষার্থী - চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরে নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা দশ মিনিট পর পরীক্ষা দিতে পারলেন এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ চাঁচলের দরিয়াপুর হাইস্কুলের ছাত্রী সুমি পারভিন ৷

Etv Bharat
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
author img

By

Published : Mar 14, 2023, 8:05 PM IST

চিকিৎসাধীন পরীক্ষার্থী

মালদা, 14 মার্চ: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরে নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা দশ মিনিট পর পরীক্ষায় বসলেন এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ পরিবারের অভিযোগ, নিজেদের দোষ ঢাকতে পরীক্ষা চলাকালীনই চিকিৎসাধীন ওই পরীক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণে স্তম্ভিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (HS Exam) দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকও ৷

ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Super Specialty Hospital) ৷ পরীক্ষার্থীর নাম সুমি পারভিন ৷ বয়স 18 বছর ৷ তিনি চাঁচলের দরিয়াপুর হাইস্কুলের ছাত্রী ৷ পরীক্ষার সিট পড়েছিল কলিগ্রাম হাইস্কুলে ৷ পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে বিয়ে হয়ে যায় সুমির ৷ অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন তিনি ৷ কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হওয়ায় সুমিকে চাঁচল সুপার স্পেশালিট হাসপাতালে ভর্তি করে দেন পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, সুমি যে হাসপাতালে বসেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৷

কিন্তু অভিযোগ, তার জন্য যে নিয়ম অনুসরণ করা প্রয়োজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি ৷ মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও চিকিৎসাধীন সুমি সঠিক সময়ে হাতে প্রশ্নপত্র পাননি বলে অভিযোগ (candidate received question paper one hour late) ৷ শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ৷ হাসপাতালেই সুমির পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ৷ সুমির হাতেও প্রশ্নপত্রও তুলে দেওয়া হয় ৷ তবে ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটায় বেজে গিয়েছে 11.10 ৷

সুমির দাদা বাঁটুল শেখ জানিয়েছেন, রবিবার পেটে যন্ত্রণা নিয়ে সুমিকে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ হাসপাতালেই ওর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য পরিচিত আরিফ স্যরকে জানালে তিনিও আশ্বস্ত করেন ৷ কিন্তু মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টায় হাসপাতালে এসে দেখেন কোনও স্টাফ তখনও অফিসে আসেননি৷ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও লাভ হয়নি৷ ততক্ষণে স্কুল কর্তৃপক্ষ সুমির প্রশ্নপত্র নিয়ে হাজির হয়ে যান ৷ তারা জানিয়ে দেন, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট লাগবে ৷ চিকিৎসককে লিখিতভাবে জানাতে হবে, সুমি পরীক্ষা দিতে পারবে ৷ নইলে আইন অনুযায়ী তাঁকে প্রশ্নপত্র দেওয়া যাবে না ৷ অন্যদিকে, তখনই হাসপাতাল থেকে সুমিকে ডিসচার্জও করে দেওয়া হয় ৷ সুমির দাদা প্রশ্ন তুলেছেন, পরীক্ষা চলাকালীন কীভাবে সুমিকে ডিসচার্জ করা হল ? স্বাস্থ্যভবন এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলে দাবি তাঁর ৷

আরও পড়ুন: শুরু হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিরেক্টরের ব্যবস্থা

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল সুপার আজহারউদ্দিন আহমেদ ৷ তবে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভাইসরি বোর্ডের সদস্য আফসার হোসেন সরকার জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন সুমির পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ রোগীর পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝিতে ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে দেরি হয়েছে ৷ তবে পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত তিরিশ মিনিট সময় দেওয়া হয় ৷

চিকিৎসাধীন পরীক্ষার্থী

মালদা, 14 মার্চ: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরে নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা দশ মিনিট পর পরীক্ষায় বসলেন এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ পরিবারের অভিযোগ, নিজেদের দোষ ঢাকতে পরীক্ষা চলাকালীনই চিকিৎসাধীন ওই পরীক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণে স্তম্ভিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (HS Exam) দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকও ৷

ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Super Specialty Hospital) ৷ পরীক্ষার্থীর নাম সুমি পারভিন ৷ বয়স 18 বছর ৷ তিনি চাঁচলের দরিয়াপুর হাইস্কুলের ছাত্রী ৷ পরীক্ষার সিট পড়েছিল কলিগ্রাম হাইস্কুলে ৷ পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে বিয়ে হয়ে যায় সুমির ৷ অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন তিনি ৷ কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হওয়ায় সুমিকে চাঁচল সুপার স্পেশালিট হাসপাতালে ভর্তি করে দেন পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, সুমি যে হাসপাতালে বসেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৷

কিন্তু অভিযোগ, তার জন্য যে নিয়ম অনুসরণ করা প্রয়োজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি ৷ মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও চিকিৎসাধীন সুমি সঠিক সময়ে হাতে প্রশ্নপত্র পাননি বলে অভিযোগ (candidate received question paper one hour late) ৷ শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ৷ হাসপাতালেই সুমির পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ৷ সুমির হাতেও প্রশ্নপত্রও তুলে দেওয়া হয় ৷ তবে ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটায় বেজে গিয়েছে 11.10 ৷

সুমির দাদা বাঁটুল শেখ জানিয়েছেন, রবিবার পেটে যন্ত্রণা নিয়ে সুমিকে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ হাসপাতালেই ওর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য পরিচিত আরিফ স্যরকে জানালে তিনিও আশ্বস্ত করেন ৷ কিন্তু মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টায় হাসপাতালে এসে দেখেন কোনও স্টাফ তখনও অফিসে আসেননি৷ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও লাভ হয়নি৷ ততক্ষণে স্কুল কর্তৃপক্ষ সুমির প্রশ্নপত্র নিয়ে হাজির হয়ে যান ৷ তারা জানিয়ে দেন, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট লাগবে ৷ চিকিৎসককে লিখিতভাবে জানাতে হবে, সুমি পরীক্ষা দিতে পারবে ৷ নইলে আইন অনুযায়ী তাঁকে প্রশ্নপত্র দেওয়া যাবে না ৷ অন্যদিকে, তখনই হাসপাতাল থেকে সুমিকে ডিসচার্জও করে দেওয়া হয় ৷ সুমির দাদা প্রশ্ন তুলেছেন, পরীক্ষা চলাকালীন কীভাবে সুমিকে ডিসচার্জ করা হল ? স্বাস্থ্যভবন এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলে দাবি তাঁর ৷

আরও পড়ুন: শুরু হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিরেক্টরের ব্যবস্থা

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল সুপার আজহারউদ্দিন আহমেদ ৷ তবে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভাইসরি বোর্ডের সদস্য আফসার হোসেন সরকার জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন সুমির পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ রোগীর পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝিতে ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে দেরি হয়েছে ৷ তবে পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত তিরিশ মিনিট সময় দেওয়া হয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.