মালদা, 10 অক্টোবর: একসময় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে ইংরেজবাজার থানায় কর্মরত ছিলেন ৷ কিন্তু পদের অপব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল ৷ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ তা নিয়েই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি ৷ অবশেষে লক্ষ্মীপুজোর রাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic volunteer Died By Suicide) ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুলিশমহলে ৷ এখনও পর্যন্ত অবশ্য পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷
আত্মঘাতী প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মনোজ সরকার ৷ বয়স 33 বছর ৷ বাড়ি ইংরেজবাজার থানার সাট্টারি গ্রামে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর জ্যেঠুর ছেলে দিলীপ সরকারের জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল ৷ দু’জনের বাড়িও পাশাপাশি ৷ দিলীপবাবু সরকারি কর্মী ৷ তিনি জেলাশাসকের দফতরে কর্মরত ৷ অভিযোগ, নিজে সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ার সুবাদে মনোজ তাঁর দাদাকে মাঝেমধ্যেই মিথ্যে মামলায় জেলে দেওয়ার হুমকি দিতেন ৷ এমনকি তিনি নাকি বেশ কয়েকবার দাদার বাড়িতে ঢুকে ঝামেলাও করেন ৷ এনিয়ে ইংরেজবাজার থানায় তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান দিলীপবাবু ৷ তাঁর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মনোজকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় ৷ তখন থেকেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ৷ গতকাল রাতে বাড়িতে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি ৷ খবর পেয়ে সোমবার ভোরে পুলিশ ঝুলন্ত মনোজকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷
আরও পড়ুন: স্বামীর উপর অভিমান ! মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী মা
মালদা মেডিক্যালে ছেলের মৃতদেহ জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা মা রীতা সরকার কোনওক্রমে জানান, "পাশের বাড়ির সঙ্গে জায়গা নিয়ে আমাদের ঝামেলা চলছিল ৷ ছেলে ইংরেজবাজার থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত ৷ সাহাপুর ব্রিজে ডিউটি করত৷ কাজ চলে যাওয়ার পর হাতে টাকাপয়সা ছিল না ৷ খুব দুশ্চিন্তায় ছিল ৷ এরই মধ্যে ক’দিন আগে ওকে বেধড়ক মারধর করে আমার ভাসুরের ছেলে আর তার বাড়ির লোকজন ৷ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ছেলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ৷"