মালদা, 27 জুন : কোরোনা আবহে দেশজুড়ে একপ্রকার বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা৷ হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেন চলাচল করলেও তা চাহিদা ও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। মালদা থেকে আপাতত দুটি স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলছে। আরও একটি ট্রেন চলাচল শুরু হতে চলেছে। এই পরিস্থিতি ট্রেনে কোরোনা সংক্রমণ ও রেলকর্মীদের সংক্রমিত হওয়া রুখতে মালদা টাউন স্টেশনে আজ হিউম্যান বডি টেম্পারেচার স্ক্রিনিং সিস্টেম চালু করা হল। আজ দুপুরে এই সিস্টেমের উদ্বোধন করেন DRM যতীন্দ্র কুমার।
জেলায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোরোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। আজ পর্যন্ত জেলায় কোরোনা সংক্রমিতের সংখ্যা 540। সংক্রমিতদের মধ্যে বেশিরভাগেরই কোনও উপসর্গ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া মুশকিল। কোরোনা আবহের মধ্যেই মালদা টাউন স্টেশন দিয়ে পদাতিক এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপুত্র মেইল দুটি স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করছে। এই ট্রেনের যাত্রীদের টিকিট চেক করে ম্যানুয়াল স্ক্রিনিং করে ট্রেনে তোলা হত। এতে রেলকর্মীদের যেমন সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যেত, এবং এই পদ্ধতিতে অনেকটা সময় ব্যয় হত। তার বিকল্প হিসেবে আজ থেকে মালদা টাউন স্টেশনে চালু হল হিউম্যান বডি টেম্পারেচার স্ক্রিনিং সিস্টেম।
DRM যতীন্দ্রকুমার বলেন, “মালদাতে আপাতত পদাতিক এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপুত্র মেইল এই দুটি স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করছে। গোহাটি-এলটিটি আরও একটি ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এতদিন সমস্ত প্যাসেঞ্জারকে ম্যানুয়ালি স্ক্রিনিং করে টিকিট চেক করতে হত। তবে এখন থেকে দূরত্ব বজায় রেখে স্ক্রিনিং ও টিকিট চেকিং করা যাবে। যখনই কোনও যাত্রী স্টেশনে আসবে তখনই সিস্টেমে ওই যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে যাবে। যদি কোনও যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে তবে সিস্টেমে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। যদি এমন কোনও যাত্রী পাওয়া যায় তবে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”