মালদা, 16 সেপ্টেম্বর: অবিকল সোনা ৷ রিক্সাওয়ালার কাছ থেকে পাওয়া সেই ধাতব বস্তু নিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে বিতর্কে বিজেপি নেত্রী। যদিও নেত্রীর দাবি, এক রিক্সাওয়ালার থেকে তিনি সেই বস্তু পেয়ে পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইংরেজবাজারের ঝলঝলিয়া এলাকায়। বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সহসভানেত্রী বীণা সরকার কীর্তনীয়া।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে বীণাদেবী সোনার বাটের মতো দেখতে একটি ধাতব বস্তু নিয়ে ঝলঝলিয়ার এক দোকানে পরীক্ষা করাতে যান। ওই বাট নকল হওয়ায় ব্যবসায়ী মালদা জেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ওই অলংকারের দোকানে পৌঁছে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। দু'পক্ষের তরফে সমস্ত ঘটনা জানানোর পর সোনার মতো দেখতে ওই বস্তু তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
বীণাদেবী বলেন, "এক রিক্সাচালক রুমালে মোড়ানো জিনিস পান। আমরা তা দেখতে চাওয়ায় ওই রিক্সাওয়ালা রুমাল খুলে আমাদের দেখান। আমরা ওনার থেকে ওই বস্তুর সঙ্গে থাকা কাগজ নিয়ে দেখি। সেই কাগজে লেখা রয়েছে, 'শ্রী নৃপেনবাবু নমষ্কার। আমি বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকায় আমার বড়ো ছেলের হাতে তিন ভরি ওজনের একটি সোনার বিস্কুট পাঠিয়ে দিচ্ছি। ওই সোনা দিয়ে দু'টো চেন এবং এক জোড়া ঝুমকা বানিয়ে দেবেন।' আমাদের ওই কাগজ পড়ে মনে হয়, হয়তো কোনও গরিব মানুষের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমরা ওই রিক্সাওয়ালাকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে বস্তুটি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথাও বলেছিলাম।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা একটি জুয়েলারির দোকানের সামনে রিক্সা দাঁড় করিয়ে কাগজ-সহ ওই সোনার জিনিস পরীক্ষা করাতে যাই। কিন্তু জানানো হয়, ওই বস্তু সোনা নয়। এরপরেই আমরা মালদা জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদককে ফোন করি। এরই মধ্যে ওই চালক পালিয়ে যান। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানান, এভাবে নাকি বেশ কিছুদিন ধরে এই চক্র চলছে। যদি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যায় তবে আমরা ওই রিক্সা চালককে ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সাহায্য করব।"
স্বর্ণ শিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার বলেন, "এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেই সময়ও একই জুয়েলারি দোকানের নামের ভুয়ো প্যাড পাওয়া গিয়েছিল। আজও সেই ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুলিশে বিষয়টি জানাব। আমরা এই চক্র সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সতেচন করতে চাইছি।" ইংরেজবাজার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী সোনার মতো দেখতে ওই বস্তু পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।