ETV Bharat / state

একুশের নির্বাচন প্রচারে চিটফান্ড অন্যতম ইশু কংগ্রেসের - chit fund issue

ইশা খান বলেন, "প্রদেশের নির্দেশে আজ চিটফান্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে । একুশের নির্বাচনে আমরা নিশ্চিত ভাবে এই বিষয়টিকে অন্যতম ইশু করতে চলেছি ।"

chit fund issue
একুশের নির্বাচন প্রচারে চিটফান্ড অন্যতম ইশু
author img

By

Published : Jan 9, 2021, 12:53 PM IST

মালদা, 9 জানুয়ারি : একুশের নির্বাচনে চিটফান্ড প্রতারণাকে ইশু করতে চলেছে কংগ্রেস । আজ সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি। চিটফান্ড প্রতারিতদের টাকা ফেরত-সহ এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সারা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ডেপুটেশন কর্মসূচির আয়োজন করেছে কংগ্রেস । আজ এনিয়ে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হন ইশা খান ।

ইশা বলেন, "প্রদেশের নির্দেশে আজ চিটফান্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে । কংগ্রেসই প্রথম এই ইশুতে অভিযোগ তোলে । 2009 সালেই সেই অভিযোগ তোলা হয় । এনিয়ে দলের তরফে মামলাও করা হয়েছে । মালদা-সহ গোটা রাজ্যের লাখ লাখ মানুষ চিটফান্ডে টাকা খুইয়েছেন । অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন । আমরা দেখেছি, বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা সরাসরি জড়িত । তাঁদের কেউ সাংসদ, কেউ বিধায়ক, আবার কেউ মন্ত্রী । তৃণমূলের সাংসদ কুণাল ঘোষ সারদা চিটফান্ডের সিইও ছিলেন । মুখ্যমন্ত্রী নিজের আঁকা ছবি সারদার কাছে তিন কোটি টাকায় বিক্রি করেছিলেন । ফলে শাসক দলের সঙ্গে চিটফান্ড সংস্থাগুলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে । 2013 সালে এনিয়ে তদন্ত শুরু হয় । কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে এর তদন্ত শুরু করায় । তৃণমূলের কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ গ্রেপ্তার হন । তাঁদের জেলও হয় । কিন্তু 2014 সালে হঠাৎ করে সিবিআই ও ইডি তদন্ত প্রায় বন্ধ হয়ে যায় । এই তদন্তের কোনও চার্জশিট এখনও দাখিল হয়নি । এতেই প্রমাণিত, মুখ্যমন্ত্রী ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটা আঁতাত হয়েছে ।"

একুশের নির্বাচন প্রচারে চিটফান্ড অন্যতম ইশু

আরও পড়ুন : চিটফান্ড মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তুষ্ট সায়ন্তন

সুজাপুরের বিধায়ক আরও বলেন, "বাজপেয়ী সরকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন । তার আগেই তাঁর দল বিজেপির সঙ্গে জোট করেছে । ফলে তাঁর বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নতুন কিছু নয় । বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যসভায় ওয়াকআউট করে তৃণমূল সাংসদরা বিজেপিতে সুবিধা করে দিয়েছেন । সেই সুযোগ নিয়ে বিজেপি সরকার ফিনান্স বিল, জিএসটি বিল, কাশ্মীরে 370 ধারা রদের মতো বিলগুলি রাজ্যসভায় পাস করিয়ে নিয়েছে । এরই পুরস্কারস্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকার চিটফান্ড তদন্তের রাশ হালকা করে দিয়েছে । সব দুই দলের গোপন আঁতাত । আমাদের দাবি, লাখ লাখ গরিব মানুষের স্বার্থে এসব তদন্ত ফের পুরোদস্তুর চালু করতে হবে । গরিব মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে দুই সরকারকেই । একুশের নির্বাচনে আমরা নিশ্চিত ভাবে এই বিষয়টিকে অন্যতম ইশু করতে চলেছি । আর ক্যামেরায় যাদের নারদার ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে ।"

মালদা, 9 জানুয়ারি : একুশের নির্বাচনে চিটফান্ড প্রতারণাকে ইশু করতে চলেছে কংগ্রেস । আজ সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি। চিটফান্ড প্রতারিতদের টাকা ফেরত-সহ এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সারা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ডেপুটেশন কর্মসূচির আয়োজন করেছে কংগ্রেস । আজ এনিয়ে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হন ইশা খান ।

ইশা বলেন, "প্রদেশের নির্দেশে আজ চিটফান্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে । কংগ্রেসই প্রথম এই ইশুতে অভিযোগ তোলে । 2009 সালেই সেই অভিযোগ তোলা হয় । এনিয়ে দলের তরফে মামলাও করা হয়েছে । মালদা-সহ গোটা রাজ্যের লাখ লাখ মানুষ চিটফান্ডে টাকা খুইয়েছেন । অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন । আমরা দেখেছি, বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা সরাসরি জড়িত । তাঁদের কেউ সাংসদ, কেউ বিধায়ক, আবার কেউ মন্ত্রী । তৃণমূলের সাংসদ কুণাল ঘোষ সারদা চিটফান্ডের সিইও ছিলেন । মুখ্যমন্ত্রী নিজের আঁকা ছবি সারদার কাছে তিন কোটি টাকায় বিক্রি করেছিলেন । ফলে শাসক দলের সঙ্গে চিটফান্ড সংস্থাগুলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে । 2013 সালে এনিয়ে তদন্ত শুরু হয় । কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে এর তদন্ত শুরু করায় । তৃণমূলের কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ গ্রেপ্তার হন । তাঁদের জেলও হয় । কিন্তু 2014 সালে হঠাৎ করে সিবিআই ও ইডি তদন্ত প্রায় বন্ধ হয়ে যায় । এই তদন্তের কোনও চার্জশিট এখনও দাখিল হয়নি । এতেই প্রমাণিত, মুখ্যমন্ত্রী ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটা আঁতাত হয়েছে ।"

একুশের নির্বাচন প্রচারে চিটফান্ড অন্যতম ইশু

আরও পড়ুন : চিটফান্ড মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তুষ্ট সায়ন্তন

সুজাপুরের বিধায়ক আরও বলেন, "বাজপেয়ী সরকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন । তার আগেই তাঁর দল বিজেপির সঙ্গে জোট করেছে । ফলে তাঁর বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নতুন কিছু নয় । বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যসভায় ওয়াকআউট করে তৃণমূল সাংসদরা বিজেপিতে সুবিধা করে দিয়েছেন । সেই সুযোগ নিয়ে বিজেপি সরকার ফিনান্স বিল, জিএসটি বিল, কাশ্মীরে 370 ধারা রদের মতো বিলগুলি রাজ্যসভায় পাস করিয়ে নিয়েছে । এরই পুরস্কারস্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকার চিটফান্ড তদন্তের রাশ হালকা করে দিয়েছে । সব দুই দলের গোপন আঁতাত । আমাদের দাবি, লাখ লাখ গরিব মানুষের স্বার্থে এসব তদন্ত ফের পুরোদস্তুর চালু করতে হবে । গরিব মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে দুই সরকারকেই । একুশের নির্বাচনে আমরা নিশ্চিত ভাবে এই বিষয়টিকে অন্যতম ইশু করতে চলেছি । আর ক্যামেরায় যাদের নারদার ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.