ETV Bharat / state

Deer Park: শীত আসতেই পর্যটক টানতে তৈরি হরিশ্চন্দ্রপুরের ডিয়ার পার্ক - picnic spot in malda

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে রয়েছে একটি ডিয়ার পার্ক ৷ শীতের মরশুম আসতেই পর্যটকদের উদ্দেশ্যে সেজে উঠছে এই পার্ক ৷ কী কী রয়েছে এখানে ?

Etv Bharat
শীত আসতেই পর্যটক টানতে তৈরি হরিশ্চন্দ্রপুরের ডিয়ার পার্ক
author img

By

Published : Nov 1, 2022, 9:31 PM IST

মালদা, 1 নভেম্বর: আসছে শীতের মরশুম ৷ পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা ডিয়ার পার্ক ৷

2003 সালে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লক অফিস সংলগ্ন জায়গায় তৈরি করা হয় শিশু উদ্যান ও ডিয়ার পার্ক ৷ ছাড়া হয় 6টি হরিণ ৷ এই পার্ক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন বিডিও অশোককুমার মোদক ৷ পরবর্তীতে তিনি মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্বও সামলেছেন ৷ নির্মাণের পর প্রথম পর্যায়ে মানুষজনের ভিড় বাড়লেও সময়ের সঙ্গে পার্কে মানুষজনের আনাগোনা কমতে থাকে ৷

কারণ, অশোকবাবু ব্লকের দায়িত্ব ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর সেভাবে পার্কটির দেখাশোনা করা হত না ৷ পার্কের খরচ চালানো নিয়েও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছিল ৷ খাবার না পেয়ে গোটা দু'য়েক হরিণ মারাও যায় ৷ বন বিভাগ বাকি হরিণগুলিকে রায়গঞ্জের কুলিক বনাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করলে নড়েচড়ে বসে পঞ্চায়েত সমিতি ৷ পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায় ৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে 2018 সালে পার্কটিকে ফের নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয় ৷ পার্কের ভিতরে বোটিং ও বাইরে পিকনিকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : সন্ধে নামলেই 'অন্ধকূপ' হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশন

এই বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম বলেন, "মাত্র ছ’টি হরিণ নিয়ে 2003 সালে এই ডিয়ার পার্ক চালু হয়েছিল ৷ তবে সেই সময় পার্কের পরিকাঠামো এখনকার মতো ছিল না ৷ এখন পার্কে হরিণের সঙ্গে দেশি-বিদেশি পাখিও রাখা হয়েছে ৷ এছাড়াও বোটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে ৷ বাচ্চাদের জন্য খেলার সামগ্রী সেখানে স্থাপন করা হয়েছে ৷ 2018 সালে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন ফান্ডের প্রায় দু’কোটি টাকায় আমরা পার্কটি ফের সাজিয়ে তুলেছি ৷ এখন এখানে 27টি হরিণ রয়েছে ৷

শীতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি পার্ক

বছর দশেক আগে খাবারের অভাবের জন্য এই পার্কের হরিণগুলিকে রায়গঞ্জে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছিল ৷ পার্কটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল ৷ আমরাই বাধা দিয়ে প্রশাসনকে সেই কাজ করা থেকে বিরত করি ৷ বর্তমানে মানুষ এখানে আসছে ৷ এই পার্ক পরিচালনার জন্য সরকারের তরফে কোনও টাকা দেওয়া হয় না ৷ পঞ্চায়েত সমিতিই সমস্ত খরচ দেয় ৷ তাই পর্যটকদের জন্য 10 টাকার প্রবেশমূল্য ধার্য করা হয়েছে ৷ যদিও শিশুদের জন্য কোনও টিকিট নেই ৷ আর দুঃস্থরা প্রয়োজনে বিডিওর সঙ্গে কথা বলে বিনা পয়সায় পার্কে ঢুকতে পারেন ৷ বোটিং করার জন্য আমরা 20 টাকা টিকিট রেখেছি ৷"

মনিরুল সাহেব এদিন আরও বলেন, "আমরা পার্কের ভিতরে কাউকে পিকনিক করতে দিই না ৷ তবে পার্কের বাইরে পিকনিক করার ব্যবস্থা রেখেছি ৷ ঠান্ডার মরশুম এগিয়ে আসছে ৷ আমরা সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি, কেউ যদি গ্রাম্য পরিবেশে পরিবার নিয়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চান, তবে বারদুয়ারি ডিয়ার পার্কে আসুন ৷"


আরও পড়ুন : স্বল্প ছুটিতে আপনার ঠিকানা হতে পারে পুরুলিয়ার হাতিপাথর

মালদা, 1 নভেম্বর: আসছে শীতের মরশুম ৷ পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা ডিয়ার পার্ক ৷

2003 সালে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লক অফিস সংলগ্ন জায়গায় তৈরি করা হয় শিশু উদ্যান ও ডিয়ার পার্ক ৷ ছাড়া হয় 6টি হরিণ ৷ এই পার্ক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন বিডিও অশোককুমার মোদক ৷ পরবর্তীতে তিনি মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্বও সামলেছেন ৷ নির্মাণের পর প্রথম পর্যায়ে মানুষজনের ভিড় বাড়লেও সময়ের সঙ্গে পার্কে মানুষজনের আনাগোনা কমতে থাকে ৷

কারণ, অশোকবাবু ব্লকের দায়িত্ব ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর সেভাবে পার্কটির দেখাশোনা করা হত না ৷ পার্কের খরচ চালানো নিয়েও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছিল ৷ খাবার না পেয়ে গোটা দু'য়েক হরিণ মারাও যায় ৷ বন বিভাগ বাকি হরিণগুলিকে রায়গঞ্জের কুলিক বনাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করলে নড়েচড়ে বসে পঞ্চায়েত সমিতি ৷ পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায় ৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে 2018 সালে পার্কটিকে ফের নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয় ৷ পার্কের ভিতরে বোটিং ও বাইরে পিকনিকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : সন্ধে নামলেই 'অন্ধকূপ' হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশন

এই বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম বলেন, "মাত্র ছ’টি হরিণ নিয়ে 2003 সালে এই ডিয়ার পার্ক চালু হয়েছিল ৷ তবে সেই সময় পার্কের পরিকাঠামো এখনকার মতো ছিল না ৷ এখন পার্কে হরিণের সঙ্গে দেশি-বিদেশি পাখিও রাখা হয়েছে ৷ এছাড়াও বোটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে ৷ বাচ্চাদের জন্য খেলার সামগ্রী সেখানে স্থাপন করা হয়েছে ৷ 2018 সালে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন ফান্ডের প্রায় দু’কোটি টাকায় আমরা পার্কটি ফের সাজিয়ে তুলেছি ৷ এখন এখানে 27টি হরিণ রয়েছে ৷

শীতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি পার্ক

বছর দশেক আগে খাবারের অভাবের জন্য এই পার্কের হরিণগুলিকে রায়গঞ্জে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছিল ৷ পার্কটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল ৷ আমরাই বাধা দিয়ে প্রশাসনকে সেই কাজ করা থেকে বিরত করি ৷ বর্তমানে মানুষ এখানে আসছে ৷ এই পার্ক পরিচালনার জন্য সরকারের তরফে কোনও টাকা দেওয়া হয় না ৷ পঞ্চায়েত সমিতিই সমস্ত খরচ দেয় ৷ তাই পর্যটকদের জন্য 10 টাকার প্রবেশমূল্য ধার্য করা হয়েছে ৷ যদিও শিশুদের জন্য কোনও টিকিট নেই ৷ আর দুঃস্থরা প্রয়োজনে বিডিওর সঙ্গে কথা বলে বিনা পয়সায় পার্কে ঢুকতে পারেন ৷ বোটিং করার জন্য আমরা 20 টাকা টিকিট রেখেছি ৷"

মনিরুল সাহেব এদিন আরও বলেন, "আমরা পার্কের ভিতরে কাউকে পিকনিক করতে দিই না ৷ তবে পার্কের বাইরে পিকনিক করার ব্যবস্থা রেখেছি ৷ ঠান্ডার মরশুম এগিয়ে আসছে ৷ আমরা সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি, কেউ যদি গ্রাম্য পরিবেশে পরিবার নিয়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চান, তবে বারদুয়ারি ডিয়ার পার্কে আসুন ৷"


আরও পড়ুন : স্বল্প ছুটিতে আপনার ঠিকানা হতে পারে পুরুলিয়ার হাতিপাথর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.