মালদা, ১৯ নভেম্বর : সাধারণত, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সভায় পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কর্তারা মুখ বন্ধ রাখাই শ্রেয় মনে করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর মুখের উপর কথা বলার সাহস দেখান না কেউই ৷ কিন্তু, মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামের দুর্গা কিঙ্কর সদনে দেখা গেল ভিন্ন ছবি ৷ এর কেন্দ্রে ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত সেন ৷ তিনি কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের কাজকর্ম নিয়ে গতকাল প্রশ্ন তোলেন ৷
মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই শিক্ষা সচিবের ত্রুটি ধরিয়ে দিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য - Gourbanga University VC protests at administrative meeting
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় যখন পুলিশ ও প্রশাসনের সবাই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কথা মেনে নিতেই ব্যস্ত, ঠিক তখনই খানিকটা প্রতিবাদের ভাষা শোনা গেল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের গলায় ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই শিক্ষা সচিবের ত্রুটি ধরিয়ে দিলেন তিনি ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে ছাত্র ভরতি প্রসঙ্গে শিক্ষা সচিব রিপোর্ট পাননি বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন ৷ সচিবের মুখে সেকথা শুনেই উপাচার্য সাফ জানিয়ে দেন, তিনি সময়মতো সমস্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন ৷ তার প্রমাণও তাঁর কাছে রয়েছে৷ এবিষয়ে যদি শিক্ষা সচিবের জানা না থাকে, তবে তাঁর কিছু করার নেই ৷
প্রশাসনিক সভায় প্রতিবাদী উপাচার্য
মালদা, ১৯ নভেম্বর : সাধারণত, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সভায় পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কর্তারা মুখ বন্ধ রাখাই শ্রেয় মনে করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর মুখের উপর কথা বলার সাহস দেখান না কেউই ৷ কিন্তু, মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামের দুর্গা কিঙ্কর সদনে দেখা গেল ভিন্ন ছবি ৷ এর কেন্দ্রে ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত সেন ৷ তিনি কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের কাজকর্ম নিয়ে গতকাল প্রশ্ন তোলেন ৷
Intro:মালদা, ১৯ নভেম্বরঃ ভরা সভায় যখন পুলিশ ও প্রশাসনের সবাই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কথা মেনে নিতেই ব্যস্ত, ঠিক তখনই খানিকটা প্রতিবাদের ভাষা শোনা গেল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের গলায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই শিক্ষা সচিবের ত্রুটি ধরিয়ে দিলেন তিনি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে ছাত্র ভরতি প্রসঙ্গে শিক্ষা সচিব রিপোর্ট পাননি বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন৷ সচিবের মুখে সেকথা শুনেই উপাচার্য সাফ জানিয়ে দেন, তিনি সময়মতো সমস্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন৷ তার প্রমাণও তাঁর কাছে রয়েছে৷ এবিষয়ে যদি শিক্ষা সচিবের জানা না থাকে, তবে তাঁর কিছু করার নেই৷Body:সাধারণত, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সভায় পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কর্তারা মুখ বন্ধ রাখাই শ্রেয় মনে করেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর মুখের উপর কথা বলার সাহস দেখান না কেউই৷ কিন্তু আজ মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামের দুর্গাকংকর সদনে দেখা গেছে ভিন্ন ছবি৷ এর কেন্দ্রে ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত সেন৷ আজ তিনি নিজের বক্তব্যে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের কাজকর্ম নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন৷
এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী উপাচার্যকে বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে ছাত্র ভরতি নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ বেশ কিছু পড়ুয়া কলেজে ভরতি হতে পারছে না৷ এনিয়ে উপাচার্যের কাছে জানতে চান তিনি৷ উপাচার্য জানান, তিনি ভরতি সম্পর্কীয় যাবতীয় তথ্য যথাসময়ে শিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়েছেন৷ ফোনে শিক্ষা সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন৷ সচিবের পরামর্শ মেনেই তিনি ছাত্র ভরতি সম্পর্কীয় যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন৷ উপাচার্যের মুখে একথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে শিক্ষা সচিবের কাছে জানতে চান৷ শিক্ষা সচিব জানান, “সকালে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি মালদার উইমেন্স কলেজ, সামসী কলেজ ও সাউথ মালদা কলেজে বেশ কিছু জায়গা ফাঁকা রয়েছে৷ মালদা জেলার ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার সায়েন্স, পলিটিক্যাল সায়েন্সে ভরতির আগ্রহ কম৷ যখনই ছাত্র ভরতির আবেদন আসে, তখনই আমরা অনুমতি দিয়ে থাকি৷ তবে ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে আমরা কোনও রিপোর্ট পাইনি৷”
Conclusion:সচিবের মুখে একথা শুনে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করেন উপাচার্য৷ তিনি জানান, “ছাত্র ভরতির ক্ষমতা ইউনিভার্সিটির হাতে নেই৷ ছাত্র ভরতির সমস্ত প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে৷ যখনই আমার কাছে ভরতির আবেদন আসে, আমি শিক্ষা দপ্তরে তা পাঠিয়ে দিই৷ আমরা হায়ার এডুকেশন কাউন্সিলের সাম্প্রতিক মিটিংয়েও সমস্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি৷ সেটা যদি শিক্ষা সচিবের জানা না থাকে, তবে আমার কিছু করার নেই৷ আমরা সময়মতো সমস্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছি৷ তার প্রমাণও রয়েছে৷”
এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী উপাচার্যকে বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে ছাত্র ভরতি নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ বেশ কিছু পড়ুয়া কলেজে ভরতি হতে পারছে না৷ এনিয়ে উপাচার্যের কাছে জানতে চান তিনি৷ উপাচার্য জানান, তিনি ভরতি সম্পর্কীয় যাবতীয় তথ্য যথাসময়ে শিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়েছেন৷ ফোনে শিক্ষা সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন৷ সচিবের পরামর্শ মেনেই তিনি ছাত্র ভরতি সম্পর্কীয় যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন৷ উপাচার্যের মুখে একথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে শিক্ষা সচিবের কাছে জানতে চান৷ শিক্ষা সচিব জানান, “সকালে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি মালদার উইমেন্স কলেজ, সামসী কলেজ ও সাউথ মালদা কলেজে বেশ কিছু জায়গা ফাঁকা রয়েছে৷ মালদা জেলার ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার সায়েন্স, পলিটিক্যাল সায়েন্সে ভরতির আগ্রহ কম৷ যখনই ছাত্র ভরতির আবেদন আসে, তখনই আমরা অনুমতি দিয়ে থাকি৷ তবে ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে আমরা কোনও রিপোর্ট পাইনি৷”
Conclusion:সচিবের মুখে একথা শুনে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করেন উপাচার্য৷ তিনি জানান, “ছাত্র ভরতির ক্ষমতা ইউনিভার্সিটির হাতে নেই৷ ছাত্র ভরতির সমস্ত প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে৷ যখনই আমার কাছে ভরতির আবেদন আসে, আমি শিক্ষা দপ্তরে তা পাঠিয়ে দিই৷ আমরা হায়ার এডুকেশন কাউন্সিলের সাম্প্রতিক মিটিংয়েও সমস্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি৷ সেটা যদি শিক্ষা সচিবের জানা না থাকে, তবে আমার কিছু করার নেই৷ আমরা সময়মতো সমস্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছি৷ তার প্রমাণও রয়েছে৷”