মালদা, 3 জুলাই : জেলার কোভিড হাসপাতালে প্রথম কোনও কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যু হল৷ গতরাতে পুরাতন মালদার নারায়ণপুর কোভিড হাসপাতালে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়৷ বেশি রাতে মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । ঘটনার কথা স্বীকার করেছে মৃতের পরিবারের লোকজনও৷ আজ সরকারিভাবে মৃতদেহ সৎকার করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
এর আগে কোরোনা সংক্রমিত হয়ে এই জেলার দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে৷ তাদের মধ্যে একজন 55 বছর বয়সি ব্যবসায়ী কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান৷ 28 বছরের আর এক যুবকের মৃত্যু হয় মালদা মেডিকেলে৷ যদিও মৃত্যুর পর তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার ফল পজ়িটিভ আসে৷ তাঁরা দুজনই কালিয়াচক 2 ব্লকের মোথাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন৷ কিন্তু কোরোনা সংক্রমিত হয়ে জেলার কোভিড হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা গতকালই প্রথম ঘটেছে৷ মৃতের নাম শিবশম্ভু কেশরী৷ বয়স 73 বছর৷ তাঁর বাড়ি মালদা শহরের পিঁয়াজি মোড় এলাকায়৷ পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি৷ পরিবারে 65 বছরের স্ত্রী, দুই ছেলে, বউমা ও চার নাতি-নাতনি রয়েছে তাঁর৷
মৃতের এক ছেলে দীনেশ কেশরী জানিয়েছেন, “বাবা দীর্ঘদিন থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন৷ 20 জুন তাঁর জ্বর হয়৷ প্রথমে শহরের এক চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করছিলেন৷ চিকিৎসায় সাড়া না মেলায় 28 জুন আমরা তাঁকে শহরের একটি নামী নার্সিংহোমে ভরতি করি৷ নার্সিংহোমের পক্ষ থেকেই তাঁর লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়৷ 30 জুন তাঁর লালার নমুনায় কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে৷ সেদিনই তাঁকে কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়৷ পরশু থেকেই শুনতে পাচ্ছিলাম, বাবার অবস্থা ভালো নয়৷ কিন্তু হোম কোয়ারানটিন থেকে আমরা কেউ কোভিড হাসপাতালে যেতে পারিনি৷ অবশেষে গতকাল রাতে আমাদের খবর দেওয়া হয়, বাবা মারা গিয়েছেন৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকেই আজ তাঁর মৃতদেহ সৎকার করা হবে৷ বাবাকে শেষ দেখা দেখতে না পেয়ে আমরা দুঃখিত৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থা মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই৷”
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল রাতে পুরাতন মালদার নারায়ণপুর কোভিড হাসপাতালে কোরোনা সংক্রমিত ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে৷ ওই বৃদ্ধ একাধিক রোগে ভুগছিলেন৷ আজ প্রশাসনিকভাবে মৃতদেহের সৎকার করা হবে৷