মালদা, 10 ডিসেম্বর : জয়েন্ট বিডিও’র নাম করে হরিশচন্দ্রপুরের এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ (Fraud With TMC Leader) ৷ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস পাঠিয়ে টাকা জমা করায় প্রতারক ৷ প্রতারিত তৃণমূল নেতা আফজল হোসেনের স্ত্রী আবার হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ৷ জানা গিয়েছে, জয়েন্ট বিডিও’র নাম করে এক ব্যক্তি আফজল হোসেনকে ফোন করেন ৷ সেখানে ওই ব্যক্তি তৃণমূল নেতাকে বলেন, ‘‘জয়েন্ট বিডিও বলছি, একটু সমস্যায় পড়েছি ৷ আপনার বউদি অসুস্থ ৷ হাজার কুড়ি টাকা পাঠাতে পারবেন ? বউদির ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিলাম ৷’’ জয়েন্ট বিডিও (Joint BDO Name use for Fraud Case) পরিচয় শুনে কোনও প্রশ্ন না করেই, টাকা ট্রান্সফার করে দেন তিনি ৷ পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন ৷ এর পর হরিশচন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আফজল হোসেন ৷
তবে, শুধু আফজল হোসেন নন ৷ একইভাবে প্রতারিত হয়েছেন হরিশচন্দ্রপুর ব্লকের বেশ কয়েকজন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ৷ এমনকি ওই এলাকার এক সিভিক ভলান্টিয়ারও এই প্রতারণার শিকার ৷ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ প্রতারণার শিকার হওয়া আফজল হোসেন জানান, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কাছে প্রথম ফোন আসে ৷ ওপার থেকে একজন বলেন, তিনি জয়েন্ট বিডিও বলছেন ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের সব গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ফোন নম্বর চায় ৷ জেলায় মিটিং আছে ৷ সবাইকে জানাতে হবে ৷ গতকাল জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক ছিল ৷’’
আরও পড়ুন : Financial fraud at Mathurapur: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার অভিযুক্ত
ওই ফোন পেয়ে আফজল হোসেন আরও কয়েকজনের ফোন নম্বর ওই ব্যক্তিকে দেন ৷ গতকাল বিকেলে ওই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার ফোন করেছিলেন বলে জানান আফজল হোসেন ৷ তখনই স্ত্রীর অসুস্থ হওয়ার কথা বলে ওই ব্যক্তি টাকা চান বলে অভিযোগ ৷ জয়েন্ট বিডিও (Joint BDO of Harishchandrapur in graft allegation) পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘জয়েন্ট বিডিও বলছি, একটু সমস্যায় পড়েছি ৷ আপনার বউদি অসুস্থ ৷ হাজার কুড়ি টাকা পাঠাতে পারবেন ? বউদির ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিলাম ৷ আমি বেতন পেয়ে আপনাকে দিয়ে দেব ৷’’ অভিযোগ ওই শেষ ৷ তার পর থেকে আর ফোন ধরছে না জয়েন্ট বিডিও পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি ৷
এনিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত বলেন, ‘‘আমি আজই বিষয়টি শুনলাম ৷ জয়েন্ট বিডিও’র নাম করে আফজল হোসেনের কাছ থেকে কোনও প্রতারক 20 হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ৷ আফজল সাহেব থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ আমি পুলিশের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যথাযথ তদন্ত করে যেন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয় ৷ প্রতারকদের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে আমরা মাইকে এলাকায় প্রচার চালাব ৷’’
বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও ৷ তবে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের তরফে ওই ফোন নম্বর ট্র্যাক করার চেষ্টা চলছে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন ৷ বিষয়টি সাইবার ক্রাইম বিভাগকে জানানো হয়েছে ৷