হরিশ্চন্দ্রপুর, 19 সেপ্টেম্বর : মায়ের অভিযোগ মেয়েকে খুন করা হয়েছে ৷ সেই মতো অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ময়নাতদন্তের জন্য কবর খুঁড়ে তোলা হল নাবালিকার মৃতদেহ । ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠায় পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মিলনগড় কোচপুকুর এলাকায় । মৃত নাবালিকার নাম ডলি খাতুন (13) ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 10 সেপ্টেম্বর মা তাজকেরা খাতুন ও বাবা সাহাবুদ্দিন শেখ মাঠে যাওয়ার পর বাড়িতে একাই ছিল ডলি ৷ ঘন্টাখানেক বাদে সাহাবুদ্দিন শেখকে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় ডলি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে । এমনটাই অভিযোগ জানান ডলির বাবা ৷ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়িতে ফিরে দেখেন মেয়ে খাটে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । এরপরেই পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ডলিকে কবরস্থ করেন ।
গত শুক্রবার পরিবারের লোকজন বড় মেয়ের মতো ছোট মেয়েকেও খুন করার হুমকি দিলে পুলিশের দ্বারস্থ হন মা তাজকেরা বিবি । মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে করব থেকে ডলি খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ।
তাজকেরা বিবি বলেন, "আমি মেয়েকে বাড়িতে রেখে জমিতে গিয়েছিলাম । জমিতে সার দেওয়ার সময় আমরা খবর পাই মেয়ে মারা গিয়েছে । বাড়ি ফিরে দেখি মেয়ের মৃতদেহ খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে । আমার মেয়ে মারা যায়নি । আমার শ্বশুর-শাশুড়ি-দেওররা মিলে ওকে মেরে ফেলেছে । আমার স্বামী মেয়ের নামে জমি লিখে দিয়েছে । কিন্তু তাতে রাজি ছিল না শ্বশুর-শাশুড়ি । সেই কারণেই ওরা আমার মেয়েকে খুন করেছে । মেয়ের মৃতদেহ দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে গেলে সুযোগ বুঝে ওরা গ্রামের লোকজন নিয়ে মেয়েকে কবরস্থ করে দেয় । গত পরশু শাশুড়ি আমাকে বলে, তুই কান্নাকাটি করছিস । তোর একটা মেয়েকে খেয়েছি, এবার তোকেও খাব । তোর ছোট মেয়েকেও খাব । এরপরেই আমাকে হাঁসুয়া নিয়ে তাড়া করে । আমি প্রাণ ভয়ে বাবার বাড়ি পালিয়ে যাই । এরপরেই আমি থানাতে অভিযোগ দায়ের করি । যারা আমার মেয়েকে খুন করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই ।"
আরও পড়ুন : Malda Medical : মালদা মেডিক্যালে শিশু মৃত্যু বেড়ে হল 3 ; অস্বাভাবিক নয়, দাবি কর্তৃপক্ষের