ETV Bharat / state

Malda Silk Weaving: মালদায় উৎপাদিত রেশম দিয়ে জেলাতেই তৈরি হবে জামাকাপড়-শাড়ি

যে মালদার রেশম দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বস্ত্র তৈরি হয়, সেই মালদাতেই এবার বস্ত্র তৈরির উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার(Malda Silk Weaving)৷ মঙ্গলবার জেলাশাসকের সঙ্গে এই সংক্রান্ত বৈঠক হয় জেলার শিল্পদ্যোগীদের নিয়ে ৷

malda silk meeting
মালদা সিল্ক পার্ক নিয়ে বৈঠকে প্রশাসন
author img

By

Published : Jul 26, 2022, 10:22 PM IST

মালদা, 26 জুলাই: জেলায় উৎপন্ন রেশম দিয়ে এবার এই মালদায় তৈরি হবে শাড়ি (Clothes will be made in district with silk produced in Malda)। শুধু শাড়ি নয়, তৈরি হবে সিল্কের যাবতীয় জামাকাপড় । রেশম চাষি-সহ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের আশা দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার । এই নিয়েই মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে দফায় দফায় বৈঠক হয় । প্রথম পর্বের বৈঠকে রেশমচাষ ও শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে আলোচনা করেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া । বিকেলে দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকে তিনি দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রাজেশ সিনহার সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর ।

মালদা জেলায় প্রায় 21 হাজার একর জমিতে তুঁতের চাষ করা হয় । জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকে চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি রেশম উৎপাদন হয় কালিয়াচকের তিনটি ব্লকে । গোটা জেলায় এই চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছেন অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ । প্রায় 61 হাজার পরিবার এই চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন । এই জেলায় প্রতি বছর রেশমচাষের ছ'টি মরশুমে বছরে গড়ে রেশম সুতো উৎপাদন হয় প্রায় 1500 মেট্রিক টন । এই রেশম সুতো মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় রফতানি করা হয় । কালিয়াচকে পাইকারি রেশম বাজার রয়েছে । চাষিদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই জেলায় রেশম সুতো থেকে বস্ত্র তৈরির কারখানা করা হোক । তাতে জেলার রেশমচাষের পরিধি আরও বাড়বে ।

আরও পড়ুন : চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে মালদায় বসছে পাঁচ কোটি টাকার রেশম সুতো তৈরির মেশিন
আজ প্রথম বৈঠক শেষে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, জেলার রেশমশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । ইতিমধ্যেই জেলার সিল্ক পার্কের ইস্ট ব্লকের কাজ শেষ হতে চলেছে । ওখানে 50টিরও বেশি স্টল তৈরি করা হয়েছে । রয়েছে 20টি প্লটও । যাঁরা এখানে প্লট কিংবা স্টল নিতে উৎসাহী, 22 অগস্ট পর্যন্ত তাঁরা আবেদন জানাতে পারেন । স্টলের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের জন্য মাসে সাত টাকা ভাড়া দিতে হবে । আর 80 হাজার টাকা কাঠা হিসাবে কেউ 30 বছরের জন্য লিজে প্লট নিতে পারেন । মুখ্যমন্ত্রী ওই পার্কে বস্ত্রশিল্প নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন । ফলে এবার থেকে জেলায় উৎপন্ন রেশম থেকে ওই সিল্ক পার্কেই বিভিন্ন ধরনের রেশমি কাপড় তৈরি করা যাবে । আমাদের আশা, জেলার রেশম ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোগীরা এতে উৎসাহিত হবেন ।

মালদায় উৎপাদিত রেশম দিয়ে জেলাতেই তৈরি হবে কাপড়

বৈঠকে অংশ নেওয়া জেলার এক শিল্পদ্যোগী মনোজ জৈন বলেন, "এই পার্কে রেশমের কাপড়ের সম্পূর্ণ উৎপাদন কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আজ বৈঠক হল । 45 কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্য সরকার এই ফেসিলিটি সেন্টার তৈরি করেছে । সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে জেলার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি হবে । এখন মালদার রেশম সুতো দিয়েই দেশের বেশিরভাগ সিল্কের কাপড় তৈরি হয় । এখানে কাপড় তৈরির সুবিধে না থাকায় মার খাচ্ছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই । রাজ্য সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এই জেলা থেকেই গোটা দেশে সিল্কের কাপড় রফতানি করা যাবে ।"

আরও পড়ুন : তড়িঘড়ি সিল্ক পার্কের উদ্বোধন, কী বলছে রেশমচাষিরা

মালদা, 26 জুলাই: জেলায় উৎপন্ন রেশম দিয়ে এবার এই মালদায় তৈরি হবে শাড়ি (Clothes will be made in district with silk produced in Malda)। শুধু শাড়ি নয়, তৈরি হবে সিল্কের যাবতীয় জামাকাপড় । রেশম চাষি-সহ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের আশা দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার । এই নিয়েই মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে দফায় দফায় বৈঠক হয় । প্রথম পর্বের বৈঠকে রেশমচাষ ও শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে আলোচনা করেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া । বিকেলে দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকে তিনি দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রাজেশ সিনহার সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর ।

মালদা জেলায় প্রায় 21 হাজার একর জমিতে তুঁতের চাষ করা হয় । জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকে চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি রেশম উৎপাদন হয় কালিয়াচকের তিনটি ব্লকে । গোটা জেলায় এই চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছেন অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ । প্রায় 61 হাজার পরিবার এই চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন । এই জেলায় প্রতি বছর রেশমচাষের ছ'টি মরশুমে বছরে গড়ে রেশম সুতো উৎপাদন হয় প্রায় 1500 মেট্রিক টন । এই রেশম সুতো মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় রফতানি করা হয় । কালিয়াচকে পাইকারি রেশম বাজার রয়েছে । চাষিদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই জেলায় রেশম সুতো থেকে বস্ত্র তৈরির কারখানা করা হোক । তাতে জেলার রেশমচাষের পরিধি আরও বাড়বে ।

আরও পড়ুন : চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে মালদায় বসছে পাঁচ কোটি টাকার রেশম সুতো তৈরির মেশিন
আজ প্রথম বৈঠক শেষে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, জেলার রেশমশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । ইতিমধ্যেই জেলার সিল্ক পার্কের ইস্ট ব্লকের কাজ শেষ হতে চলেছে । ওখানে 50টিরও বেশি স্টল তৈরি করা হয়েছে । রয়েছে 20টি প্লটও । যাঁরা এখানে প্লট কিংবা স্টল নিতে উৎসাহী, 22 অগস্ট পর্যন্ত তাঁরা আবেদন জানাতে পারেন । স্টলের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের জন্য মাসে সাত টাকা ভাড়া দিতে হবে । আর 80 হাজার টাকা কাঠা হিসাবে কেউ 30 বছরের জন্য লিজে প্লট নিতে পারেন । মুখ্যমন্ত্রী ওই পার্কে বস্ত্রশিল্প নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন । ফলে এবার থেকে জেলায় উৎপন্ন রেশম থেকে ওই সিল্ক পার্কেই বিভিন্ন ধরনের রেশমি কাপড় তৈরি করা যাবে । আমাদের আশা, জেলার রেশম ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোগীরা এতে উৎসাহিত হবেন ।

মালদায় উৎপাদিত রেশম দিয়ে জেলাতেই তৈরি হবে কাপড়

বৈঠকে অংশ নেওয়া জেলার এক শিল্পদ্যোগী মনোজ জৈন বলেন, "এই পার্কে রেশমের কাপড়ের সম্পূর্ণ উৎপাদন কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আজ বৈঠক হল । 45 কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্য সরকার এই ফেসিলিটি সেন্টার তৈরি করেছে । সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে জেলার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি হবে । এখন মালদার রেশম সুতো দিয়েই দেশের বেশিরভাগ সিল্কের কাপড় তৈরি হয় । এখানে কাপড় তৈরির সুবিধে না থাকায় মার খাচ্ছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই । রাজ্য সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এই জেলা থেকেই গোটা দেশে সিল্কের কাপড় রফতানি করা যাবে ।"

আরও পড়ুন : তড়িঘড়ি সিল্ক পার্কের উদ্বোধন, কী বলছে রেশমচাষিরা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.