হরিশচন্দ্রপুর, 23 অক্টোবর : নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এখন বৃষ্টি কমলেও থেকে গিয়েছে সেই বৃষ্টির প্রভাব ৷ প্রভাব পড়েছে আমন ধানের চাষে ৷ তিনদিনের বৃষ্টিতে অনেক ক্ষেতেই জমে গিয়েছে জল। ধান ফলার মুখে জলে শুয়ে পড়েছে গাছ। এতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। হরিশ্চন্দ্রপুরের কয়েকশো বিঘা জমিতে এই একই ছবি। কীভাবে চাষের ঋণ শোধ করবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না চাষিরা।
এমনিতেই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় ধান চাষে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কোথাও গাছে শিস আসলেও তাতে ধানের দানা ছিল না। কোথাও আবার গাছ লালচে হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছিল। এনিয়েই চিন্তিত ছিলেন চাষিরা। এরমধ্যে তাঁদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি ও তার প্রভাব। বিশেষত তুলসিহাটা, কুশিদা, কাহাট্টা, মহেন্দ্রপুর, অঙ্গারমুনি প্রভৃতি এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। কাহাট্টা গ্রামের আমন ধান চাষি ফুলকুমার মণ্ডল বলেন, “এই গ্রামে তিনদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। তাতে বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবার আমাদের কীভাবে খাদ্যের সংস্থান হবে ? তাই সরকারের কাছে আমরা সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছি। শুধু ধানের জমিই নয়, বৃষ্টিতে এই এলাকার পুকুরগুলোও ভেসে গিয়েছে। মৎস্যচাষিদের অবস্থাও খুব খারাপ।”
আরও পড়ুন : Shalimar Rail Station : নভেম্বর থেকে হাওড়ার পরিবর্তে শালিমার থেকে চলবে 8 স্পেশাল ট্রেন
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মানিক দাস বলছেন, “নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিতে এই এলাকার প্রায় 200 বিঘা জমির ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেকোনও পরিস্থিতিতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ান। এবারও আমাদের আশা, তিনি এই এলাকার দুর্গত কৃষকদের পাশে দাঁড়াবেন। কৃষকরা যাতে সঠিক সরকারি সহায়তা পায় তার জন্য আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে নিয়ে আসব ।”
ব্লক কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর দেব জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যে দফতরের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনই জমি থেকে জল বের করে দেওয়া গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। কৃষকদের সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় সেসব জায়গায় আমন ধানের কিছু ক্ষতি হবে। তবে সেই ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।”