মালদা, 24 অক্টোবর : আশঙ্কা ছিলই ৷ আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে কোরোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করল জেলায় ৷ কোরোনা সংক্রমিত হলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের এক ফুলের দোকানদার ৷ তাঁর পরিবারের আরও একজনের লালারসের নমুনায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ পুজোর মধ্যে এক ফুলবিক্রেতা কোরোনা সংক্রমিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ কারণ, পুজো মরশুমে তাঁর কাছ থেকে পুজোর ফুল কিনেছে অনেকেই ৷ আজ ওই এলাকায় পুজোমণ্ডপগুলিতে স্যানিটাইজ়ে ব্যস্ত থাকা দমকর্মীরা বিষয়টি শুনতে পেয়েই ওই ব্যবসায়ীর দোকান ও বাড়ি স্যানিটাইজ় করেছেন ৷ স্যানিটাইজ় করা হয়েছে দোকান ও বাড়ি সংলগ্ন এলাকাও ৷
সরকার, আদালত, দেশ ও রাজ্যের প্রধান ব্যক্তিত্বের তরফে বারবার করে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে, বল্গাহীন উৎসবে ভাসলে কোরোনা সংক্রমণও লাগামছাড়া হবে ৷ একই কথা বলেছিলেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরাও ৷ তাতে রাজ্যবাসীর মধ্যে কিছুটা সতর্কতা দেখা দিলেও অনেক মানুষই এসব সতর্কতা কানে তোলেনি ৷ সেই ছবি ধরা পড়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুরেও ৷ তবে ফুলবিক্রেতার কোরোনা সংক্রমণে সেখানকার মানুষজন যেন কিছুটা ভয় পেয়েছে ৷ বিকেল থেকে রাস্তায় জনসংখ্যা একটু কমেছে ৷
হরিশ্চন্দ্রপুর দমকল স্টেশনের ইনচার্জ প্রবীর রায় বলেন, “আজ আমরা পুজোমণ্ডপগুলি স্যানিটাইজ় করার কাজ চালাচ্ছিলাম ৷ তখনই শুনতে পাই, এক ফুলের দোকানদার কোরোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৷ সেকথা শুনেই আমরা পুজোমণ্ডপ ছেড়ে আক্রান্তের দোকান স্যানিটাইজ় করি ৷ পরে তাঁর বাড়িও স্যানিটাইজ় করা হয় ৷ পুজোর সময় এখন রাস্তাঘাটে লোকজন ভালোই হচ্ছে ৷ তাই আমরা আক্রান্তের দোকান ও বাড়ি সংলগ্ন এলাকাও স্যানিটাইজ় করেছি ৷