মালদা, 6 মে : ভোটপর্ব শেষে ফের রাস্তায় নামল পুলিশ ৷ প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও করোনা সংক্রমণ রুখতে শুরু হয়েছে পুলিশের ব্যাটিং ৷ তবে এখনই টি-20 ধাঁচে খেলা শুরু হয়নি ৷ তবে আংশিক লকডাউনের সময়সীমা নিয়ে রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে ধন্ধে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা ৷ এদিকে গত তিনদিনে মালদা মেডিকেলের কোভিড ইউনিটে মৃত্যু হয়েছে 10 জন করোনা সংক্রমিতের ৷ মেডিকেলের অধ্যক্ষ দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে মেডিকেলে সুস্থতার হার যথেষ্ট আশাজনক ৷ তবে করোনা প্রতিহত করতে মানুষকে সচেতন হতেই হবে ৷
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিহত করতে আগেই আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার ৷ তখন বলা হয়েছিল, সকাল সাতটা থেকে 10টা এবং বেলা তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে ৷ তবে দু’বেলা দোকান খোলা ও বন্ধ করা এবং সকাল 10টার মধ্যে ক্রেতার অভাবের জন্য মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায়, দু’বেলার পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের টানা পাঁচ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হোক ৷ ব্যবসায়ীদের সেই আর্জিতে সায় দিয়ে সকাল 10টা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন ৷ এনিয়ে প্রশাসনের পক্ষে মালদা শহরে মাইকিংও করা হয় ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, দোকান সকাল সাতটা থেকে 10টা এবং বেলা তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্তই খোলা রাখা যাবে ৷ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের তরফে এই চরমবার্তা পেয়ে প্রশাসন আগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে ৷ আজ সকাল 10টা বাজতেই রাস্তায় নেমে পড়ে পুলিশ ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত দোকান ও সবজি বাজার ৷
আজ সকাল 10টার পর পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি এলাকায় সবজি, মাছ-মাংসের বাজারের সঙ্গে খোলা থাকা দোকানগুলিতে অভিযান চালায় পুলিশ ৷ নেতৃত্বে ছিলেন মালদা থানার আইসি হীরক বিশ্বাস ৷ বাজার ও দোকান বন্ধ রাখার জন্য মাইকে বার্তা দেন আইসি ৷ করোনা প্রতিহত করতে কী করতে হবে, তা নিয়েও মানুষকে সচেতন করেন তিনি ৷ পথচলতি মানুষজনকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করেন পুলিশকর্মীরা ৷ মাইকে আইসি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যেই বাজার ও দোকান খোলা রাখতে হবে ৷ তার বাইরে দোকান খোলা রাখতে দেবে না পুলিশ ৷ প্রয়োজনে পুলিশের অভিযান আরও জোরালো হবে ৷