মালদা,24 নভেম্বর: লকডাউনের শুরু থেকে এখনও বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা পেটের তাগিদে দিনমজুরের কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চালু করার দাবিতে BDO এবং বিদ্যালয় পরিদর্শককে ডেপুটেশন দিল বেসরকারি বিদ্যালয় কল্যাণ সমিতি।
কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছিল লকডাউন। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ। ধীরে ধীরে আনলক পর্ব শুরু হলে একের পর এক পরিষেবা শুরু করার অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আজ রাজ্য সরকারের কাছে স্কুল -কলেজ খোলার অনুমতি চেয়ে BDO ও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে ডেপুটেশন দিল বেসরকারি বিদ্যালয় কল্যাণ সমিতির মালদা জেলা শাখা ৷
সংগঠনের পক্ষে দশরথ বর্মণ বলেন, “আমরা আজ পুরাতন মালদার BDO ও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে বেসরকারি স্কুলগুলি অবিলম্বে খোলার জন্য ডেপুটেশন দিলাম। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিকে বাংলার শিক্ষা পোর্টালের আওতায় আনার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সরকার ধীরে ধীরে সমস্ত কিছু খোলার অনুমতি দিয়েছে। শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও খোলা হয়নি। হয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়েও সরকারি চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকর্মীরা গত আট মাস ধরে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও অনাহারে ভুগতে হচ্ছে। পেটের তাগিদে অনেক স্কুল শিক্ষককে শিক্ষকতা ছেড়ে টোটো চালাতে হচ্ছে। কেউ আবার মাছ বিক্রি করছে, কেউ দিনমজুরের কাজ করছে। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা থেকে বিরত হয়ে পড়েছে। অভিভাবকরাও আমাদের কাছে স্কুল খোলার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই আবেদনগুলিও আমরা BDO ও বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে পেশ করব।" কোরোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই স্কুল খোলার অনুমতি চেয়ে এই ডেপুটেশন দেওয়া হয়।