মালদা, 14 ডিসেম্বর : দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ওমিক্রন ৷ রাজ্যে এখনও করোনা ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট হানা না দিলেও সতর্ক প্রশাসন ৷ করোনা প্রতিরোধে টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে ৷ অথচ মালদা জেলার একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে করোনার দ্বিতীয় টিকা নেওয়ায় অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সময় হয়ে গেলেও সোমবার পর্যন্ত মালদা জেলার প্রায় 4 লক্ষ 13 হাজার মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি। তাই জেলার মানুষকে সচেতন করতে এবং জেলার প্রতিটি মানুষকে সম্পূর্ণ টিকাকরণের আওতায় আনতে এবার 'টিকা এক্সপ্রেস' চালু করতে চলেছে মালদা জেলা স্বাস্থ্য দফতর (Malda health department will run 'Tika Express' to speed up in vaccination process)। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকেই টিকা এক্সপ্রেস জেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষকে করোনার টিকা দেবে।
মালদা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জেলার মোট 29 লক্ষ 53 হাজার 308 জনকে করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে 25 লক্ষ 40 হাজার 191 জনকে। অর্থাৎ জেলার প্রায় 86 শতাংশ বাসিন্দা করোনার প্রথম টিকা পেয়েছেন। কিন্তু দুটি ডোজ নিয়েছেন মাত্র 9 লক্ষ 72 হাজার 349 জন। সুতরাং, মাত্র 33 শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। সোমবার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ বকেয়া থাকা 4 লক্ষ 13 হাজার মানুষ টিকা নিতে আসেননি। সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁরা কেন দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন না, তা নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্যকর্তারা।
জেলার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান, প্রথম থেকেই জেলায় করোনা টিকাকরণ যথেষ্ট উৎসাহের সঙ্গে চলছে। 18 বছরের বেশি বয়সী 29 লক্ষ 53 হাজার 308 জন উপভোক্তা রয়েছেন এই জেলায়। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় 25 লাখ 40 মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে পেরেছি। তবে এই জেলার বেশ কিছু মানুষ ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। সে কারণে আমরা জেলার 32.9 শতাংশ মানুষকে দু'টি ডোজের আওতায় আনতে পেরেছি। তবে একটা বড় সংখ্যক মানুষের এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় আসেনি। কারণ, একটা সময় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে দু'টি ডোজের ব্যবধান 28 দিন থেকে বাড়িয়ে 84 দিন করা হয়।
আরও পড়ুন : Mamata on chopper crash : কপ্টার দুর্ঘটনার কবলে রাওয়াত, মাঝপথেই প্রশাসনিক বৈঠক থামিয়ে দিলেন মমতা
হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর, গাজোল, কালিয়াচক 1 ও 3 নম্বর, হবিবপুর প্রভৃতি ব্লকে দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ ভাল গতি পায়নি বলে জানান সব্যসাচী বাবু। সমস্ত এলাকার মানুষকে দু'টি ডোজের আওতায় আনতেই 'টিকা এক্সপ্রেসে'র ব্যবস্থা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, "বিশেষ ধরনের গাড়িতে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বুধবার থেকে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ও গাজোল ব্লকে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এই গাড়ির নাম হচ্ছে 'টিকা এক্সপ্রেস'। সেই গাড়িতে ভ্যাকসিন নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামেগঞ্জে পৌঁছে যাবেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় তাঁরা মানুষকে করোনার টিকা দেবেন। এই কর্মসূচিতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আমাদের সহযোগিতা করছে।”