মালদা, 12 সেপ্টেম্বর : নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে একাধিক জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন । মালদা জেলার 72 টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্র্যাফিক) বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় । আপাতত সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাতে দুই মহকুমায় তৈরি হবে বিশেষ কন্ট্রোল রুম ।
প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত মালদা জেলা অপরাধপ্রবণ হিসেবে পরিচিত । জেলার গর্ব আমের পাশাপাশি নানাবিধ বেআইনি কার্যকলাপে নাম জড়িয়েছে । মালদা সীমান্তের এক প্রান্তে বিহার, অন্যপ্রান্তে বাংলাদেশ । জেলার 181 কিলোমিটার ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার মধ্যে প্রায় 30 কিলোমিটার এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই । ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য মাদক ও জালনোট কারবারিরা মালদা জেলাকে দীর্ঘদিন ধরে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে আসছে ।
আরও পড়ুন : samserganj : ভোটের মুখে সামশেরগঞ্জে গ্রেফতার দুই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী
বাংলাদেশ থেকে জালনোট মালদা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্য তথা দেশে ৷ অন্যদিকে এই জেলা দিয়ে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, ব্রাউন সুগার, গরু বাংলাদেশে পাচার করা হয় ৷ প্রায় প্রতিদিন জেলার কোনও না কোনও প্রান্তে বিএসএফ কিংবা পুলিশের হাতে পাচারকারীদের ধরা পড়ার ঘটনা সামনে আসে । এই বেআইনি কারবার রুখতে ও জেলার নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে জেলাজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন ।
ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্র্যাফিক) বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "জেলার বিভিন্ন থানাতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো আছে । বেশ কিছু জায়গায় ক্যামেরা খারাপ হয়ে গিয়েছে । সেগুলো মেরামতের জন্য লোক এসেছে ৷ কাজ চলছে ।" তিনি জানিয়েছেন, পুরো জেলা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । সেই সব কাজ চলছে ৷ জেলাজুড়ে নতুন করে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে । তিনি বলেন, "আপাতত 72 টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে । এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে ।" বিভিন্ন ধরনের সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হতে পারে ৷ এর জন্য আলাদা সেন্ট্রাল অথবা সাব-ডিভিশনাল কনট্রোল রুম করা হবে বলে জানালেন পুলিশ সুপার ৷ পুরো প্রজেক্টের জন্য আনুমানিক খরচ 4 কোটি 20 লক্ষ টাকা ।