মালদা, 23 মে: অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন ৷ তবে মালদার নেতাজি কমার্শিয়াল মার্কেটের বাজি গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে ৷ ঘিঞ্জি বাজারে বাজি কিংবা কার্বাইডের মতো দাহ্য পদার্থ মজুত করার অনুমতি কীভাবে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে শহরবাসী ৷ আদৌ কি দাহ্য পদার্থ মজুতের কোনও অনুমতি ছিল ? মঙ্গলবার ঘটনার তদন্তে 5 সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া ৷
এই তদন্ত কমিটিতে প্রশাসন, পুলিশ, দমকল, পৌরসভা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও আছেন ৷ তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী ৷ আগামী 7 দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক ৷
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের তরফে প্রথমে সিসিটিভির ফুটেজ ভরসা ৷ অথচ, এলাকায় যেসব দোকানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তার প্রতিটিই বাজির দোকান ৷ তাই দুর্ঘটনা এড়াতে রাতের বেলা প্রতিটি দোকানের বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ ফলে বন্ধ হয়ে যায় সিসি ক্যামেরাও ৷ তাই বিস্ফোরণের সময়ের ফুটেজ সংগ্রহ করতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকে ৷ স্বাভাবিকভাবে তদন্তের প্রয়োজনীয় ফুটেজ এখনও পুলিশের হাতে আসেনি ৷
জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই বাজারে প্রায় 40 জন বাজি ব্যবসায়ী রয়েছেন ৷ সারা বছর ধরে তাঁরা বাজি বিক্রি করেন ৷ অথচ 2019 সালের পর থেকে এই বাজারে বাজি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরন করা হয়নি ৷ বলা যেতে পারে একপ্রকার অবৈধভাবেই বাজারে বাজি মজুত এবং বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা ৷ তাছাড়া এই বাজারে বাজি মজুত করারও কোনও অনুমতি নেই বলে প্রশাসন সূত্রে খবর ৷
আরও পড়ুন: ঘিঞ্জি এলাকায় বাজির গুদামে আগুন ! বিস্ফোরণের কারণ বাজি না কার্বাইড ?
আজ সেই অবৈধ বাজি গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন ৷ সেই বিস্ফোরণ মজুত বাজিতে হয়েছে, নাকি কার্বাইডে, তা তদন্ত সাপেক্ষ ৷ কিন্তু এই ঘিঞ্জি বাজারে বাজি কিংবা দাহ্য পদার্থের মজুতদারি এবং বিক্রি বন্ধের দাবি উঠতে শুরু করেছে ৷ বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করা হয়েছে ৷