মালদা, 17 সেপ্টেম্বর : পুজোয় মালদা শহরের নিরাপত্তা জোরদার করতে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করতে চলেছে পুলিশ৷ আজ একথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া৷ তিনি বলেন, পুজো এবং তার আগে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন৷ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদার দুর্গাপুজোর সুনাম রয়েছে৷ এই জেলার পুজো দেখতে শহরে শুধু জেলার মানুষই নয়, ভিড় জমায় অন্যান্য জেলা, এমনকি ভিন রাজ্যের লোকজনও৷ তাই ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার ৷
পুজোর সময় শহরের প্রতিটি হোটেলে পর্যটকদের ভিড় ৷ সারা দিন-রাত শহরের প্রতিটি রাস্তায় শুধু মানুষের মাথাই চোখে পড়ে৷ আর ঠিক এই সুযোগটাই কাজে লাগায় ছিনতাইবাজরা৷ প্রতি বছরই পুজো এবং তার আগে শহরে হামলা চালায় জেলা ও বিহার-ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরা৷ শুধু পুরুষ নয়, গত কয়েক বছর ধরে শহরে মহিলা ছিনতাইবাজ ও কেপমারদেরও আনাগোনা শুরু হয়েছে৷ পুলিশের হাতে তাদের কয়েকজন ধরাও পড়েছে৷ এই দুষ্কৃতীরা কোনও দুষ্কর্ম না চালাতে পারে তার জন্য এখন থেকেই সতর্ক রয়েছে পুলিশ৷
পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ''পুজোকে কেন্দ্র করে আমরা বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি৷ গোটা শহর জুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাদা পোশাকের পুরুষ ও মহিলা পুলিশ নিয়োগ করা হবে৷ কারণ, অনেক মানুষ শহরে কেনাকাটা করতে আসে৷ স্বাভাবিকভাবেই তাদের সঙ্গে অনেক টাকাপয়সা থাকে৷ সেই সুযোগ নিয়ে এই সময় পকেটমারি কিংবা অলঙ্কার ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বাড়ে৷ অপরাধ রুখতে সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরা শহরে টহলদারি চালাবে৷ ''
তাঁর কথায়, পুজোর সময় অনিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা থাকছে৷ পুজোর ক'টা দিন বিকেল 5টা থেকে রাত 2টো পর্যন্ত শহরের রাস্তায় কোনও যান চলাচল করতে দেওয়া হবে না৷ তার জন্য গত বছর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে 54টি ড্রপগেট বসানো হয়েছিল৷ এবার অবশ্য 2-3টি কম ড্রপগেট বসানো হবে৷ পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত ড্রপগেটগুলি ব্যবহার করা হবে৷ অন্যান্য বছরের মতো বিশেষ কয়েকটি পুজো প্যান্ডেলে cctv ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে৷ তবে এবারই প্রথম মালদা শহরে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে৷ মালদা শহর ছোটো৷ এখানে ড্রোন ক্যামেরা ভিড় ও দুষ্কৃতী দমনে জরুরি ভূমিকা নেবে বলেই পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷