মালদা, 6 অগাস্ট : ছবিটা আমূল বদলে গেল 24 ঘণ্টার মধ্যেই ৷ গতকাল পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে জেলার দুই শহর ছিল যানবাহন শূন্য ৷ কিন্তু আজ পরিচিত ছন্দে ফিরে এসেছে দুই শহরই ৷ লকডাউন উঠতেই দুই শহরে দেখা গেল চেনা যানজট ৷ তবে মালদা শহরের তুলনায় সেই ছবিটা পুরাতন মালদায় খানিকটা বেশি চোখে পড়েছে ৷ অভিযোগ মঙ্গলবাড়ি এলাকায় একশ্রেণির লরিচালকের জন্য পাঁচ মিনিটের রাস্তা পেরোতে সময় লেগেছে দুই ঘণ্টারও বেশি৷ এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে মালদা থানার পুলিশের বিরুদ্ধেও ৷ যদিও পুলিশের দাবি, যানজট নিয়ন্ত্রণে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ কিন্তু কোরোনার কারণে আজ রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যায়নি ৷
যানজটে আটকে থাকতে হয় রোগী সহ অ্যাম্বুলেন্সকেও ৷ একাংশ গাড়িচালদের অভিযোগ যানজটের সময় দেখা মেলেনি কোনও পুলিশকর্মীর ৷ এক ছোট লরির চালক মহম্মদ এরশাদ বলেন, "এফসিআই গোডাউনে লরি ঢুকছে ৷ লরিচালকরা জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে ৷ তাতেই এমন যানজট ৷ মঙ্গলবাড়ি থেকে এফসিআই পর্যন্ত আসতে দুই ঘণ্টা সময় লেগে গিয়েছে ৷ যানজটে অ্যাম্বুলেন্সও আটকে রয়েছে ৷ অথচ কোনও পুলিশ কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারের দেখা নেই ৷"
মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা প্রতিদিনই এফসিআই গোডাউনের সামনে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করি ৷ কিন্তু কোরোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ৷ থানার অনেক পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রমিত ৷ সেই কারণেই আজ সকালে কিছুক্ষণ সেখানে কাউকে নিয়োগ করা যায়নি ৷ তবে যানজটের খবর পেয়েই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয় ৷”