ETV Bharat / state

বাঁধ মেরামতিতে উদাসীনতার অভিযোগ, সাংসদের সামনেই সেচকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ - Malda

ভরা বর্ষায় জল বেড়েছে ফুলহর নদীতে । ভাঙতে শুরু করেছে নদীর বাঁধ । এর জেরে তলিয়ে গেছে বাঁধের বেশ কিছুটা অংশ । তলিয়ে গেছে কয়েকটি বাড়িও ।

বাঁধ মেরামতি
author img

By

Published : Jul 22, 2019, 2:43 PM IST

মালদা, 22 জুলাই : উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর উপস্থিতিতে সেচকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা । গতকাল হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের সুর্জাপুর ও দেবীপুর এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান । তাঁদের অভিযোগ, নদীর বাঁধ মেরামতির জন্য অনেকবার সেচকর্মীদের বলা হলেও, তাঁরা বাঁধ পরিদর্শন করে ফিরে গেছেন । কিন্তু বাঁধ মেরামতি করেননি ।

ভরা বর্ষায় জল বেড়েছে ফুলহর নদীতে । ভাঙতে শুরু করেছে নদীর বাঁধ । এর জেরে তলিয়ে গেছে বাঁধের বেশ কিছুটা অংশ । তলিয়ে গেছে কয়েকটি বাড়িও । ভাঙনের জেরে ভাকুরিয়া 2 ও 3 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 400 বাড়ি তলিয়ে গেছে । গতকাল তারই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন সাংসদ খগেন মুর্মু । তিনি সাক্ষী থাকেন বাঁধ ভাঙনের দৃশ্যের । সেইসময়ই বাঁধ মেরামতি করতে আসেন সেচকর্মীরা । কিন্তু তাঁদের দেখেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা । প্রসঙ্গত, সেচ বিভাগের তথ্য অনুয়ায়ী, গতকাল দুপুরে ফুলহরের জলস্তর ছিল 27.42 মিটার । যা বিপদসীমার থেকে 0.01 মিটার কম ।

খগেন মুর্মু বলেন, "ফুলহর বাঁধে এসে স্থানীয়দের ক্ষোভের কথা জানতে পারি । বাঁধ সংস্কারের জন্য গ্রামবাসীরা আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন । কিন্তু তাতেও বাঁধ মেরামত করা হয়নি । যখন বাঁধের অংশ ভাঙতে শুরু করেছে, তখন সেচকর্মীরা তা মেরামতি করার জন্য এসেছে । এই কারণেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ।"

খগেনবাবু জানান, বাঁধ ভাঙনের ফলে ভাকুরিয়া 2 ও 3 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 400টি পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছে । কিন্তু মাত্র 119টি পরিবার ত্রাণ পাচ্ছেন । BDO-র সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কথা হয়েছে । উনি খুব তাড়াতাড়ি বাকি পরিবারগুলিকে ত্রাণের আশ্বাস দিয়েছেন ।

জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, "ভাঙা বাঁধ দ্রুত মেরামতি করার জন্য সেচ দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে ।"

মালদা, 22 জুলাই : উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর উপস্থিতিতে সেচকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা । গতকাল হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের সুর্জাপুর ও দেবীপুর এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান । তাঁদের অভিযোগ, নদীর বাঁধ মেরামতির জন্য অনেকবার সেচকর্মীদের বলা হলেও, তাঁরা বাঁধ পরিদর্শন করে ফিরে গেছেন । কিন্তু বাঁধ মেরামতি করেননি ।

ভরা বর্ষায় জল বেড়েছে ফুলহর নদীতে । ভাঙতে শুরু করেছে নদীর বাঁধ । এর জেরে তলিয়ে গেছে বাঁধের বেশ কিছুটা অংশ । তলিয়ে গেছে কয়েকটি বাড়িও । ভাঙনের জেরে ভাকুরিয়া 2 ও 3 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 400 বাড়ি তলিয়ে গেছে । গতকাল তারই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন সাংসদ খগেন মুর্মু । তিনি সাক্ষী থাকেন বাঁধ ভাঙনের দৃশ্যের । সেইসময়ই বাঁধ মেরামতি করতে আসেন সেচকর্মীরা । কিন্তু তাঁদের দেখেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা । প্রসঙ্গত, সেচ বিভাগের তথ্য অনুয়ায়ী, গতকাল দুপুরে ফুলহরের জলস্তর ছিল 27.42 মিটার । যা বিপদসীমার থেকে 0.01 মিটার কম ।

খগেন মুর্মু বলেন, "ফুলহর বাঁধে এসে স্থানীয়দের ক্ষোভের কথা জানতে পারি । বাঁধ সংস্কারের জন্য গ্রামবাসীরা আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন । কিন্তু তাতেও বাঁধ মেরামত করা হয়নি । যখন বাঁধের অংশ ভাঙতে শুরু করেছে, তখন সেচকর্মীরা তা মেরামতি করার জন্য এসেছে । এই কারণেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ।"

খগেনবাবু জানান, বাঁধ ভাঙনের ফলে ভাকুরিয়া 2 ও 3 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 400টি পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছে । কিন্তু মাত্র 119টি পরিবার ত্রাণ পাচ্ছেন । BDO-র সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কথা হয়েছে । উনি খুব তাড়াতাড়ি বাকি পরিবারগুলিকে ত্রাণের আশ্বাস দিয়েছেন ।

জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, "ভাঙা বাঁধ দ্রুত মেরামতি করার জন্য সেচ দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে ।"

Intro:মালদা, ২১ জুলাইঃ জল বাড়তেই ছোবল মারতে শুরু করেছে ফুলহর। গত কয়েকদিনে ৭ মিটার পাড় গিলে আজ ফুলহর ছোবল মেরে নদী বাঁধে। ইতিমধ্যে তলিয়ে গিয়েছে বাঁধের বেশ কিছুটা অংশ। তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িও। আজ নদী বাঁধ ভাঙনের সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর সামনেই সেচ দপ্তরের কর্মীদের ভাঙা বাঁধ মেরামতির কাজে বাধা দেয় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী। অবশ্য পরে সাংসদের আশ্বাসে সেচ দপ্তরের কর্মীদের নিজেদের কাজ করতে দেয় গ্রামবাসীরা।Body:গত কয়েকদিন নাগাড়ে বৃদ্ধির পর আজ ফুলহরের জলস্তর খানিকটা কমলেও তা এখনও বিপদসীমা প্রায় ছুঁয়ে রয়েছে। সেচ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আজ দুপুরে ফুলহরের জলস্তর ছিল ২৭.৪২ মিটার। যা বিপদসীমার (২৭.৪৩ মিটার) থেকে ০.০১ মিটার কম। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের সুর্জাপুর ও দেবীপুর এলাকায় নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। জলে তলিয়ে গিয়েছে ভাকুরিয়া ২ ও ৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪০০ বাড়ি। সেই সমস্ত ভাঙন কবলিত এলাকা আজ পরিদর্শনে যান খগেনবাবু।
খগেনবাবু জানান, সুর্জাপুর ও দেবীপুর এলাকার বাসিন্দারা সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক দিন আগে থেকেই সেচ দপ্তরের কাছে বাঁধ সংস্কারের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেচদপ্তরের কর্মীরা বেশ কয়েকবার বাঁধ পরিদর্শনে এসে, শুধু মাত্র পিকনিক করে চলে গিয়েছিলেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধুমাত্র সরকারের টাকাকে জলে দিয়েছে সেচ দপ্তরের কর্মীরা। এখন যখন বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে তখন সেচ দপ্তরের কর্মীরা বাঁধের কাজ করতে এসেছেন। সেই কারণেই এলাকাবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সেচদপ্তরের কর্মীদের কাজে বাধা দিয়েছিলেন। তবে সেচ দপ্তরের কর্মীরা বাঁধের মেরামতির কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু সেই কাজ খুব মন্থর গতিতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভাকুরিয়া ২ ও ৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪০০টি পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছেন। অথচ মাত্র ১১৯টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তিনি বিডিওর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিডিও তাঁকে আশ্বাস দিয়েছে খুব শীঘ্রই বাকি পরিবারগুলিকেও ত্রাণ দেওয়া হবে।
Conclusion:জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ভাঙা বাঁধ দ্রুত মেরামতির জন্য সেচদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নদীর জল খানিকটা কমেছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.