ETV Bharat / state

Malda Flood Relief Corruption: গ্রুপ-ডি কর্মচারী অ্যাকাউন্টে বন্যাত্রাণের 69 লক্ষ টাকা! দুর্নীতির অভিযোগে বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা

হরিশচন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের বন্যাত্রাণের টাকা গ্রুপ ডি কর্মচারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৷ যে ঘটনায় আরটিআই করা হলে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকায় অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিডিও’র বিরুদ্ধে ৷ আর সেই সূত্রে বিডিও’র বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল বাম ও কংগ্রেস (Corruption Allegation Against Harischandrapur BDO in Flood Relief fund) ৷

Corruption Allegation Against Harischandrapur BDO in Flood Relief
Corruption Allegation Against Harischandrapur BDO in Flood Relief
author img

By

Published : Jun 12, 2022, 4:13 PM IST

মালদা, 12 জুন : গ্রুপ-ডি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে বন্যাত্রাণের 69 লক্ষ টাকা পাঠানোর অভিযোগ বিডিও-র বিরুদ্ধে ৷ আর এই ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লক উন্নয়ণ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল মালদার বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব (Corruption Allegation Against Harischandrapur BDO in Flood Relief fund) ৷ আগামী সপ্তাহে এই মামলা হাইকোর্টে উঠতে চলেছে বলে জানিয়েছে অভিযোগকারী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ৷

উল্লেখ্য, 2017 সালের বন্যায় উত্তর মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার বহু বাড়ি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায় বলে খবর ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হন কয়েক হাজার মানুষ ৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে 70 হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের 3 হাজার 300 টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয় ৷ অভিযোগ, এই বন্যাত্রাণ বিলিতে প্রায় 76 লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের না দিয়ে, এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতৃত্ব তা আত্মসাৎ করেছে । এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করে বিরোধী বাম-কংগ্রেস ৷

এরপরেই এ নিয়ে উপভোক্তাদের তালিকা চেয়ে আরটিআই করে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ গত 14 এপ্রিল ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই তালিকা তুলে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, সেই তালিকা সম্পূর্ণ নয় বলে অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম ঠিকানা থাকলেও, অ্যাকাউন্ট নম্বর-আইএফএসসি কোড নেই ৷ এ নিয়ে বিডিও-র বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানান তিনি ৷ এরই মধ্যে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের গ্রুপ-ডি কর্মীর অ্যাকাউন্টে বন্যাত্রাণের 69 লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এরপর দুর্নীতির অভিযোগে বিডিও-কে যুক্ত করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে বাম-কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে ৷

সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য শেখ খলিল বলেন, “বন্যাত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে আমরা আরটিআই করি ৷ কিন্তু, বিডিও আমাদের তালিকা দিচ্ছিলেন না ৷ এর পরে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা আমাদের সঙ্গে ব্লক অফিসের সামনে ধরনায় বসেন ৷ ব্লক প্রশাসন এর পরে আমাদের হাতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তুলে দিতে বাধ্য হয় ৷ কিন্তু, তাতেও দেখা যায় তালিকায় ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্ট নম্বর-আইএফএসসি কোড নেই ৷ তার পরে আমরা জেলাশাসক, মহকুমাশাসকের কাছে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়ার আবেদন জানাই ৷ কিন্তু জেলা প্রশাসনও চুপ ছিল ৷ বাধ্য হয়ে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি ৷’’

গ্রুপ-ডি কর্মচারী অ্যাকাউন্টে বন্যাত্রাণের 69 লক্ষ টাকা!

আরও পড়ুন : SSC Corruption Case : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এবার চাকরি খোয়ালেন মুর্শিদাবাদের সিদ্দিক গাজি

তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে, ভোলানাথ চৌধুরী নামে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের এক গ্রুপ-ডি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে 69 লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে ৷ যদিও তাঁর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লক এলাকার পিপলা গ্রামে ৷ তাঁর বাড়ি রাজপ্রাসাদের মত ৷ এরকম কত ভোলানাথ চৌধুরীর অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে ! এক ব্লকের টাকা অন্য ব্লকে, এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারেও পাঠানো হয়েছে ৷ তৃণমূল নেতারা এদের সঙ্গে সমঝোতা করে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করছে ৷ এই সরকারের আমলে শুধুই দুর্নীতি চলছে ৷’’

একই অভিযোগ করেছেন বিজেপির মালদা জেলা সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া ৷ তিনি বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুরে 2017 সালে বন্যা হয় ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের 2019 সালে ক্ষতিপূরণ বিলি করা হয় ৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ব্লকে গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে 69 লক্ষ টাকা এসেছে ৷ অভিযোগের পরে তিনি নাকি কিছু টাকা ট্রেজারিতে ফেরত দিয়েছেন ৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, উনি সরকারি কর্মচারী ৷ ওনার অ্যাকাউন্টে টাকা যায় কীভাবে ? উনি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের কর্মচারী অথচ ওনার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকে ৷ তাহলে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের টাকা 1 নম্বর ব্লকে যায় কীভাবে ? এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে ৷ আমাদের দেখাক ওনার কী ক্ষতি হয়েছে ? যদি ক্ষতি হয়েও থাকে তবে, সর্বোচ্চ 70 হাজার টাকা পর্যন্ত একজন ক্ষতিগ্রস্ত পেতে পারেন ৷ তাহলে কীভাবে 69 লক্ষ টাকা একটি অ্যাকাউন্টে যায় ? প্রশ্ন বিজেপি নেতার ৷

মালদা, 12 জুন : গ্রুপ-ডি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে বন্যাত্রাণের 69 লক্ষ টাকা পাঠানোর অভিযোগ বিডিও-র বিরুদ্ধে ৷ আর এই ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লক উন্নয়ণ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল মালদার বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব (Corruption Allegation Against Harischandrapur BDO in Flood Relief fund) ৷ আগামী সপ্তাহে এই মামলা হাইকোর্টে উঠতে চলেছে বলে জানিয়েছে অভিযোগকারী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ৷

উল্লেখ্য, 2017 সালের বন্যায় উত্তর মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার বহু বাড়ি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায় বলে খবর ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হন কয়েক হাজার মানুষ ৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে 70 হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের 3 হাজার 300 টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয় ৷ অভিযোগ, এই বন্যাত্রাণ বিলিতে প্রায় 76 লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের না দিয়ে, এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতৃত্ব তা আত্মসাৎ করেছে । এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করে বিরোধী বাম-কংগ্রেস ৷

এরপরেই এ নিয়ে উপভোক্তাদের তালিকা চেয়ে আরটিআই করে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ গত 14 এপ্রিল ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই তালিকা তুলে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, সেই তালিকা সম্পূর্ণ নয় বলে অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম ঠিকানা থাকলেও, অ্যাকাউন্ট নম্বর-আইএফএসসি কোড নেই ৷ এ নিয়ে বিডিও-র বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানান তিনি ৷ এরই মধ্যে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের গ্রুপ-ডি কর্মীর অ্যাকাউন্টে বন্যাত্রাণের 69 লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এরপর দুর্নীতির অভিযোগে বিডিও-কে যুক্ত করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে বাম-কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে ৷

সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য শেখ খলিল বলেন, “বন্যাত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে আমরা আরটিআই করি ৷ কিন্তু, বিডিও আমাদের তালিকা দিচ্ছিলেন না ৷ এর পরে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা আমাদের সঙ্গে ব্লক অফিসের সামনে ধরনায় বসেন ৷ ব্লক প্রশাসন এর পরে আমাদের হাতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তুলে দিতে বাধ্য হয় ৷ কিন্তু, তাতেও দেখা যায় তালিকায় ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্ট নম্বর-আইএফএসসি কোড নেই ৷ তার পরে আমরা জেলাশাসক, মহকুমাশাসকের কাছে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়ার আবেদন জানাই ৷ কিন্তু জেলা প্রশাসনও চুপ ছিল ৷ বাধ্য হয়ে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি ৷’’

গ্রুপ-ডি কর্মচারী অ্যাকাউন্টে বন্যাত্রাণের 69 লক্ষ টাকা!

আরও পড়ুন : SSC Corruption Case : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এবার চাকরি খোয়ালেন মুর্শিদাবাদের সিদ্দিক গাজি

তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে, ভোলানাথ চৌধুরী নামে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের এক গ্রুপ-ডি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে 69 লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে ৷ যদিও তাঁর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লক এলাকার পিপলা গ্রামে ৷ তাঁর বাড়ি রাজপ্রাসাদের মত ৷ এরকম কত ভোলানাথ চৌধুরীর অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে ! এক ব্লকের টাকা অন্য ব্লকে, এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারেও পাঠানো হয়েছে ৷ তৃণমূল নেতারা এদের সঙ্গে সমঝোতা করে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করছে ৷ এই সরকারের আমলে শুধুই দুর্নীতি চলছে ৷’’

একই অভিযোগ করেছেন বিজেপির মালদা জেলা সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া ৷ তিনি বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুরে 2017 সালে বন্যা হয় ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের 2019 সালে ক্ষতিপূরণ বিলি করা হয় ৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ব্লকে গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে 69 লক্ষ টাকা এসেছে ৷ অভিযোগের পরে তিনি নাকি কিছু টাকা ট্রেজারিতে ফেরত দিয়েছেন ৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, উনি সরকারি কর্মচারী ৷ ওনার অ্যাকাউন্টে টাকা যায় কীভাবে ? উনি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের কর্মচারী অথচ ওনার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকে ৷ তাহলে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের টাকা 1 নম্বর ব্লকে যায় কীভাবে ? এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে ৷ আমাদের দেখাক ওনার কী ক্ষতি হয়েছে ? যদি ক্ষতি হয়েও থাকে তবে, সর্বোচ্চ 70 হাজার টাকা পর্যন্ত একজন ক্ষতিগ্রস্ত পেতে পারেন ৷ তাহলে কীভাবে 69 লক্ষ টাকা একটি অ্যাকাউন্টে যায় ? প্রশ্ন বিজেপি নেতার ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.