মালদা, 22 জুলাই : উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর উপস্থিতিতে সেচকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা । গতকাল হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের সুর্জাপুর ও দেবীপুর এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান । তাঁদের অভিযোগ, নদীর বাঁধ মেরামতির জন্য অনেকবার সেচকর্মীদের বলা হলেও, তাঁরা বাঁধ পরিদর্শন করে ফিরে গেছেন । কিন্তু বাঁধ মেরামতি করেননি ।
ভরা বর্ষায় জল বেড়েছে ফুলহর নদীতে । ভাঙতে শুরু করেছে নদীর বাঁধ । এর জেরে তলিয়ে গেছে বাঁধের বেশ কিছুটা অংশ । তলিয়ে গেছে কয়েকটি বাড়িও । ভাঙনের জেরে ভাকুরিয়া 2 ও 3 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 400 বাড়ি তলিয়ে গেছে । গতকাল তারই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন সাংসদ খগেন মুর্মু । তিনি সাক্ষী থাকেন বাঁধ ভাঙনের দৃশ্যের । সেইসময়ই বাঁধ মেরামতি করতে আসেন সেচকর্মীরা । কিন্তু তাঁদের দেখেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা । প্রসঙ্গত, সেচ বিভাগের তথ্য অনুয়ায়ী, গতকাল দুপুরে ফুলহরের জলস্তর ছিল 27.42 মিটার । যা বিপদসীমার থেকে 0.01 মিটার কম ।
খগেন মুর্মু বলেন, "ফুলহর বাঁধে এসে স্থানীয়দের ক্ষোভের কথা জানতে পারি । বাঁধ সংস্কারের জন্য গ্রামবাসীরা আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন । কিন্তু তাতেও বাঁধ মেরামত করা হয়নি । যখন বাঁধের অংশ ভাঙতে শুরু করেছে, তখন সেচকর্মীরা তা মেরামতি করার জন্য এসেছে । এই কারণেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ।"
খগেনবাবু জানান, বাঁধ ভাঙনের ফলে ভাকুরিয়া 2 ও 3 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 400টি পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছে । কিন্তু মাত্র 119টি পরিবার ত্রাণ পাচ্ছেন । BDO-র সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কথা হয়েছে । উনি খুব তাড়াতাড়ি বাকি পরিবারগুলিকে ত্রাণের আশ্বাস দিয়েছেন ।
জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, "ভাঙা বাঁধ দ্রুত মেরামতি করার জন্য সেচ দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে ।"