ETV Bharat / state

একই দড়িতে ঝুলছে যুবক-যুবতি - মালদায় আত্মঘাতী যুগল

"ও যে রাধাকে এত ভালোবাসত তা একবারও আমাকে বলেনি ৷ তবে একবার এনিয়ে কথা উঠেছিল ৷ সেই সময় আমি ওকে বুঝিয়েছিলাম ৷ এরপর সে দিল্লিতে কাজে চলে যায় ৷ ওদের ভালোবাসা এতটা গভীর জানলে আমিই কথাবার্তা বলে ওদের বিয়ে দিয়ে দিতাম ৷” বলেন মৃত যুবকের বাবা ৷

Couple Sucide in Malda
আত্মঘাতী যুগল
author img

By

Published : Dec 26, 2019, 3:22 PM IST

মালদা, 26 ডিসেম্বর : একই দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা যুবক-যুবতি ৷ রতুয়া থানার বাহারাল আটগামা এলাকার ঘটনা ৷ পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক ও যুবতি ৷ তবে এই ঘটনার পিছনে অনেকে খুনের তত্ত্বও খাড়া করছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

মৃত যুবকের নাম বিজয় মণ্ডল(২২) ৷ রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিগোবিন্দপুরের বাসিন্দা ৷ ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন বিজয় ৷ রবিবার দিল্লি থেকে কাজ সেরে ঘরে ফিরেছিলেন ৷ তাঁর বাবা সচিন মণ্ডলের একটি পোলট্রি ফার্ম রয়েছে ৷ সচিনবাবুর তিন ছেলে ৷ বড় ছেলে অজয়ের বিয়ে দেন এলাকারই আটগামা গ্রামের মালা মণ্ডলের সঙ্গে ৷ পরবর্তীতে মালার বোন রাধার(১৯) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সচিনবাবুর মেজ ছেলে বিজয় ৷

বিজয়ের জ্যাঠা সীতেশ মণ্ডল বলেন, “মেয়ের বাড়ির লোক ভাইপোর এই প্রেম মেনে নিতে পারছিল না ৷ গত হোলিতে এনিয়ে মেয়ের বাবা গন্ধর্ব মণ্ডল ও তার বাড়ির লোকজন বিজয়কে মারধরও করে ৷ তারা এক বাড়িতে দুই মেয়ের বিয়ে দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল ৷ আজ সকালে শুনতে পাই, ভাইপো আর ওই মেয়েটি একইসঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আমবাগানে ঝুলছে ৷ এসে দেখি, যেভাবে ওরা গাছ থেকে ঝুলছে, আত্মহত্যা করলে এমনটা হওয়ার কথা নয় ৷ এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তা পুলিশি তদন্তেই জানা যাবে ৷”

এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছে, দিদির শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াতের সুবাদেই বিজয়ের প্রেমে পড়েন রাধা ৷ তিনি মানিকচক কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী ৷ দুই বাড়ির দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার ৷ বুধবার সকালে এলাকার লোকজন দু’জনকে কাহালা এলাকায় একটি আমবাগানে একই সঙ্গে ঝুলতে দেখেন ৷ স্থানীয়রা দুই পরিবারের পাশাপাশি খবর দেয় রতুয়া থানায় ৷ পুলিশ এসে দেহ দুটিকে উদ্ধার করে ৷

সচিনবাবু বলেন, “দু’দিন আগেই দিল্লি থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছিল বিজয় ৷ সে অসুস্থ ছিল ৷ ওষুধপত্র চলছিল ৷ আজই তাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ৷ অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতেও সবার সঙ্গে খাবার খেয়ে সে ঘুমোতে চলে যায় ৷ আমি পোলট্রি ফার্মে ঘুমোতে গেছিলাম ৷ আজ সকালে ফোন মারফত খবর পাই, ছেলে আত্মহত্যা করেছে ৷ ও যে রাধাকে এত ভালোবাসত তা একবারও আমাকে বলেনি ৷ তবে একবার এনিয়ে কথা উঠেছিল ৷ সেই সময় আমি ওকে বুঝিয়েছিলাম ৷ এরপর সে দিল্লিতে কাজে চলে যায় ৷ ওদের ভালোবাসা এতটা গভীর জানলে আমিই কথাবার্তা বলে ওদের বিয়ে দিয়ে দিতাম ৷”

এদিকে রাধার বাবা গন্ধর্ব মণ্ডল বলেন, “মেয়ে বা বিজয়, কেউই তাদের প্রেমের কথা আমাদের জানায়নি ৷ আমরা ওই বাড়িতে এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছি ৷ ওদের প্রেমের কথা জানলে একই বাড়িতে আর এক মেয়ের বিয়ে দিতে আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না ৷ এনিয়ে বিজয়ের সঙ্গেও আমার কখনও কিছু হয়নি ৷ ওকে মারধর করার যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে ৷ পুলিশি তদন্তেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে ৷”

রতুয়া থানার OC কুণাল দাস বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমাদের ধারণা, প্রেমঘটিত কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক-যুবতি ৷ দুটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয় ৷ এনিয়ে এখনও দুই পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি ৷ তবে গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷”

মালদা, 26 ডিসেম্বর : একই দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা যুবক-যুবতি ৷ রতুয়া থানার বাহারাল আটগামা এলাকার ঘটনা ৷ পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক ও যুবতি ৷ তবে এই ঘটনার পিছনে অনেকে খুনের তত্ত্বও খাড়া করছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

মৃত যুবকের নাম বিজয় মণ্ডল(২২) ৷ রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিগোবিন্দপুরের বাসিন্দা ৷ ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন বিজয় ৷ রবিবার দিল্লি থেকে কাজ সেরে ঘরে ফিরেছিলেন ৷ তাঁর বাবা সচিন মণ্ডলের একটি পোলট্রি ফার্ম রয়েছে ৷ সচিনবাবুর তিন ছেলে ৷ বড় ছেলে অজয়ের বিয়ে দেন এলাকারই আটগামা গ্রামের মালা মণ্ডলের সঙ্গে ৷ পরবর্তীতে মালার বোন রাধার(১৯) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সচিনবাবুর মেজ ছেলে বিজয় ৷

বিজয়ের জ্যাঠা সীতেশ মণ্ডল বলেন, “মেয়ের বাড়ির লোক ভাইপোর এই প্রেম মেনে নিতে পারছিল না ৷ গত হোলিতে এনিয়ে মেয়ের বাবা গন্ধর্ব মণ্ডল ও তার বাড়ির লোকজন বিজয়কে মারধরও করে ৷ তারা এক বাড়িতে দুই মেয়ের বিয়ে দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল ৷ আজ সকালে শুনতে পাই, ভাইপো আর ওই মেয়েটি একইসঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আমবাগানে ঝুলছে ৷ এসে দেখি, যেভাবে ওরা গাছ থেকে ঝুলছে, আত্মহত্যা করলে এমনটা হওয়ার কথা নয় ৷ এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তা পুলিশি তদন্তেই জানা যাবে ৷”

এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছে, দিদির শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াতের সুবাদেই বিজয়ের প্রেমে পড়েন রাধা ৷ তিনি মানিকচক কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী ৷ দুই বাড়ির দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার ৷ বুধবার সকালে এলাকার লোকজন দু’জনকে কাহালা এলাকায় একটি আমবাগানে একই সঙ্গে ঝুলতে দেখেন ৷ স্থানীয়রা দুই পরিবারের পাশাপাশি খবর দেয় রতুয়া থানায় ৷ পুলিশ এসে দেহ দুটিকে উদ্ধার করে ৷

সচিনবাবু বলেন, “দু’দিন আগেই দিল্লি থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছিল বিজয় ৷ সে অসুস্থ ছিল ৷ ওষুধপত্র চলছিল ৷ আজই তাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ৷ অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতেও সবার সঙ্গে খাবার খেয়ে সে ঘুমোতে চলে যায় ৷ আমি পোলট্রি ফার্মে ঘুমোতে গেছিলাম ৷ আজ সকালে ফোন মারফত খবর পাই, ছেলে আত্মহত্যা করেছে ৷ ও যে রাধাকে এত ভালোবাসত তা একবারও আমাকে বলেনি ৷ তবে একবার এনিয়ে কথা উঠেছিল ৷ সেই সময় আমি ওকে বুঝিয়েছিলাম ৷ এরপর সে দিল্লিতে কাজে চলে যায় ৷ ওদের ভালোবাসা এতটা গভীর জানলে আমিই কথাবার্তা বলে ওদের বিয়ে দিয়ে দিতাম ৷”

এদিকে রাধার বাবা গন্ধর্ব মণ্ডল বলেন, “মেয়ে বা বিজয়, কেউই তাদের প্রেমের কথা আমাদের জানায়নি ৷ আমরা ওই বাড়িতে এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছি ৷ ওদের প্রেমের কথা জানলে একই বাড়িতে আর এক মেয়ের বিয়ে দিতে আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না ৷ এনিয়ে বিজয়ের সঙ্গেও আমার কখনও কিছু হয়নি ৷ ওকে মারধর করার যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে ৷ পুলিশি তদন্তেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে ৷”

রতুয়া থানার OC কুণাল দাস বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমাদের ধারণা, প্রেমঘটিত কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক-যুবতি ৷ দুটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয় ৷ এনিয়ে এখনও দুই পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি ৷ তবে গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷”

Intro:মালদা, ২৫ ডিসেম্বর : একই দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনায় বড়োদিনে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়া থানার বাহারাল আটগামা এলাকায়৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক ও যুবতি৷ তবে এই ঘটনার পিছনে অনেকে খুনের তত্ত্বও খাড়া করছে৷ গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত৷ Body:         মৃত যুবকের নাম বিজয় মণ্ডল৷ বয়স ২২ বছর৷ রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিগোবিন্দপুরের বাসিন্দা তিনি৷ পেশায় তিনি ভিন রাজ্যের শ্রমিক৷ গত পরশুই দিল্লি থেকে কাজ সেরে ঘরে ফিরেছেন৷ তাঁর বাবা শচীন মণ্ডলের একটি পোলট্রি ফার্ম রয়েছে৷ শচীনবাবুর তিন ছেলে৷ বড়ো ছেলে অজয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন এলাকারই আটগামা গ্রামের মালা মণ্ডলের সঙ্গে৷ পরবর্তীতে মালার বোন রাধার (১৯) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শচীনবাবুর মেজ ছেলে বিজয়৷ তাঁর জ্যেঠা সীতেশ মণ্ডল বলেন, “মেয়ের বাড়ির লোক ভাইপোর এই প্রেম মেনে নিতে পারছিল না৷ গত হোলিতে এনিয়ে মেয়ের বাবা গন্ধর্ব মণ্ডল ও তার বাড়ির লোকজন বিজয়কে মারধরও করে৷ তারা এক বাড়িতে দুই মেয়ের বিয়ে দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল৷ আজ সকালে শুনতে পাই, ভাইপো আর ওই মেয়েটি একইসঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আমবাগানে ঝুলছে৷ এসে দেখি, যেভাবে ওরা গাছ থেকে ঝুলছে, আত্মহত্যা করলে এমনটা হওয়ার কথা নয়৷ এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তা পুলিশি তদন্তেই জানা যাবে৷”
         এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছে, দিদির শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াতের সুবাদেই বিজয়ের প্রেমে পড়েন রাধা৷ তিনি মানিকচক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী৷ দুই বাড়ির দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার৷ আজ সকালে এলাকার লোকজন দু’জনকে কাহালা এলাকায় একটি আমবাগানে একই সঙ্গে ঝুলতে দেখে৷ স্থানীয়রা দুই পরিবারের পাশাপাশি খবর দেয় রতুয়া থানায়৷ পুলিশ এসে দেহ দুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়৷
শচীনবাবু বলেন, “দু’দিন আগেই দিল্লি থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছিল বিজয়৷ সে অসুস্থ ছিল৷ ওষুধপত্র চলছিল৷ আজই তাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল৷ অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতেও সবার সঙ্গে খাবার খেয়ে সে ঘুমোতে চলে যায়৷ আমি পোলট্রি ফার্মে ঘুমোতে গিয়েছিলাম৷ আজ সকালে ফোন মারফৎ খবর পাই, ছেলে আত্মহত্যা করেছে৷ ও যে রাধাকে এত ভালোবাসত তা একবারও আমাকে বলেনি৷ তবে একবার এনিয়ে কথা উঠেছিল৷ সেই সময় আমি ওকে বুঝিয়েছিলাম৷ এরপর সে দিল্লিতে কাজে চলে যায়৷ ওদের ভালোবাসা এতটা গভীর জানলে আমিই কথাবার্তা বলে ওদের বিয়ে দিয়ে দিতাম৷”
রতুয়া থানার ওসি কুণাল দাস জানিয়েছেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমাদের ধারণা, প্রেমঘটিত কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক-যুবতি৷ দুটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয়৷ এনিয়ে এখনও দুই পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি৷ তবে গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷”Conclusion:এদিকে রাধার বাবা গন্ধর্ব মণ্ডল বলেন, “মেয়ে বা বিজয়, কেউই তাদের প্রেমের কথা আমাদের জানায়নি৷ আমরা ওই বাড়িতে এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছি৷ ওদের প্রেমের কথা জানলে একই বাড়িতে আরেক মেয়ের বিয়ে দিতে আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না৷ এনিয়ে বিজয়ের সঙ্গেও আমার কখনও কিছু হয়নি৷ ওকে মারধর করার যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে৷ পুলিশি তদন্তেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে৷”
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.