মালদা, 23 ফেব্রুয়ারি: মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সন্তানের জন্ম দিল এক কিশোরী পরীক্ষার্থী (Madhyamik Candidate gave Birth) ৷ বৃহস্পতিবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদা ৷ এছাড়াও, এদিন সন্তান কোলে মালদা মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পরীক্ষা দিয়েছে আরও দুই ছাত্রী ৷
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023) ৷ এদিন দুপুরে পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় একঘণ্টা পর জহুরাতলা হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা এক ছাত্রীর হঠাৎই প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয় ৷ পরীক্ষকরা দ্রুত বিষয়টি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের জানান ৷ সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্য়ান্সে উঠিয়ে ওই পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিক্য়ালে ৷ দুপুর 2টো 50 মিনিটে সেখানেই সন্তানের জন্ম দেয় ওই ছাত্রী ৷
অন্যদিকে, গত শনিবার প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে মালদা মেডিক্য়ালে ভর্তি হয়েছিল বৈষ্ণবগনরের ভগবানপুর এবিএস হাইস্কুলের আর এক পরীক্ষার্থী ৷ সেদিনই পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় সে ৷ এদিন পুলিশের নিরাপত্তায় হাসপাতালেই পরীক্ষা দেয় সে ৷ এছাড়াও, মালদা মেডিক্য়ালের মাতৃ-মা বিভাগে সন্তান কোলে নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে রতুয়ার বাসিন্দা 16 বছরের আরও এক পরীক্ষার্থী ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থী দেড় মাস আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিল ৷ তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ৷
এদিকে, এদিন সকাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে 'মাঠে নামেন' জেলাশাসক নীতীন সিংঘানিয়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী ও শম্পা হাজরা, অতিরিক্ত পুলিশসুপার আবু বক্কর, শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সৌম্য ঘোষ-সহ অন্যরা ৷ পরীক্ষার্থীর প্রসবযন্ত্রণার খবর পেয়ে আধিকারিকরা ছুটে যান জহুরাতলা হাইস্কুলে ৷ পরিদর্শনের সময়েই জেলাশাসক সংবাদমাধ্যমকে জানান, "সমস্ত ভেন্যুতে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা চলছে ৷ কোথাও কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি ৷ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃ-মা বিভাগে দুই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে ৷ তাদের পরীক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা আগেভাগেই করা হয়েছে ৷ পরীক্ষা চলাকালীন এক পরীক্ষার্থীর প্রসবযন্ত্রণা ওঠে ৷ দ্রুত তাকে মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয় ৷"
আরও পড়ুন: প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে হাসপাতালেই উচ্চমাধ্যমিক, পরীক্ষা শেষে সরস্বতীর কোলে এল কন্যা সন্তান
এদিকে, এই ঘটনায় নানা মহলে প্রশ্ন নানা প্রশ্ন উঠছে ৷ বাল্যবিবাহ ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন ৷ তারপরও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন সমাজকর্মীরা ৷ তথ্য বলছে, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের জেরে জেলায় জেলায় বাল্যবিবাহের হার কিছুটা কমলেও তা সমূলে উৎখাত করা যায়নি ৷ এদিনের এই ঘটনাগুলিই তার প্রমাণ ৷