কলকাতা 15 নভেম্বর: মালদার শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত -2 প্রধানের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধি রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্য়ারান্টি স্কিমের টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ। পরিপ্রেক্ষিতে সিএজির (কন্ট্রোলার অডিটর জেনারেল) এর তত্ত্বাবধানে অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলকে সম্পূর্ণ কাজের পুনরায় অডিটের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলকে আগামী 14 ফেব্রুয়ারির মধ্য়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।
এই সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী ও অনিন্দ্য ঘোষ জানালেন, "যে কোনও ধরনের সরকারি কাজের ক্ষেত্রে 1 লক্ষ টাকার বেশি টাকার কাজ হলে তার জন্য টেন্ডার ডাকতে হয়। কিন্তু এখানে কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি আর হলেও পঞ্চায়েত প্রধান সেলিনা বিবি তার ছেলে ওয়াসিম আক্রমের কোম্পানিকে টেন্ডার দিয়ে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই অনুধাবন করা যায় কেমন দুর্নীতি হয়েছে এক্ষেত্রে। প্রায় 15 কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে বলে আমাদের অনুমান। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলকে সিএজির তত্ত্বাবধানে পূর্ণাঙ্গ অডিট করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে ৷ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মামলাটি শুনানির জন্য আসবে।"
আরও পড়ুন : ফের বাঘের হানায় সুন্দরবনে জখম মৎস্যজীবী
উল্লেখ্য মালদারই আরেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বন্যা ত্রাণের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিপুল দুর্নীতি সামনে এসেছিল কিছুদিন আগে । সেই সংক্রান্ত মামলা এখনও কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন।