মালদা, 26 মার্চ: একবিংশ শতাব্দীতেও কুসংস্কারচ্ছন্নতার নিদর্শন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মালদার গাজোলের এক নাবালিকার পরিবার ৷ শুক্রবার ঘর থেকে বেরাতেই পায়ে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ায় গাজোলের বাসিন্দা সুমিম মুর্মুকে ৷ চিকিৎসার জন্য প্রথমে স্থানীয় গাজোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে অ্যান্টি ভেনাম ইন্জেকশন দিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয় ৷ কিন্তু মালদা মেডিক্যাল কলেজে না গিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে ওই রোগী ও তার পরিবার (Malda Shaman Trying To Recover Snake Bitten Girl ) ৷
আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে বালকের মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে
ওই রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে তাকে স্থানীয় মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আধিবাসী অধ্যুষিত নেমুয়া কামাত গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ এই গ্রামেই সুমিম মুর্মুর দাদু সরকার সোরেনের বাড়ি ৷ সেখানেই সারা রাত ধরে নাতনিকে ঝাড়ফুঁক করেন দাদু সরকার সোরেন ৷ এই গ্রামের মোড়ল তিনি ৷ তাঁর নির্দেশে সাপটিকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয় (Snake Bite Girl Victims Of Superstition) ৷
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আজ সকালে তাঁর বাড়িতে যান সর্পপ্রেমী নিতাই হালদার ও আরও কয়েকজন । তাঁরা সরকারবাবুকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, ঝাড়ফুঁক করে সাপের বিষ শরীর থেকে নামে না । নাবালিকার সাপে কাটা পা দেখানো হয় ৷ ইতিমধ্যেই সাপের বিষে পা ফুলে গিয়েছে তার ৷ বোঝানো হয়, দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন ৷ এখনই মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন । কিন্তু তাঁদের কোনও কথায় কান দিতে চাননি সরকার সোরেন ও তাঁর পরিবারের লোকজন । শেষ পর্যন্ত খবর যায় মালদা থানায় । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘক্ষণ পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে সুমিমকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়।