মালদা, 29 নভেম্বর : ওমিক্রনের (Omicron) সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কিত বিশ্ব ৷ ভারতও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশের প্রতিটি রাজ্যকে করোনার নতুন এই সংস্করণ বা ভ্য়ারিয়ান্ট সম্পর্কে সতর্ক করেছে ৷ এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব, রাজ্যবাসীকে করোনা টিকার (Covid Vaccination Program) আওতায় আনতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর ৷ তার জন্য রবিবারও টিকাকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সপ্তাহান্তের ছুটি বাতিল (Off Day Cancellation Notice) করা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের ৷ আর এ নিয়েই বেধেছে গোল ৷ সরকারি এই নির্দেশিকা মানা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মালদা জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ ৷ এমনকী, সরকারি নির্দেশিকার প্রতিবাদ জানাতে রবিবার তাঁরা বেশ কিছু ব্লকে আয়োজিক করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি বয়কটও করেন ৷ সোমবার এ নিয়ে বামনগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন তাঁরা ৷ সরকারি এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠনও ৷
আরও পড়ুন : India Issues New Travel Guideline : ওমিক্রন আতঙ্কে বিদেশি যাত্রীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ মিলতেই দেশবাসীকে দ্রুত কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সেই নির্দেশ মেনে কাজ করছে মালদা জেলা স্বাস্থ্য দফতরও ৷ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলার 29 লক্ষ 53 হাজার 308 জন ভোটারের মধ্যে 45 বছরের বেশি বয়সি 8 লক্ষ 70 হাজার 315 জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে ৷ 18 থেকে 45 বছর বয়সি থাকা 15 লক্ষ 5 হাজার 88 জনও প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৷ সব মিলিয়ে প্রথম ডোজ পেয়েছেন 23 লক্ষ 75 হাজার 403 জন ৷ এখনও প্রথম ডোজ পাননি 5 লক্ষ 77 হাজার 905 জন ভোটার ৷ 45 বছরের উপরে 4 লক্ষ 40 হাজার 410 জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৷ 18 থেকে 45 বছর বয়সি ভোটারদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা 3 লক্ষ 14 হাজার 412 ৷ অর্থাৎ সব মিলিয়ে 7 লক্ষ 54 হাজার 822 জন ভোটার করোনা টিকার দু’টি ডোজই পেয়েছেন।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট এদেশে এখনও হানা দেয়নি বলেই খবর ৷ তবে তেমন ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিটি মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনতে চাইছে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার ৷ সমস্যা তৈরি হয়েছে কিছু মানুষের টিকা নেওয়ায় অনীহা ৷ সেই কারণেই রবিবারও টিকাকরণ কর্মসূচি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ৷ টিকা নিয়ে মানুষকে সচেতন করার দায়িত্বে রয়েছেন এএনএম ও আশাকর্মীরা ৷ ইতিমধ্যে রবিবার তাঁদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করেছে সরকার ৷ আর এই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, একদিনও ছুটি না নিয়ে কাজ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ কারণ, এর ফলে তাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বেন ৷
আরও পড়ুন : WHO on Omicron: ডেল্টার থেকেও ভয়ংকর ওমিক্রন ? কী বলছে হু
এ নিয়ে বামনগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ কুণ্ডু সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে চাননি ৷ তবে মালদা জেলায় টিকাকরণের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রতিদিনই করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ মিলছে ৷ এই মুহূর্তে ওমিক্রন নিয়ে গোটা বিশ্ব চিন্তিত ৷ সেই কারণেই টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ আর তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ৷ সরকারি নির্দেশ সবাইকে মেনে চলতে হবে ৷