ETV Bharat / state

Brahmani river erosion : ব্রাহ্মণী নদীতে ভাঙন শুরু, ধসের কবলে বহু বাড়ি - Bamongola

লাগাতার বৃষ্টিতে এবার জল বাড়ছে মালদার ব্রাহ্মণী নদীর ৷ যার জেরে বহু বাড়ি ব্রাহ্মণী নদীর গর্ভে ইতিমধ্যে তলিয়ে গিয়েছে ৷ ইতিমধ্যে প্রায় 30টি বাড়িতে ভাঙন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ বহু মানুষ নিজেদের বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে উঠেছেন ৷

Landslide on Brahmani River Dam many Houses collapsed in Bamongola Malda
Brahmani Landslide : ভাঙন শুরু ব্রাহ্মণী নদীর তীরে, ধসের কবলে বহু বাড়ি
author img

By

Published : Aug 10, 2021, 7:49 PM IST

মালদা, 9 অগস্ট : গঙ্গা-মহানন্দার মতো গতবছর থেকে মালদার বামনগোলা ব্লকের নালাগোলার মন্দিরপাড়ায় ব্রাহ্মণী নদী (Brahmani river)-র ভাঙন দেখা দিয়েছে । গতবছর ব্রাহ্মণী নদীতে বেশ কিছু বাড়ি তলিয়ে গিয়েছিল । এ বছরও বেশ কিছু বাড়ির অংশ নদী গর্ভে চলে গিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে 30টি পরিবারের । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতিও বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷

আর এর ফল ভূগতে হচ্ছে ব্রাহ্মণী নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের ৷ পরিস্থিতির কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মন্দিরপাড়ার বাসিন্দা দুর্গা মণ্ডল । তিনি বলেন, “আমার স্বামী ক্যানসার আক্রান্ত । চিকিৎসার জন্য ছেলে তাঁকে মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়েছে । এখনও ছ’মাস সেখানে তাঁদের থাকতে হবে । আমি বাড়িতে একাই থাকি । গতবছর থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে । সরকারের তরফে কিছুটা কাজ করা হয়েছিল । আমরা নিজেরাও টাকা দিয়ে কাজ করিয়ে ছিলাম । সরকার শুধু আমার ঘরটা বাঁচানোর ব্যবস্থা করুক । আমার আর কিছু চাই না । গত 15 দিন ধরে ঘরে ছেড়ে থাকছি । কী পরিমাণ আতঙ্কে রয়েছি তা বলে বোঝানো যাবে না ।”

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা লক্ষ্মী পাল বলেন, “আমার বাড়ির খুব ভয়ানক পরিস্থিতি । আমার স্বামী বাড়িতে থাকেন না । বাইরে দিনমজুরি করেন । আমার বাড়িতে ধস নামতে শুরু করেছে । গতবছর খানিকটা ধসে গিয়েছিল । বাড়ির শৌচালয় গতবছর ধসে গিয়েছিল । আবার কিছুদিন আগে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে শৌচালয় করেছি । এখনও ব্যাঙ্কের লোন শোধ করা বাকি রয়েছে । গত একমাস ধরে আবার ধস নামতে শুরু করেছে । আমরা নিজেরা বালির বস্তা দিয়ে ধস রোখার চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু সেই বালির বস্তাও ধসে গিয়েছে । বাড়ি প্রায় 50 হাত ধসে গিয়েছে । যেভাবে আবার ধস নামা শুরু হয়েছে তাতে আতঙ্কে রাতে ঘুম আসছে না । ঘুমোতে গেলেই যেন মনে হচ্ছে এই ধসে গেল । আমাদের একটাই বাসস্থান ৷ সেটাও চলে গেলে কীভাবে বাঁচব ? এসডিও অফিসে দরখাস্ত জমা দিয়েছি । গত বছর প্রশাসন থেকে সামান্য কিছু কাজ হয়েছিল । আমরা নিজেরা টাকা দিয়ে আরও কিছু কাজ করেছিলাম ।”

ভাঙন শুরু ব্রাহ্মণী নদীর তীরে, ধসের কবলে বহু বাড়ি

আরও পড়ুন : উদাসীন প্রশাসন, ভাঙন শুরু হতেই এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা

নালাগোলা মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বাসুদেব চক্রবর্তী বলছেন, “গতবার লক্ষ্মী পাল ও ফণীন্দ্রনাথ মণ্ডলের বাড়ির অনেকটা অংশ ভেঙে যায় । সেই সময় সেচ দফতর ভাঙন রোধের সামান্য কাজ করে । কিন্তু কোনও স্থায়ী কাজ করেনি । আমরা স্থায়ী কাজ চেয়েছিলাম । এবারও ভাঙন শুরু হয়েছে । বেশ কিছু বাড়ি বিপদের মুখে । সাংসদ খগেন মুর্মু আমাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ফান্ড নেই । একজন সাংসদের মুখে একথা মানায় না । আমি সেচ দফতরের কাছে এই বাড়িগুলি বাঁচানোর আবেদন জানাচ্ছি ।”

আরও পড়ুন : বর্ষা শুরু হতেই গঙ্গার চোখরাঙানি, ভাঙন মালদার দুই ব্লকে

বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুশান্তকুমার সরকার বলেন, “আমরা যাঁরা ব্রাহ্মণী নদীর তীরে বসবাস করছি, তাঁদের খুব ভয়ানক পরিস্থিতি । গতবছর থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে । সেচ দফতরে জানানোর পর খানিকটা কাজ হয়েছিল । তার পরে কেন কাজ বন্ধ হয়ে গেল তা জানা নেই ৷ এবছরও গত মাস থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে । এখন প্রায় 25 থেকে 30টি বাড়ি ভাঙনের মুখে ৷ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পোস্ট এই মুহূর্তে ফাঁকা থাকায় বিশেষ কিছু করা যায়নি ৷ তবে, আমাদের যতটুকু করণীয় তা করা হচ্ছে ৷ আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ তবে প্রশাসনের কোনও আধিকারিক এখনও এখানে আসেননি ৷’’

মালদা, 9 অগস্ট : গঙ্গা-মহানন্দার মতো গতবছর থেকে মালদার বামনগোলা ব্লকের নালাগোলার মন্দিরপাড়ায় ব্রাহ্মণী নদী (Brahmani river)-র ভাঙন দেখা দিয়েছে । গতবছর ব্রাহ্মণী নদীতে বেশ কিছু বাড়ি তলিয়ে গিয়েছিল । এ বছরও বেশ কিছু বাড়ির অংশ নদী গর্ভে চলে গিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে 30টি পরিবারের । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতিও বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷

আর এর ফল ভূগতে হচ্ছে ব্রাহ্মণী নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের ৷ পরিস্থিতির কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মন্দিরপাড়ার বাসিন্দা দুর্গা মণ্ডল । তিনি বলেন, “আমার স্বামী ক্যানসার আক্রান্ত । চিকিৎসার জন্য ছেলে তাঁকে মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়েছে । এখনও ছ’মাস সেখানে তাঁদের থাকতে হবে । আমি বাড়িতে একাই থাকি । গতবছর থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে । সরকারের তরফে কিছুটা কাজ করা হয়েছিল । আমরা নিজেরাও টাকা দিয়ে কাজ করিয়ে ছিলাম । সরকার শুধু আমার ঘরটা বাঁচানোর ব্যবস্থা করুক । আমার আর কিছু চাই না । গত 15 দিন ধরে ঘরে ছেড়ে থাকছি । কী পরিমাণ আতঙ্কে রয়েছি তা বলে বোঝানো যাবে না ।”

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা লক্ষ্মী পাল বলেন, “আমার বাড়ির খুব ভয়ানক পরিস্থিতি । আমার স্বামী বাড়িতে থাকেন না । বাইরে দিনমজুরি করেন । আমার বাড়িতে ধস নামতে শুরু করেছে । গতবছর খানিকটা ধসে গিয়েছিল । বাড়ির শৌচালয় গতবছর ধসে গিয়েছিল । আবার কিছুদিন আগে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে শৌচালয় করেছি । এখনও ব্যাঙ্কের লোন শোধ করা বাকি রয়েছে । গত একমাস ধরে আবার ধস নামতে শুরু করেছে । আমরা নিজেরা বালির বস্তা দিয়ে ধস রোখার চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু সেই বালির বস্তাও ধসে গিয়েছে । বাড়ি প্রায় 50 হাত ধসে গিয়েছে । যেভাবে আবার ধস নামা শুরু হয়েছে তাতে আতঙ্কে রাতে ঘুম আসছে না । ঘুমোতে গেলেই যেন মনে হচ্ছে এই ধসে গেল । আমাদের একটাই বাসস্থান ৷ সেটাও চলে গেলে কীভাবে বাঁচব ? এসডিও অফিসে দরখাস্ত জমা দিয়েছি । গত বছর প্রশাসন থেকে সামান্য কিছু কাজ হয়েছিল । আমরা নিজেরা টাকা দিয়ে আরও কিছু কাজ করেছিলাম ।”

ভাঙন শুরু ব্রাহ্মণী নদীর তীরে, ধসের কবলে বহু বাড়ি

আরও পড়ুন : উদাসীন প্রশাসন, ভাঙন শুরু হতেই এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা

নালাগোলা মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বাসুদেব চক্রবর্তী বলছেন, “গতবার লক্ষ্মী পাল ও ফণীন্দ্রনাথ মণ্ডলের বাড়ির অনেকটা অংশ ভেঙে যায় । সেই সময় সেচ দফতর ভাঙন রোধের সামান্য কাজ করে । কিন্তু কোনও স্থায়ী কাজ করেনি । আমরা স্থায়ী কাজ চেয়েছিলাম । এবারও ভাঙন শুরু হয়েছে । বেশ কিছু বাড়ি বিপদের মুখে । সাংসদ খগেন মুর্মু আমাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ফান্ড নেই । একজন সাংসদের মুখে একথা মানায় না । আমি সেচ দফতরের কাছে এই বাড়িগুলি বাঁচানোর আবেদন জানাচ্ছি ।”

আরও পড়ুন : বর্ষা শুরু হতেই গঙ্গার চোখরাঙানি, ভাঙন মালদার দুই ব্লকে

বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুশান্তকুমার সরকার বলেন, “আমরা যাঁরা ব্রাহ্মণী নদীর তীরে বসবাস করছি, তাঁদের খুব ভয়ানক পরিস্থিতি । গতবছর থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে । সেচ দফতরে জানানোর পর খানিকটা কাজ হয়েছিল । তার পরে কেন কাজ বন্ধ হয়ে গেল তা জানা নেই ৷ এবছরও গত মাস থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে । এখন প্রায় 25 থেকে 30টি বাড়ি ভাঙনের মুখে ৷ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পোস্ট এই মুহূর্তে ফাঁকা থাকায় বিশেষ কিছু করা যায়নি ৷ তবে, আমাদের যতটুকু করণীয় তা করা হচ্ছে ৷ আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ তবে প্রশাসনের কোনও আধিকারিক এখনও এখানে আসেননি ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.