মালদা, 1 জুলাই: 22 দিন ধরে চিকিৎসক নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে । ফলে ডাক্তারের পরিবর্তে চিকিৎসা করছেন গ্রুপ-ডি কর্মী । এমনই ছবি ধরা পড়েছে মালদার বামনগোলা ব্লকের জগদ্দলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Group D staff providing medical services in Malda Bamangola) । কীভাবে একজন গ্রুপ-ডি কর্মী চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ।
বামনগোলা ব্লকের জগদ্দলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুরে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যালোপ্যাথি বিভাগে কোনও চিকিৎসক নেই । বারবার বিষয়টি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, প্রশাসন এমনকী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হলেও এখনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়নি । এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকার মানুষের ভরসা হোমিওপ্যাথি । কিন্ত এখানেও বিপত্তি ৷ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হোমিওপ্যাথি বিভাগ থাকলেও চিকিৎসক বেশিরভাগ সময় থাকেন না । তাঁর অবর্তমানে চিকিৎসা পরিষেবা দেন গ্রুপ-ডি কর্মী রঞ্জিত দাস । শুনতে অবাক লাগলেও বিষয়টি সত্যি ।
আরও পড়ুন : Godardihi Health Centre : নেই চিকিৎসা ব্যবস্থা, ধুঁকছে জরাজীর্ণ গদারডিহি গ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্র
এই প্রসঙ্গে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গ্রুপ-ডি কর্মী রঞ্জিত দাস বলেন, "এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুটি বিভাগ রয়েছে । অ্যালোপ্যাথি বিভাগে গত এক বছর ধরে চিকিৎসক নেই । হোমিওপ্যাথি বিভাগে চিকিৎসক রয়েছেন বিশ্বজিৎ বন্দ্যােপাধ্যায় । বর্তমানে তিনি চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে গিয়েছেন । এই পরিস্থিতিতে আমি গ্রুপ-ডি কর্মী হয়ে রোগীদের দেখে ওষুধ দিচ্ছি । এভাবে ওষুধ দেওয়া যায় না । যদি কোনও রোগীর কোনও সমস্যায় হয় তবে তার সমস্ত দায় আমার ঘাড়ে এসে পড়বে । বিষয়টি আমি নিজে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । চিকিৎসককেও জানিয়েছি । তাঁরা জানিয়েছে, চালিয়ে যাও । স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিস্থিতির কথা কী বলব? আমার কাছে যা ওষুধ আছে তা দিয়েই চলছে । ডাক্তারবাবু ছুটিতে কিংবা বাড়িতে গেলে আমাকেই রোগী দেখতে হয় । গত 22-25 দিন ধরে আমি রোগী দেখে ওষুধ দিচ্ছি ।" ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি ।