ETV Bharat / state

Malda Murder : চারজনের দেহ উদ্ধার, টাকার জন্যই কি খুন ? ভাবাচ্ছে পুলিশকে - Murder

আজ দুপুরে আসিফকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হয় কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ আসিফ পুলিশকে দেখিয়ে দেয় গুদামঘরের সেই জায়গা যেখানে সে বাবা-মা, ঠাকুমা ও ছোট বোনকে খুন করে পুঁতে রাখে ৷ সেখান থেকে চারটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷

মালদায় চারজনের দেহ উদ্ধার
মালদায় চারজনের দেহ উদ্ধার
author img

By

Published : Jun 19, 2021, 4:15 PM IST

Updated : Jun 19, 2021, 4:50 PM IST

মালদা, 19 জুন : অবশেষে জিগ’শয়ের ঘটনাই যেন প্রমাণিত হল ৷ বাড়ি লাগোয়া সুউচ্চ গুদামঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হল চারটি দেহ ৷ অভিযুক্ত আসিফই পুলিশকে সেই জায়গা দেখিয়ে দেয় ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মৃতদেহ নয়, অর্ধচেতন অবস্থাতেই চারজনকে সুড়ঙ্গ দিয়ে গুদামঘরে নিয়ে গিয়েছিল আসিফ ৷ তবে তার দাদা আরিফও সন্দেহের বাইরে নয় ৷ উদ্ধার করা দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷

আজ দুপুরে আসিফকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হয় কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ কিছুক্ষণ পর সেখানে যান কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের বিডিও, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷ আসিফ পুলিশকে দেখিয়ে দেয় গুদামঘরের সেই জায়গা যেখানে সে বাবা-মা, ঠাকুমা ও ছোট বোনকে খুন করে পুঁতে রাখে ৷ সেখান থেকে চারটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷

কিন্তু কীভাবে খুন করা হয়েছে এই চারজনকে ? পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে প্রথমে তাদের অবচেতন করে নেয় আসিফ ৷ তারপর তারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে সবাইকে গুদামঘরে নিয়ে যায় ৷ এই বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “গতকাল রাতে আরিফ মহম্মদ আমাদের জানায়, গত 28 ফেব্রুয়ারি তার ছোট ভাই বাবা-মা, ছোট বোন ও ঠাকুমাকে খুন করেছে ৷ সেই খবর পেয়েই পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে আসে ৷ কিন্তু বৃষ্টির জন্য রাতে তদন্ত চালানো যায়নি ৷ আজ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আসিফের দেখানো জায়গা থেকে আমরা চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি ৷ দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, 28 ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আসিফ ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চারজনকে খাইয়ে দেয় ৷ সেই বোতলটি উদ্ধার হয়েছে ৷ চারজন ওষুধের প্রভাবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সে সবাইকে দেওয়ালের সুড়ঙ্গ দিয়ে গুদামঘরে নিয়ে যায় ৷ সেখানে আগে থেকেই একটি চৌবাচ্চায় জল ভরে রেখেছিল সে ৷ চারজনের হাত-পা বেঁধে, মুখে টেপ লাগিয়ে চৌবাচ্চায় ফেলে দেয় ৷ তারপর জলের কল খুলে দেয় ৷ একটি মৃতদেহে এখনও টেপ লাগানো রয়েছে ৷ আরিফ সেই সময় ভাইকে বাধা দেয় ৷ কিন্তু ভাইয়ের রুদ্রমূর্তি দেখে সে পালিয়ে যায় ৷ আমরা আরিফের উদ্দেশ্যও খতিয়ে দেখছি ৷”

কালিয়াচকের বাড়ি থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার, কীভাবে খুন করা হয়েছে ? কী বলছে পুলিশ, শুনে নিন...

আরও পড়ুন, Malda Murder : 16 টি সিসিটিভির ঘেরাটোপ ! কীসের এত গোপনীয়তা কালিয়াচকের বাড়িতে ?

পুলিশ সুপার আরও বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, আসিফ তার বাবা-মায়ের কাছে টাকার দাবি করেছিল ৷ পারিবারিক জমিও তার নামে লিখে দিতে হবে বলে দাবি করে ৷ আমরা এখান থেকে কয়েক লাখ টাকাও উদ্ধার করেছি ৷ কিছু গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ তার দাদা জানিয়েছে, ভাইয়ের ইলেকট্রনিক গ্যাজেট কেনার শখ ছিল ৷ কেন তার এসবের প্রয়োজন ছিল তা আমাদের দেখতে হবে ৷ তবে এখন তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ৷ আদালতের মাধ্যমে আমরা আসিফকে নিজেদের হেফাজতে নেব ৷ তারপরেই এই ঘটনার রহস্যভেদ হবে ৷”

আরও পড়ুন, Malda Murder : চার মাস আগে পরিবারের চারজনকে খুন, বাড়িতে পুঁতে রেখে বাস ছেলের

কালিয়াচকের এই বাড়িটাই এখন সংবাদ শিরোনামে । পরিবারের চার সদস্যকে বাড়ির মধ্যেই জলের ট্যাঙ্কে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন । ছোট ছেলে আসিফ মেহবুব তার বাবা, মা, ঠাকুমা ও ছোট বোনকে খুন করে চৌবাচ্চায় পুঁতে দেয় । 28 ফেব্রুয়ারির ঘটনাটি ঘটে । তবে জানাজানি হয় গতরাতে । পুরো বিষয়টা জানত বাড়ির বড় ছেলে আরিফ ৷ এতদিন চুপ থাকার পর গতরাতে কালিয়াচক থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায় সে । সেই মতো আজ সকালে বাড়িতে পুলিশ আসে । বাড়িটাকে ঘিরে যেন রহস্য রয়েছে ৷ সারা বাড়িতে 16টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে ৷ আর রয়েছে সুড়ঙ্গ ৷ এই সুড়ঙ্গ দিয়েই পরিবারের চার সদস্যকে অচৈতন্য অবস্থায় গুদাম ঘরে নিয়ে যায় ৷ সেখানেই চৌবাচ্চায় পুঁতে দেওয়া হয় তাদের দেহ ৷ বর্তমানে পুরো বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে ।

মালদা, 19 জুন : অবশেষে জিগ’শয়ের ঘটনাই যেন প্রমাণিত হল ৷ বাড়ি লাগোয়া সুউচ্চ গুদামঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হল চারটি দেহ ৷ অভিযুক্ত আসিফই পুলিশকে সেই জায়গা দেখিয়ে দেয় ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মৃতদেহ নয়, অর্ধচেতন অবস্থাতেই চারজনকে সুড়ঙ্গ দিয়ে গুদামঘরে নিয়ে গিয়েছিল আসিফ ৷ তবে তার দাদা আরিফও সন্দেহের বাইরে নয় ৷ উদ্ধার করা দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷

আজ দুপুরে আসিফকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হয় কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ কিছুক্ষণ পর সেখানে যান কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের বিডিও, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷ আসিফ পুলিশকে দেখিয়ে দেয় গুদামঘরের সেই জায়গা যেখানে সে বাবা-মা, ঠাকুমা ও ছোট বোনকে খুন করে পুঁতে রাখে ৷ সেখান থেকে চারটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷

কিন্তু কীভাবে খুন করা হয়েছে এই চারজনকে ? পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে প্রথমে তাদের অবচেতন করে নেয় আসিফ ৷ তারপর তারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে সবাইকে গুদামঘরে নিয়ে যায় ৷ এই বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “গতকাল রাতে আরিফ মহম্মদ আমাদের জানায়, গত 28 ফেব্রুয়ারি তার ছোট ভাই বাবা-মা, ছোট বোন ও ঠাকুমাকে খুন করেছে ৷ সেই খবর পেয়েই পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে আসে ৷ কিন্তু বৃষ্টির জন্য রাতে তদন্ত চালানো যায়নি ৷ আজ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আসিফের দেখানো জায়গা থেকে আমরা চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি ৷ দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, 28 ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আসিফ ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চারজনকে খাইয়ে দেয় ৷ সেই বোতলটি উদ্ধার হয়েছে ৷ চারজন ওষুধের প্রভাবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সে সবাইকে দেওয়ালের সুড়ঙ্গ দিয়ে গুদামঘরে নিয়ে যায় ৷ সেখানে আগে থেকেই একটি চৌবাচ্চায় জল ভরে রেখেছিল সে ৷ চারজনের হাত-পা বেঁধে, মুখে টেপ লাগিয়ে চৌবাচ্চায় ফেলে দেয় ৷ তারপর জলের কল খুলে দেয় ৷ একটি মৃতদেহে এখনও টেপ লাগানো রয়েছে ৷ আরিফ সেই সময় ভাইকে বাধা দেয় ৷ কিন্তু ভাইয়ের রুদ্রমূর্তি দেখে সে পালিয়ে যায় ৷ আমরা আরিফের উদ্দেশ্যও খতিয়ে দেখছি ৷”

কালিয়াচকের বাড়ি থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার, কীভাবে খুন করা হয়েছে ? কী বলছে পুলিশ, শুনে নিন...

আরও পড়ুন, Malda Murder : 16 টি সিসিটিভির ঘেরাটোপ ! কীসের এত গোপনীয়তা কালিয়াচকের বাড়িতে ?

পুলিশ সুপার আরও বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, আসিফ তার বাবা-মায়ের কাছে টাকার দাবি করেছিল ৷ পারিবারিক জমিও তার নামে লিখে দিতে হবে বলে দাবি করে ৷ আমরা এখান থেকে কয়েক লাখ টাকাও উদ্ধার করেছি ৷ কিছু গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ তার দাদা জানিয়েছে, ভাইয়ের ইলেকট্রনিক গ্যাজেট কেনার শখ ছিল ৷ কেন তার এসবের প্রয়োজন ছিল তা আমাদের দেখতে হবে ৷ তবে এখন তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ৷ আদালতের মাধ্যমে আমরা আসিফকে নিজেদের হেফাজতে নেব ৷ তারপরেই এই ঘটনার রহস্যভেদ হবে ৷”

আরও পড়ুন, Malda Murder : চার মাস আগে পরিবারের চারজনকে খুন, বাড়িতে পুঁতে রেখে বাস ছেলের

কালিয়াচকের এই বাড়িটাই এখন সংবাদ শিরোনামে । পরিবারের চার সদস্যকে বাড়ির মধ্যেই জলের ট্যাঙ্কে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন । ছোট ছেলে আসিফ মেহবুব তার বাবা, মা, ঠাকুমা ও ছোট বোনকে খুন করে চৌবাচ্চায় পুঁতে দেয় । 28 ফেব্রুয়ারির ঘটনাটি ঘটে । তবে জানাজানি হয় গতরাতে । পুরো বিষয়টা জানত বাড়ির বড় ছেলে আরিফ ৷ এতদিন চুপ থাকার পর গতরাতে কালিয়াচক থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায় সে । সেই মতো আজ সকালে বাড়িতে পুলিশ আসে । বাড়িটাকে ঘিরে যেন রহস্য রয়েছে ৷ সারা বাড়িতে 16টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে ৷ আর রয়েছে সুড়ঙ্গ ৷ এই সুড়ঙ্গ দিয়েই পরিবারের চার সদস্যকে অচৈতন্য অবস্থায় গুদাম ঘরে নিয়ে যায় ৷ সেখানেই চৌবাচ্চায় পুঁতে দেওয়া হয় তাদের দেহ ৷ বর্তমানে পুরো বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে ।

Last Updated : Jun 19, 2021, 4:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.