মালদা, 8 জুন: একে জেলা জুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ ৷ তার উপর বুধবার মাঝরাতে বিধ্বংসী আগুনে ত্রস্ত গাজোল ৷ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে আটটি দোকান ৷ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে গোটা গাজোল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৷ ফলে প্রবল গরমে নাজেহাল মানুষ ৷ কখন বিদ্যুৎ সংযোগ আসবে, এখনও বলতে পারছেন না কেউ ৷ এই ঘটনার পর ফের এলাকায় দমকল কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জোরালো হয়েছে ৷
গতকাল রাত 12টা নাগাদ গাজোলের ধর্মতলা এলাকায় পাওয়ার হাউস সংলগ্ন একটি কাঠের আসবাবপত্রের দোকানে প্রথম আগুন লাগে ৷ আগুন দেখতে পেয়েই বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা ৷ মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা আরও সাতটি দোকানে ৷ পাওয়ার হাউস সংলগ্ন এলাকায় আগুন লাগায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ খবর পেয়ে দমকলের দু'টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ অবশ্য ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সব ৷ দমকলকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়রাও আগুন নেভাতে হাত লাগান ৷ বৃহস্পতিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে ৷ তবে এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি ৷ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ৷ যদিও তাঁরা এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ৷
ক্ষতিগ্রস্ত একটি আসবাবপত্রের দোকানের মালিক শচীন বিশ্বাস বলছেন, "গতকাল রাত 12টার সময় আগুন দেখতে পাই ৷ আমার কাঠের আসবাবপত্রের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ৷ দোকান থেকে কিছু বের করতে পারিনি ৷ আমার ধারণা, দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে ৷ সব শেষ হওয়ার পর দমকল এসেছিল ৷ পুলিশও তখনই এসেছিল ৷ মোট আটটি দোকান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ এখন কীভাবে মাথা তুলে দাঁড়াব, বুঝতে পারছি না ৷"
ক্ষতিগ্রস্ত আরেক ব্যবসায়ী শুভম কীর্তনীয়ার বক্তব্য, "আমাদের এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছে ৷ কাদের সঙ্গে এই শত্রুতা, তাদের নাম এখনই বলতে চাইছি না ৷ তবে আমাদের ধারণা, এটা ওদেরই কাজ ৷ আমরা চাই, তদন্ত সাপেক্ষে আমরা যেন সঠিক বিচার পাই ৷ আগুনে ক্ষতির পরিমাণ দেড় কোটি ছাড়িয়ে যাবে ৷ দমকল আসার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে কিছু সাহায্য পেলে বেঁচে যাই ৷ গাজোলে মাঝেমধ্যেই আগুনের ঘটনা ঘটছে ৷ কিন্তু বারবার দাবি করা সত্ত্বেও এখানে কোনও দমকল কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি ৷ জানি না, আর কত ক্ষতি হওয়ার পর দমকল কেন্দ্র পাব ৷"
আরও পড়ুন : নলকূপের পাশে মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উদ্ধার 22টি বোমা