মালদা, 16 মে : একের পর এক পাতা হচ্ছে কীটনাশকের দোকান। গুদাম ঘর ভাড়া নিয়ে মজুত করা হচ্ছে কীটনাশক। কীটনাশক থেকে এলাকায় ছড়াচ্ছে দূষণ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন ঘটনা ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রান্তপল্লীর (malda district administration visit english bazar prantapally) ।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ নিয়ে একাধিকবার কীটনাশক বিক্রেতাদের জানিয়েছেন। অভিযোগ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনেও। অবশেষে সোমবার অভিযোগ পেয়ে ওই এলাকায় তদন্তে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী। সঙ্গে ছিল স্বাস্থ্যদফতর ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা পুরো এলাকা খতিয়ে দেখেন। যদিও এ নিয়ে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা রূপম কর্মকার বলেন, "এই এলাকায় একের পর এক কীটনাশকের দোকান করা হচ্ছে। কীটনাশক মজুত করার ফলে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এলাকার বেশিরভাগ লোকের চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। হার্টের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। এ নিয়ে আমরা কীটনাশক বিক্রেতাদের দোকান জনবসতি এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু তাঁরা কর্ণপাত করেননি। উলটে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন বিক্রেতারা।"
তিনি আরও বলেন, "প্রশাসন এই বিক্রেতাদের জনবসতি থেকে দূরে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এরা জনবসতি এলাকায় ব্যবসা করছে। বাধ্য হয়ে আমরা প্রশাসনের কাছেও মার্চ পিটিশন করি। অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক, দূষণ নিয়ন্ত্রণ দফতর থেকে আধিকারিকরা এসেছিলেন। ওনারা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।"
আরও পড়ুন : বিধাননগরে প্লাস্টিক বর্জন অভিযানে পৌরনিগম, হানা বিভিন্ন বাজারে
এক কীটনাশক বিক্রেতা বাসুদেব দাস বলেন, "প্রায় বছর কুড়ি ধরে আমরা দোকান করছি। আজ পর্যন্ত আমাদের কেউ দূষণ কিংবা অন্য কোনও অভিযোগ করেননি। 20 বছর ধরে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। আজ হঠাৎ কেন এই অভিযোগ বুঝতে পারছি না।" ঘটনাপ্রসঙ্গে, মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "কিছুদিন আগে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা করি। 5 মে-র মধ্যে ওনাদের দোকান সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কোনও কারণে হয়তো এখনও দোকান সরানো হয়নি। যদি ওনারা দোকান সরিয়ে না নেন তবে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক। তাতে চেম্বার অব কমার্সের কোনও আপত্তি থাকবে না।"