মালদা, 8 মার্চ : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে অপরিশোধিত তেলের দামে । বিশ্ব বাজারে ক্রমশ বাড়ছে ক্রড অয়েলের দাম । সেই দাম ঘোরাফেরা করছে ব্যারেল প্রতি 125 মার্কিন ডলারের আশেপাশে । ভারতে এখনও দাম বাড়েনি বটে, কিন্তু যে কোনও সময় পেট্রোপণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা (Crude Oil Price Hike) ।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের একাংশের মতে, পাঁচটি রাজ্যে ভোটের দিকে তাকিয়ে কেন্দ্র এখনও পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ায়নি । গতকালই শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া । কখন পেট্রোল-ডিজেল আর রান্নার গ্যাসের দাম বাড়বে তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে সবাই । তাদের অনুমান, যুদ্ধের জন্য একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে পেট্রোপণ্যের দাম ।
ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে ফের চড়চড় করে দাম বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের । ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা । তবে তার জন্য এখনও মালদা শহরের পেট্রোল পাম্পগুলিতে সেভাবে ক্রেতাদের তেল মজুত করতে দেখা যায়নি । শহরের একটি পেট্রোল পাম্পে বাইকে তেল ভরতে এসেছিলেন জয় পাল। তিনি বলেন, "যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেলের দাম বাড়বেই। যুদ্ধ বলে নয়, গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে তেলের দাম বেড়েছে, তাতে আমাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। আমরা চাইছি, আর দাম না বাড়িয়ে এবার তেলের দাম কিছুটা কমানো হোক ।"
আরও পড়ুন : Mid-Day Meal Robbery : তালা ভাঙে গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলের চাল চুরি
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে শহরের রাস্তায় আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে যানবাহন। বলছিলেন নর্থ বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জোনাল চেয়ারম্যান অমিতকুমার পাল। তিনি বলেন, "আমরা শুনছি, তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। এমনিতেই গাড়ির সংখ্যা কমে যাওয়ায় আমাদের সমস্যা বেড়েছে। এখন রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা আগের থেকে 50-60 শতাংশ কমে গিয়েছে। মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছে না। এর ওপর তেলের দাম আরও বাড়লে আমরা কীভাবে তেল তুলব জানি না। তাই আমাদের বিষয়টিও সরকারের দেখা উচিত ৷"