ETV Bharat / state

Horrific Murder in Malda: উঠোনে ধড়, একটু দূরে মুণ্ডু, স্ত্রী খুনে আটক স্বামী

মালদার হবিবপুর ব্লকে খুন গৃহবধূ(Malda Murder) ৷ অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করল পুলিশ ৷ চলছে জিজ্ঞাসাবাদ ৷

Etv Bharat
মালদায় খুন
author img

By

Published : Sep 24, 2022, 9:32 AM IST

Updated : Sep 24, 2022, 9:40 AM IST

মালদা, 24 সেপ্টেম্বর: ধড় থেকে খানিকটা দূরে পড়ে রয়েছে মুণ্ডু ৷ খুন, খুন বলে চিৎকার করছেন স্বামী ৷ শুক্রবার কাকভোরে বচন টুডুর চিৎকারে ঘুম ভাঙে হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরইল গ্রামের বাসিন্দাদের ৷ খুন হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী ওরফে খাগরি রায়(26)৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার দিনভর চাঞ্চল্য ছড়ায় হবিবপুর জুড়ে(Husband Detained for Alligation of Killing Wife in Malda)৷

খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়(Crime in Malda)৷ এই ঘটনায় নিরইল গ্রামের এক বাসিন্দা হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বচন টুডুকে আটক করেছে পুলিশ(Malda News)৷

সাবিত্রী রায়ের বাপের বাড়ি নিরইল গ্রামে ৷ বাবা-মা দীর্ঘদিন আগে মারা গিয়েছেন ৷ দুই বোনের বিয়ে হয়েছে অন্যত্র ৷ বিয়ের পর দাদাও শ্বশুরবাড়িতে থাকেন ৷ অন্নের সংস্থানে বছর তিনেক আগে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান গিয়ে পরিচয় হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার করদহের বাসিন্দা, 30 বছরের বচনের ৷ বছর খানেক আগে তাঁদের বিয়েও হয় ৷ বিয়ের পর করদহেই থাকতেন তাঁরা দু’জন ৷ কিন্তু দাম্পত্য ঝামেলার কারণে মাস দু'য়েক আগে বাপের বাড়িতে চলে আসেন সাবিত্রী ৷ সেখানে একাই থাকতে শুরু করেন ৷ কয়েকদিন আগে স্বামী বচন সেখানে যাওয়ার পর থেকে দু’জনেই নিরইল গ্রামে সাবিত্রীর বাপের বাড়িতেই থাকতেন ৷

হবিবপুরে খুনের ঘটনায় গ্রামবাসীর বক্তব্য

আরও পড়ুন : প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ের খবর শুনে আত্মঘাতী যুবক

শুক্রবার ভোরে নিরইল গ্রামের বাসিন্দারা বচনের চিৎকার শুনতে পান ৷ তিনি খুন, খুন করে চিৎকার করছিলেন ৷ ঘুম থেকে উঠে গ্রামবাসীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, বাড়ির উঠোনে সাবিত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে ৷ পাশে পড়ে রয়েছে কাটা মুণ্ডু ৷ গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়, বচনই তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন ৷ খবর যায় হবিবপুর থানায় ৷ পুলিশ এসে বচনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সঙ্গে সাবিত্রীর দেহটিও উদ্ধার করে ৷

এই বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা মিনতি ওঁরাও বলেন, "ওই ছেলেটার মাথার গণ্ডগোল রয়েছে ৷ তবে ওদের মধ্যে কোনও ঝামেলা দেখিনি ৷ শুক্রবার ভোরে হঠাৎ ছেলেটি পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে ৷ ওর চিৎকারে লোকজন ঘুম থেকে জেগে ওঠে ৷ খানিক পরেই গ্রামে হট্টগোল শুরু হয় ৷ ওদের বাড়িতে গিয়ে দেখি, মেয়েটার ধড় এক জায়গায় পড়ে রয়েছে, মুণ্ডু অন্য জায়গায় ৷ গ্রামের লোকজন ছেলেটাকে ধরে রেখে পুলিশে খবর দেয় ৷ পুলিশ এসে তাকে তুলে নিয়ে যায় ৷ পরে দেহটিও নিয়ে গিয়েছে ৷ আমরা নিশ্চিত, ছেলেটাই ওর বউকে গলা কেটে খুন করেছে ৷"

হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার গলা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে ৷ ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় ওই গ্রামের সুজয় মার্ডি নামে এক ব্যক্তি বচন টুডুর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় বচনকে আটক করা হয়েছে ৷ তাকে জেরা করা হচ্ছে ৷ তবে সে এখনও সেভাবে মুখ খোলেনি ৷

আরও পড়ুন : খেলার সময় চাকে ঢিল, বোলতার কামড়ে মৃত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র

মালদা, 24 সেপ্টেম্বর: ধড় থেকে খানিকটা দূরে পড়ে রয়েছে মুণ্ডু ৷ খুন, খুন বলে চিৎকার করছেন স্বামী ৷ শুক্রবার কাকভোরে বচন টুডুর চিৎকারে ঘুম ভাঙে হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরইল গ্রামের বাসিন্দাদের ৷ খুন হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী ওরফে খাগরি রায়(26)৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার দিনভর চাঞ্চল্য ছড়ায় হবিবপুর জুড়ে(Husband Detained for Alligation of Killing Wife in Malda)৷

খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়(Crime in Malda)৷ এই ঘটনায় নিরইল গ্রামের এক বাসিন্দা হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বচন টুডুকে আটক করেছে পুলিশ(Malda News)৷

সাবিত্রী রায়ের বাপের বাড়ি নিরইল গ্রামে ৷ বাবা-মা দীর্ঘদিন আগে মারা গিয়েছেন ৷ দুই বোনের বিয়ে হয়েছে অন্যত্র ৷ বিয়ের পর দাদাও শ্বশুরবাড়িতে থাকেন ৷ অন্নের সংস্থানে বছর তিনেক আগে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান গিয়ে পরিচয় হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার করদহের বাসিন্দা, 30 বছরের বচনের ৷ বছর খানেক আগে তাঁদের বিয়েও হয় ৷ বিয়ের পর করদহেই থাকতেন তাঁরা দু’জন ৷ কিন্তু দাম্পত্য ঝামেলার কারণে মাস দু'য়েক আগে বাপের বাড়িতে চলে আসেন সাবিত্রী ৷ সেখানে একাই থাকতে শুরু করেন ৷ কয়েকদিন আগে স্বামী বচন সেখানে যাওয়ার পর থেকে দু’জনেই নিরইল গ্রামে সাবিত্রীর বাপের বাড়িতেই থাকতেন ৷

হবিবপুরে খুনের ঘটনায় গ্রামবাসীর বক্তব্য

আরও পড়ুন : প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ের খবর শুনে আত্মঘাতী যুবক

শুক্রবার ভোরে নিরইল গ্রামের বাসিন্দারা বচনের চিৎকার শুনতে পান ৷ তিনি খুন, খুন করে চিৎকার করছিলেন ৷ ঘুম থেকে উঠে গ্রামবাসীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, বাড়ির উঠোনে সাবিত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে ৷ পাশে পড়ে রয়েছে কাটা মুণ্ডু ৷ গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়, বচনই তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন ৷ খবর যায় হবিবপুর থানায় ৷ পুলিশ এসে বচনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সঙ্গে সাবিত্রীর দেহটিও উদ্ধার করে ৷

এই বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা মিনতি ওঁরাও বলেন, "ওই ছেলেটার মাথার গণ্ডগোল রয়েছে ৷ তবে ওদের মধ্যে কোনও ঝামেলা দেখিনি ৷ শুক্রবার ভোরে হঠাৎ ছেলেটি পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে ৷ ওর চিৎকারে লোকজন ঘুম থেকে জেগে ওঠে ৷ খানিক পরেই গ্রামে হট্টগোল শুরু হয় ৷ ওদের বাড়িতে গিয়ে দেখি, মেয়েটার ধড় এক জায়গায় পড়ে রয়েছে, মুণ্ডু অন্য জায়গায় ৷ গ্রামের লোকজন ছেলেটাকে ধরে রেখে পুলিশে খবর দেয় ৷ পুলিশ এসে তাকে তুলে নিয়ে যায় ৷ পরে দেহটিও নিয়ে গিয়েছে ৷ আমরা নিশ্চিত, ছেলেটাই ওর বউকে গলা কেটে খুন করেছে ৷"

হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার গলা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে ৷ ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় ওই গ্রামের সুজয় মার্ডি নামে এক ব্যক্তি বচন টুডুর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় বচনকে আটক করা হয়েছে ৷ তাকে জেরা করা হচ্ছে ৷ তবে সে এখনও সেভাবে মুখ খোলেনি ৷

আরও পড়ুন : খেলার সময় চাকে ঢিল, বোলতার কামড়ে মৃত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র

Last Updated : Sep 24, 2022, 9:40 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.