ETV Bharat / state

তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ, SSK সহায়িকাদের ডেপুটেশন ঘিরে উত্তেজনা - পুরাতন মালদা পৌরসভা খবর আজ

SSK সহায়িকাদের ডেপুটেশন নিয়ে উত্তেজনা পুরাতন মালদা পৌরসভায় ৷ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে SP-র কাছে অভিযোগ ৷ বেধড়ক মারধর করা হয় মহিদুল ইসলামকে ৷ তিনি SSK ও MSK শিক্ষক সংগঠন 'শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ'-এর নেতা ৷ এই ঘটনায় পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নিগৃহীতরা ৷

আক্রান্ত এক সহায়িকা
author img

By

Published : Nov 9, 2019, 1:58 PM IST

মালদা, 9 নভেম্বর : এবার শিক্ষাক্ষেত্রে শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদায় ৷ গতকাল এ নিয়ে পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন SSK সহায়িকারা ৷ অভিযোগ, পৌরসভার চেয়ারম্যানের নির্দেশে SSK সহায়িকাদের উপর হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ৷

পুরাতন মালদা পৌরসভার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে কর্মরত সহায়িকাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের ৷ আরও অভিযোগ, স্থায়ী সহায়িকাদের সাম্মানিক ভাতা থেকে প্রতি মাসেই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয় ৷ এ নিয়ে স্থায়ী সহায়িকারা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন৷ কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি৷ এই সমস্যার সমাধানের জন্য গতকাল বিকেলে নিজেদের সংগঠনের মাধ্যমে পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ডেপুটেশন দিতে যান সহায়িকারা৷ ডেপুটেশনের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মহিদুল ইসলাম৷

সহায়িকাদের অভিযোগ, “ডেপুটেশনের বিষয় শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ ৷ তাঁর নির্দেশে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর পোষা গুন্ডারা ৷ রাস্তায় ফেলে লাথির পর লাথি মারা হয় ৷ তারা গুলি করে খুন করার হুমকি দিতে থাকে ৷ পুলিশকে খবর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না ৷ ওই গুন্ডারা সংবাদমাধ্যমকেও আক্রমণ করে ৷ গত 10 মাস ধরে তিনজন সহায়িকার ভাতা বন্ধ করে রাখা হয়েছে ৷ আমরা মাসে 5400 টাকা ভাতা পাই ৷ তার মধ্যে থেকে এরা প্রতি মাসে আমাদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে 2200 টাকা কেটে নেয় ৷ আমরা এই টাকা দেব না বলায় কয়েকজন সহায়িকাকে হেনস্থা করা হয়েছে৷ এসব নিয়েই আজ আমরা চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিতে গেছিলাম৷ কিন্তু চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁর গুন্ডারা মহিদুল সাহেবের উপর অকথ্য অত্যাচার করে৷ চেয়ারম্যান সামনে দাঁড়িয়ে থেকে মারধরের নেতৃত্ব দিয়েছেন৷”

এ প্রসঙ্গে গতকাল মহিদুল সাহেব বলেন, “পুরাতন মালদা পৌরসভার অন্তর্গত কয়েকটি SSK-র শিক্ষিকাদের মাসিক ভাতা থেকে অবৈধভাবে 2200 টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছিল৷ চেয়ারম্যান নিজে জোর করে এই টাকা কেটে নিচ্ছিলেন৷ এনিয়ে আমি গতকাল পৌরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনা জানিয়েছি৷ মন্ত্রী এনিয়ে চেয়ারম্যানকে ফোন করেন৷ এই ঘটনার পর গত 5 তারিখ শিক্ষাকেন্দ্র খুললে চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক শিক্ষিকাকে তালা বন্ধ করে মারধর করা হয়৷ ঘটনাটি ঘটেছিল পৌরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডে৷ এনিয়ে আজ আমরা ডেপুটেশন দিতে গেছিলাম৷ তিনি আমাদের ডেপুটেশন গ্রহণ করেননি৷ তিনি পৌরসভা থেকে চলে যাচ্ছিলেন৷ সেই সময় সহায়িকারা তাঁকে বলেন, তিনি কেন ডেপুটেশন না নিয়ে চলে যাচ্ছেন৷ এরপরই চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁর গুন্ডারা আমাদের বেধড়ক মারধর করে৷ আমাকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মারা হয় ৷ এরপর আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সব ঘটনা জানাই৷”

মহিদুলের বক্তব্য

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ ৷ তিনি বলেন, “কারও কোনও ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল না ৷ আজ বিকেলে যারা আমার কাছে এসেছিল, তাদের বেশিরভাগই বহিরাগত ৷ তারা আমার কক্ষে ঢুকে আমাকে নিগ্রহ করে৷ তাদের সেই আক্রমণ প্রতিহত করেন পৌরকর্মীরা৷ এই ঘটনায় আমি 6 জনের বিরুদ্ধে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি৷”

পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মালদা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এদিকে মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, "চেয়ারম্যান আজ কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি ৷ তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মাত্র ৷" এদিকে এই ঘটনায় গতকাল সন্ধেয় পুরাতন মালদা পৌরসভার সমস্ত দলীয় কাউন্সিলর ও নেতাদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর ৷ বৈঠকে তিনি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেন৷

মালদা, 9 নভেম্বর : এবার শিক্ষাক্ষেত্রে শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদায় ৷ গতকাল এ নিয়ে পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন SSK সহায়িকারা ৷ অভিযোগ, পৌরসভার চেয়ারম্যানের নির্দেশে SSK সহায়িকাদের উপর হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ৷

পুরাতন মালদা পৌরসভার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে কর্মরত সহায়িকাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের ৷ আরও অভিযোগ, স্থায়ী সহায়িকাদের সাম্মানিক ভাতা থেকে প্রতি মাসেই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয় ৷ এ নিয়ে স্থায়ী সহায়িকারা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন৷ কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি৷ এই সমস্যার সমাধানের জন্য গতকাল বিকেলে নিজেদের সংগঠনের মাধ্যমে পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ডেপুটেশন দিতে যান সহায়িকারা৷ ডেপুটেশনের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মহিদুল ইসলাম৷

সহায়িকাদের অভিযোগ, “ডেপুটেশনের বিষয় শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ ৷ তাঁর নির্দেশে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর পোষা গুন্ডারা ৷ রাস্তায় ফেলে লাথির পর লাথি মারা হয় ৷ তারা গুলি করে খুন করার হুমকি দিতে থাকে ৷ পুলিশকে খবর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না ৷ ওই গুন্ডারা সংবাদমাধ্যমকেও আক্রমণ করে ৷ গত 10 মাস ধরে তিনজন সহায়িকার ভাতা বন্ধ করে রাখা হয়েছে ৷ আমরা মাসে 5400 টাকা ভাতা পাই ৷ তার মধ্যে থেকে এরা প্রতি মাসে আমাদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে 2200 টাকা কেটে নেয় ৷ আমরা এই টাকা দেব না বলায় কয়েকজন সহায়িকাকে হেনস্থা করা হয়েছে৷ এসব নিয়েই আজ আমরা চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিতে গেছিলাম৷ কিন্তু চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁর গুন্ডারা মহিদুল সাহেবের উপর অকথ্য অত্যাচার করে৷ চেয়ারম্যান সামনে দাঁড়িয়ে থেকে মারধরের নেতৃত্ব দিয়েছেন৷”

এ প্রসঙ্গে গতকাল মহিদুল সাহেব বলেন, “পুরাতন মালদা পৌরসভার অন্তর্গত কয়েকটি SSK-র শিক্ষিকাদের মাসিক ভাতা থেকে অবৈধভাবে 2200 টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছিল৷ চেয়ারম্যান নিজে জোর করে এই টাকা কেটে নিচ্ছিলেন৷ এনিয়ে আমি গতকাল পৌরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনা জানিয়েছি৷ মন্ত্রী এনিয়ে চেয়ারম্যানকে ফোন করেন৷ এই ঘটনার পর গত 5 তারিখ শিক্ষাকেন্দ্র খুললে চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক শিক্ষিকাকে তালা বন্ধ করে মারধর করা হয়৷ ঘটনাটি ঘটেছিল পৌরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডে৷ এনিয়ে আজ আমরা ডেপুটেশন দিতে গেছিলাম৷ তিনি আমাদের ডেপুটেশন গ্রহণ করেননি৷ তিনি পৌরসভা থেকে চলে যাচ্ছিলেন৷ সেই সময় সহায়িকারা তাঁকে বলেন, তিনি কেন ডেপুটেশন না নিয়ে চলে যাচ্ছেন৷ এরপরই চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁর গুন্ডারা আমাদের বেধড়ক মারধর করে৷ আমাকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মারা হয় ৷ এরপর আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সব ঘটনা জানাই৷”

মহিদুলের বক্তব্য

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ ৷ তিনি বলেন, “কারও কোনও ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল না ৷ আজ বিকেলে যারা আমার কাছে এসেছিল, তাদের বেশিরভাগই বহিরাগত ৷ তারা আমার কক্ষে ঢুকে আমাকে নিগ্রহ করে৷ তাদের সেই আক্রমণ প্রতিহত করেন পৌরকর্মীরা৷ এই ঘটনায় আমি 6 জনের বিরুদ্ধে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি৷”

পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মালদা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এদিকে মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, "চেয়ারম্যান আজ কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি ৷ তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মাত্র ৷" এদিকে এই ঘটনায় গতকাল সন্ধেয় পুরাতন মালদা পৌরসভার সমস্ত দলীয় কাউন্সিলর ও নেতাদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর ৷ বৈঠকে তিনি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেন৷

Intro:মালদা, 8 নভেম্বর : শিক্ষাক্ষেত্রেও শাসকের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদায়৷ আরও অভিযোগ, এনিয়ে পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিতে গেলে তাঁর নির্দেশে এসএসকে’র সহায়িকাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী৷ বেধড়ক মারধর করা হয় ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেওয়া এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষক সংগঠন 'শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ'-এর নেতা মহিদুল ইসলামকে৷ এই ঘটনায় পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নিগৃহীতরা৷ যদিও চেয়ারম্যানের দাবি, কোনও অনুমতি না নিয়ে আজ একদল বহিরাগত তাঁর দপ্তরে ঢুকে পড়ে৷ তাঁকে নিগ্রহ করা হয়৷ পৌরসভার কর্মীরা এই বহিরাগতদের প্রতিহত করেছে মাত্র৷ এই ঘটনায় তিনিও ৬ জনের বিরুদ্ধে মালদা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন৷ গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এই ঘটনা নিয়ে আজ সন্ধেয় বিশেষ বৈঠক করেন শাসকদলের জেলা সভানেত্রী৷Body:পুরাতন মালদা পৌরসভার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে কর্মরত সহায়িকাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ আরও অভিযোগ, স্থায়ী সহায়িকাদের সাম্মানিক ভাতা থেকে প্রতি মাসেই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয়৷ এনিয়ে স্থায়ী সহায়িকারা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন৷ কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি৷ এই সমস্যার সমাধানের জন্য আজ বিকেলে নিজেদের সংগঠনের মাধ্যমে পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ডেপুটেশন দিতে যান সহায়িকারা৷ ডেপুটেশনের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মহিদুল ইসলাম৷ সহায়িকাদের অভিযোগ, “ডেপুটেশনের বিষয় শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ৷ তাঁর নির্দেশে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর পোষা গুণ্ডারা৷ রাস্তার ফেলে লাথির পর লাথি মারা হয়৷ তারা গুলি করে খুন করার হুমকি দিতে থাকে৷ পুলিশকে খবর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না৷ ওই গুণ্ডারা সংবাদমাধ্যমকেও আক্রমণ করে৷ গত ১০ মাস ধরে তিনজন সহায়িকার ভাতা বন্ধ করে রাখা হয়েছে৷ আমরা মাসে ৫৪০০ টাকা ভাতা পাই৷ তার মধ্যে থেকে এরা প্রতি মাসে আমাদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ২২০০ টাকা কেটে নেয়৷ আমরা এই টাকা দেব না বলায় কয়েকজন সহায়িকাকে হেনস্থা করা হয়েছে৷ এসব নিয়েই আজ আমরা চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁর গুণ্ডারা মহিদুল সাহেবের উপর অকথ্য অত্যাচার করে৷ চেয়ারম্যান সামনে দাঁড়িয়ে থেকে মারধরের নেতৃত্ব দিয়েছেন৷”
         মহিদুল সাহেব বলেন, “পুরাতন মালদা পৌরসভার অন্তর্গত কয়েকটি এসএসকে’র শিক্ষিকাদের মাসিক ভাতা থেকে অবৈধভাবে ২২০০ টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছিল৷ চেয়ারম্যান নিজে জোর করে এই টাকা কেটে নিচ্ছিলেন৷ এনিয়ে আমি গতকাল পৌরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনা জানিয়েছি৷ মন্ত্রী এনিয়ে চেয়ারম্যানকে ফোন করেন৷ এই ঘটনার পর গত ৫ তারিখ শিক্ষাকেন্দ্র খুললে চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক শিক্ষিকাকে তালা বন্ধ করে মারধর করা হয়৷ ঘটনাটি ঘটেছিল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে৷ এনিয়ে আজ আমরা ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলাম৷ তিনি আমাদের ডেপুটেশন গ্রহণ করেননি৷ তিনি পৌরসভা থেকে চলে যাচ্ছিলেন৷ সেই সময় সহায়িকারা তাঁকে বলেন, তিনি কেন ডেপুটেশন না নিয়ে চলে যাচ্ছেন৷ এরপরেই চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁর গুণ্ডারা আমাদের বেধড়ক মারধর করে৷ আমাকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মারা হয়৷ এরপর আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সব ঘটনা জানাই৷”
         যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ৷ তিনি বলেন, “এদিন কারোর কোনও ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল না৷ আজ বিকেলে যারা আমার কাছে এসেছিল, তাদের বেশিরভাগই বহিরাগত৷ তারা আমার কক্ষে ঢুকে আমাকে নিগ্রহ করে৷ তাদের সেই আক্রমণ প্রতিহত করেন পৌরকর্মীরা৷ এই ঘটনায় আমি ৬ জনের বিরুদ্ধে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি৷”Conclusion:         পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মালদা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, চেয়ারম্যান আজ কারোর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি৷ তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মাত্র৷ এদিকে এই ঘটনায় আজ সন্ধেয় পুরাতন মালদা পৌরসভার সমস্ত দলীয় কাউন্সিলর ও নেতাদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর৷ বৈঠকে তিনি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেন৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.