ETV Bharat / state

গঙ্গা ভাঙন নিয়ে ঝান্ডা ছাড়াই আন্দোলনে বামেরা - গঙ্গা ভাঙন নিয়ে আন্দোলনে বামফ্রন্ট

আজ ছ’দফা দাবিতে বামেদের তরফে মানিকচকের বিডিওকে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয় । গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙন দুর্গত মানুষজন বিডিওকে ডেপুটেশন দিয়েছেন ৷

malda
malda
author img

By

Published : Jul 22, 2021, 10:47 PM IST

মালদা, 22 জুলাই : গঙ্গা ভাঙন আটকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও দুর্গতদের সরকারি পুনর্বাসনের দাবিতে ঝান্ডা ছাড়াই আন্দোলনে নামল বামফ্রন্ট । মালদার মানিকচকের গোপালপুরের গঙ্গার ভাঙন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ৷ আজ ছ’দফা দাবিতে বামেদের তরফে মানিকচকের বিডিওকে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয় । গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙন দুর্গত মানুষজন বিডিওকে ডেপুটেশন দিয়েছেন । বিডিও জয় আহমেদের অনুপস্থিতিতে সেই ডেপুটেশন গ্রহণ করেছেন জয়েন্ট বিডিও রমেশ মণ্ডল । দুর্গত মানুষদের নিয়ে আগামীকাল বামেদের তরফে মানিকচকে বিক্ষোভ আন্দোলনেরও ডাক দেওয়া হয়েছে ।

জেলার অন্যতম বাম নেতা ও সিআইটিইউয়ের জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, "কিছুদিন ধরে মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা, এলাহিটোলা, সহবতটোলা গ্রামে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে ব্যাপক ভাঙন হচ্ছে । এই ভাঙন রুখতে মালদার বিধায়ক ও সেচ দফতরের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন । কিন্তু এত বড় এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে তিনি মাত্র ন’লাখ টাকা বরাদ্দ করেছেন । এটা কি দুর্গত মানুষকে ভিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ? আমরা এই ভিক্ষা চাই না ।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা আপাতত গোপালপুরের মানুষকে বাঁচানোর জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ভালো কাজ চাই । এখানে ভবিষ্যতে বোল্ডারের কাজ করতে হবে । কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের কিছু এলাকায় এনটিপিসির ফ্লাই অ্যাশ ব্যবহার করে ভাঙন আটকানো গিয়েছে । এখানে ফ্লাই অ্যাশের কোনও অভাব নেই । ভাঙন রোধের কাজ দ্রুত শুরু এবং দুর্গত মানুষকে পুনর্বাসন দেওয়ার দাবিতে আমরা গোপালপুরের মানুষকে নিয়ে আগামীকাল বড়সড় আন্দোলনে নামতে চলেছি। সেখানে কোনও ঝান্ডা থাকবে না। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই আন্দোলন করব ।"

আরও পড়ুন : Malda Murder: ইদের মেলায় বচসা, কুপিয়ে খুন যুবককে

ভাঙনপ্রবণ বালুটোলা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গার ভাঙন চলছে এই এলাকায় । প্রায় নয় কিলোমিটার দূর থেকে পাড় ভাঙতে ভাঙতে গঙ্গা এখন আমাদের বাড়ি গিলতে বসেছে । নদীর হাত থেকে বাঁচতে মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন । গঙ্গার ভাঙন রোধে স্থায়ী কাজ না হলে কোনও লাভ হবে না । আমরা চাইছি, গোপালপুরের মানুষকে নদীর কোপ থেকে বাঁচাতে সরকার পাশে এসে দাঁড়াক । গঙ্গার ভাঙন আটকানোর সঙ্গে আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক । তাতে মানুষ কিছুটা বাঁচবে । হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি গঙ্গাগর্ভে চলে গিয়েছে । মাথা বাঁচানোর জায়গা নেই । মানুষ এখন কীভাবে বাঁচবে ?"

মালদা, 22 জুলাই : গঙ্গা ভাঙন আটকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও দুর্গতদের সরকারি পুনর্বাসনের দাবিতে ঝান্ডা ছাড়াই আন্দোলনে নামল বামফ্রন্ট । মালদার মানিকচকের গোপালপুরের গঙ্গার ভাঙন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ৷ আজ ছ’দফা দাবিতে বামেদের তরফে মানিকচকের বিডিওকে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয় । গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙন দুর্গত মানুষজন বিডিওকে ডেপুটেশন দিয়েছেন । বিডিও জয় আহমেদের অনুপস্থিতিতে সেই ডেপুটেশন গ্রহণ করেছেন জয়েন্ট বিডিও রমেশ মণ্ডল । দুর্গত মানুষদের নিয়ে আগামীকাল বামেদের তরফে মানিকচকে বিক্ষোভ আন্দোলনেরও ডাক দেওয়া হয়েছে ।

জেলার অন্যতম বাম নেতা ও সিআইটিইউয়ের জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, "কিছুদিন ধরে মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা, এলাহিটোলা, সহবতটোলা গ্রামে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে ব্যাপক ভাঙন হচ্ছে । এই ভাঙন রুখতে মালদার বিধায়ক ও সেচ দফতরের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন । কিন্তু এত বড় এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে তিনি মাত্র ন’লাখ টাকা বরাদ্দ করেছেন । এটা কি দুর্গত মানুষকে ভিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ? আমরা এই ভিক্ষা চাই না ।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা আপাতত গোপালপুরের মানুষকে বাঁচানোর জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ভালো কাজ চাই । এখানে ভবিষ্যতে বোল্ডারের কাজ করতে হবে । কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের কিছু এলাকায় এনটিপিসির ফ্লাই অ্যাশ ব্যবহার করে ভাঙন আটকানো গিয়েছে । এখানে ফ্লাই অ্যাশের কোনও অভাব নেই । ভাঙন রোধের কাজ দ্রুত শুরু এবং দুর্গত মানুষকে পুনর্বাসন দেওয়ার দাবিতে আমরা গোপালপুরের মানুষকে নিয়ে আগামীকাল বড়সড় আন্দোলনে নামতে চলেছি। সেখানে কোনও ঝান্ডা থাকবে না। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই আন্দোলন করব ।"

আরও পড়ুন : Malda Murder: ইদের মেলায় বচসা, কুপিয়ে খুন যুবককে

ভাঙনপ্রবণ বালুটোলা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গার ভাঙন চলছে এই এলাকায় । প্রায় নয় কিলোমিটার দূর থেকে পাড় ভাঙতে ভাঙতে গঙ্গা এখন আমাদের বাড়ি গিলতে বসেছে । নদীর হাত থেকে বাঁচতে মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন । গঙ্গার ভাঙন রোধে স্থায়ী কাজ না হলে কোনও লাভ হবে না । আমরা চাইছি, গোপালপুরের মানুষকে নদীর কোপ থেকে বাঁচাতে সরকার পাশে এসে দাঁড়াক । গঙ্গার ভাঙন আটকানোর সঙ্গে আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক । তাতে মানুষ কিছুটা বাঁচবে । হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি গঙ্গাগর্ভে চলে গিয়েছে । মাথা বাঁচানোর জায়গা নেই । মানুষ এখন কীভাবে বাঁচবে ?"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.