মালদা, 14 এপ্রিল : বন্যাত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছে বাম-কংগ্রেস । 2017-র এই বন্যাত্রাণে টাকা নয়ছয় নিয়ে মামলা দায়ের করা, ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে আরটিআই করা, বিক্ষোভ প্রদর্শন, সব কিছুই করেছেন নেতৃত্বরা । অবশেষে দু'দলের নেতৃত্বের হাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তুলে দিল হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লক প্রশাসন । এই তালিকা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে । বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ব্লক প্রশাসন পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেনি । এনিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছে দুই দল (Left Front and Congress alleges over incomplete list of 2017 Malda Flood affected) ।
2017 সালে ভয়াবহ বন্যায় উত্তর মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার বহু বাড়ি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায় । আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হন কয়েক হাজার মানুষ । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে 70 হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের 3 হাজার 300 টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় । কিন্তু অভিযোগ ওঠে, এই বন্যাত্রাণ বিলিতে প্রায় 76 লক্ষ টাকা উপভোক্তাদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতৃত্ব । এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু হয় । উপভোক্তাদের তালিকা চেয়ে আরটিআই করে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব । আজ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই তালিকা তুলে দেওয়া হয় । কিন্তু সেই তালিকা সম্পূর্ণ নয় বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম ।
আরও পড়ুন : 2017 Malda Flood Corruption : কোর্টের নির্দেশে ফেরার বরুই পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে তালা লাগাল পুলিশ
মোস্তাক আলম বলেন, "2017-র বন্যায় মালদা জেলার 12টি ব্লকের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । ক্ষতিগ্রস্তদের মোট 58 কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় । হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নং ব্লকে এখন যে বিডিও রয়েছেন, তিনি ক্ষতিপূরণ বিলি করার সময়ও ছিলেন । কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নং ব্লকে ক্ষতিপূরণ বিলির সময় এই বিডিও এখানে ছিলেন না । তারপরেও ব্লক থেকে আমাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়া হয়নি । তালিকায় মানুষের নাম-ঠিকানা থাকলেও অ্যাকাউন্ট নম্বর, আইএফএসসি কোড নেই । পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে নতুন বিডিও এসে শাসকদলের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন । আমরা পূর্ণাঙ্গ তালিকার দাবিতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হব ।"