ETV Bharat / state

Malda Administration: মালদায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বিশেষভাবে সক্ষমদের শংসাপত্র দিচ্ছে প্রশাসন - লদায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশেষভাবে সক্ষমদের শংসাপত্র দিচ্ছে প্রশাসন

বিশেষভাবে সক্ষমদের বাড়ি-বাড়ি দৌড়ে যাচ্ছেন সপার্ষদ বিডিও। সেই মানুষগুলোর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলছেন খোদ জেলাশাসক। তাদের বাড়িতে গিয়ে দেওয়া হচ্ছে সার্টিফিকেট (Malda Administration Giving Certificates to Physically Challenged)। ফোন করে জেলাশাসক, বিডিওকে নির্দেশ দিচ্ছেন, খুব দ্রুত যেন বিশেষভাবে সক্ষমদের ভাতা চালু করা হয়।

Malda Administration
বিশেষভাবে সক্ষমদের চিহ্নিতকরণ শিবির
author img

By

Published : Jul 8, 2022, 9:04 PM IST

মালদা, 8 জুলাই: এহেন ছবি মালদায় এর আগে কি আগে দেখা যেত ? তা হয়তো নয় ৷ ছবিটা ছিল ঠিক এরকম ৷ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য় বিশেষভাবে সক্ষমা বা তাদের পরিবারের লোকজনদের প্রশাসনের দরজায়-দরজায় ঘুরে জুতোর শুকতলা খয়ে যেত ৷ কিন্তু পরিবর্তনের এই ছবি দেখছেন চাঁচলের বাসিন্দারা (Malda Administration Giving Certificates to Physically Challenged)। প্রশাসনের এমন তৎপরতায় তাঁরা ভীষণ খুশি।

চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বসেছিল বিশেষভাবে সক্ষমদের চিহ্নিতকরণ শিবির। হঠাৎ বিডিওর নজরে আসে, এই শিবিরে উপস্থিত হওয়ার জন্য যত ফর্ম জমা পড়েছিল, ততজন আসেননি। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, বিভিন্ন সমস্যায় পরিবারের লোকজন তাঁদের শিবিরে নিয়ে আসতে পারেননি। সঙ্গে-সঙ্গে বিডিও চিকিৎসক ও সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ফর্মে নাম থাকা সকলের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কলিগ্রাম, মতিহারপুর-সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছেন তিনি।

বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বলেন, "যেসব বিশেষভাবে সক্ষমদের ফর্ম জমা পড়ার পরেও শিবিরে আসেননি, তাঁদের সবার বাড়ি গিয়েছি। তাঁরা সবাই সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করে বাড়িতেই শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের বাড়ির লোকের সঙ্গে জেলাশাসক ভিডিয়ো কলে কথা বলে উৎসাহ দিয়েছেন। ওনারা যাতে দ্রুত রাজ্য সরকারের মানবিক ভাতা পান, তার জন্য আজই সমস্ত কাগজপত্র জেলাশাসকের দফতরে পাঠিয়ে দিচ্ছি।"

ফোন করে জেলাশাসক, বিডিওকে নির্দেশ দিচ্ছেন, খুব দ্রুত যেন বিশেষভাবে সক্ষমদের ভাতা চালু করা হয়

আরও পড়ুন : বস্তির শিশুদের দিয়ে রেস্তোরাঁ উদ্বোধন

কলিগ্রামের শহরবাগ এলাকায় ঘরের বারান্দায় বসেছিল পিয়ারজান খান। 15 বছরের এই কিশোর সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। কথাও বলতে পারে না। শুক্রবার তার বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। বাবা মকবুল খানের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছেন জেলাশাসক। মকবুল সাহেব বলেন, "আজ বিডিও, চিকিৎসকরা বাড়িতে এসেছিলেন। জন্ম থেকেই ছেলে কথা বলতে পারে না। আজ তার প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট আমাকে দেওয়া হয়েছে। ফোনে জেলাশাসক বলেছেন, দু'মাসের মধ্যেই ওর ভাতা চালু হয়ে যাবে। খুব ভালো লাগছে।"

মালদা, 8 জুলাই: এহেন ছবি মালদায় এর আগে কি আগে দেখা যেত ? তা হয়তো নয় ৷ ছবিটা ছিল ঠিক এরকম ৷ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য় বিশেষভাবে সক্ষমা বা তাদের পরিবারের লোকজনদের প্রশাসনের দরজায়-দরজায় ঘুরে জুতোর শুকতলা খয়ে যেত ৷ কিন্তু পরিবর্তনের এই ছবি দেখছেন চাঁচলের বাসিন্দারা (Malda Administration Giving Certificates to Physically Challenged)। প্রশাসনের এমন তৎপরতায় তাঁরা ভীষণ খুশি।

চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বসেছিল বিশেষভাবে সক্ষমদের চিহ্নিতকরণ শিবির। হঠাৎ বিডিওর নজরে আসে, এই শিবিরে উপস্থিত হওয়ার জন্য যত ফর্ম জমা পড়েছিল, ততজন আসেননি। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, বিভিন্ন সমস্যায় পরিবারের লোকজন তাঁদের শিবিরে নিয়ে আসতে পারেননি। সঙ্গে-সঙ্গে বিডিও চিকিৎসক ও সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ফর্মে নাম থাকা সকলের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কলিগ্রাম, মতিহারপুর-সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছেন তিনি।

বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বলেন, "যেসব বিশেষভাবে সক্ষমদের ফর্ম জমা পড়ার পরেও শিবিরে আসেননি, তাঁদের সবার বাড়ি গিয়েছি। তাঁরা সবাই সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করে বাড়িতেই শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের বাড়ির লোকের সঙ্গে জেলাশাসক ভিডিয়ো কলে কথা বলে উৎসাহ দিয়েছেন। ওনারা যাতে দ্রুত রাজ্য সরকারের মানবিক ভাতা পান, তার জন্য আজই সমস্ত কাগজপত্র জেলাশাসকের দফতরে পাঠিয়ে দিচ্ছি।"

ফোন করে জেলাশাসক, বিডিওকে নির্দেশ দিচ্ছেন, খুব দ্রুত যেন বিশেষভাবে সক্ষমদের ভাতা চালু করা হয়

আরও পড়ুন : বস্তির শিশুদের দিয়ে রেস্তোরাঁ উদ্বোধন

কলিগ্রামের শহরবাগ এলাকায় ঘরের বারান্দায় বসেছিল পিয়ারজান খান। 15 বছরের এই কিশোর সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। কথাও বলতে পারে না। শুক্রবার তার বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। বাবা মকবুল খানের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছেন জেলাশাসক। মকবুল সাহেব বলেন, "আজ বিডিও, চিকিৎসকরা বাড়িতে এসেছিলেন। জন্ম থেকেই ছেলে কথা বলতে পারে না। আজ তার প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট আমাকে দেওয়া হয়েছে। ফোনে জেলাশাসক বলেছেন, দু'মাসের মধ্যেই ওর ভাতা চালু হয়ে যাবে। খুব ভালো লাগছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.