মালদা, 26 মে: মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে ৷ অথচ বিয়ে হচ্ছে না ৷ তা নিয়ে আর পাঁচটা সাধারণ পরিবারের বাবার মতো চিন্তার অন্ত ছিল না বাবা শম্ভুনাথ চৌধুরীরও ৷ অনুমান সেই অবসাদ থেকেই হয়ত আত্মহত্যা বাবা-মেয়ের ৷ শুক্রবার মালদার ইংরেজবাজার এলাকার ঘটনা ৷ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা শহর জুড়ে । পরিবারের ধারণা গলায় ফাঁস লেগে বাবার মৃত্যু হলেও বিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের । মৃতের নাম শম্ভুনাথ চৌধুরি (58) ও মেয়ে শেলি কিরণ (30) ৷
শম্ভুবাবু রেলওয়ের ইলেকট্রিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন । শম্ভুবাবুর স্ত্রী শশীকুমারী চৌধুরী গৃহবধূ । তাঁদের তিন ছেলেমেয়ে । শেলি বড়ো মেয়ে । কর্মসূত্রে রেলওয়ে কলোনিতে থাকতেন তাঁরা । একমাত্র ছেলে সুমিত কুমার কর্মসূত্রে ছত্তিশগড়ে থাকেন ।
পরিবার সূত্রে খবর, গত 7মে আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিহারের পটনায় গিয়েছিলেন শশীদেবী ও তাঁর ছোটো মেয়ে স্বাতী কিরণ । আজ সকালে বাড়ি ফেরেন তাঁরা । ঘরে ঢুকতেই দেখেন শম্ভুবাবুর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে । শেলির দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে । তাঁরাই পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপরে মৃতদেহ দু‘টি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে ৷
শম্ভুবাবুর ছোটো মেয়ে স্বাতী বলেন, "আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মায়ের সঙ্গে পটনায় গিয়েছিলাম। আজ সকালেই বাড়ি ফিরেছি । বাড়ি ফিরে আমিই দরজা খুলি । দরজা খুলতেই দেখি বাবার দেহ ঝুলছে । দিদি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে । মালদা মেডিক্যালে নিয়ে আসার পর নার্সদের থেকে জানতে পেরেছি বিষ খেয়ে দিদির মৃত্যু হয়েছে । দিদির বয়স বাড়তে থাকায় বিয়ে নিয়ে চিন্তা ছিল ।"
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বিয়েতে মতবিরোধ, 3 সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী দম্পতি
মৃত শম্ভুবাবুর এক সহকর্মী দেবাশিস মৈত্র জানান, তিনি ফোনে সমস্ত বিষয়টি জানতে পেরেছি ৷ পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে গিয়েছিল । কবে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না । পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল কিনা তা বলা সম্ভব নয় ৷