ETV Bharat / state

Diwali 2023: দীপাবলির আগে মোমবাতি কারখানাগুলিতে চরম ব্যস্ততা, বাড়ছে কর্মসংস্থানও

Candle factories Extremely Busy: দীপাবলিতে বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জার চাহিদা থাকে তুঙ্গে ৷ যার মধ্যে একটি হল মোমবাতি ৷ তাই কালীপুজোয় সপ্তাহখানেক বাকি থাকায় মোমবাতি কারখানাগুলিতে এখন চরম ব্যস্ততা ৷ কারখানায় কাজের মাধ্যমে হচ্ছে কর্মসংস্থানও ৷

Candle making
মোমবাতি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 4, 2023, 10:32 PM IST

দীপাবলির আগে মোমবাতি কারখানাগুলিতে চরম ব্যস্ততা

মালদা, 4 নভেম্বর: দীপাবলির বাকি সপ্তাহখানেক ৷ তার আগে চাহিদা বাড়ছে মোমবাতির । এই মুহূর্তে মালদা শহরের মোমবাতি কারখানাগুলিতে চরম ব্যস্ততা । নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে কাজ করছেন কর্মীরা ৷ শুধুমাত্র এই মাসে প্রায় আড়াইগুণ মোমবাতি বিক্রি হবে বলে আশাবাদী প্রস্তুতকারকরা । এর ফলে বাড়ছে কর্মসংস্থানও ।

দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব । সেজে উঠবে প্রতিটি বাড়ি ৷ একটা সময় ছিল যখন প্রতিটি বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বলত । পরবর্তীতে প্রদীপের সেই জায়গা নেয় মোমবাতি । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতিকে সরিয়ে বাজারের দখল করেছে বৈদ্যুতিক আলো । চিনা লাইট ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে । তবে করোনা আবহে লকডাউনের কারণে চিনা আলো বাজারে আসা বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় থেকে চিনা আলোর প্রতি অনীহা দেখা যায় সাধারণ মানুষের । বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় ভারতীয় টুনি বাল্ব ৷ তা সত্ত্বেও এখনও দিওয়ালিতে বহু মানুষের প্রথম পছন্দ মোমবাতিতেই ।

মালদা শহরের মোমবাতি কারখানার কর্মী ঝরনা চৌধুরী বলেন, "আমি প্রায় 5-6 বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি । আমরা যে পরিমাণে মোমবাতি তৈরি করি সেই অনুযায়ী মজুরি পাই । বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই সময় মোমবাতির চাহিদা অনেকটা বেশি থাকে । আমরা একসঙ্গে দু-তিনটে মেশিনে কাজ করি । প্রতিটি মেশিন থেকে প্রায় 25 পেটি মোমবাতি প্রতিদিন তৈরি হয় ।"

কারখানার মালিক রতন সাহার কথায়, গত 60 বছর ধরে তাঁদের এই মোমবাতি কারখানা চলছে । কারখানায় 10 জন কর্মী প্রতিদিন কাজ করেন। সারা বছরই মোমবাতির চাহিদা থাকে । গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মোমবাতি ভালোই বিক্রি হয় । অনেকে আবার প্রদীপ জ্বালানোর থেকে মোমবাতি জ্বালাতে পছন্দ করেন । মন্দির, মসজিদ, গীর্জা সব জায়গায় মোমবাতি জ্বালানো হয় । ফলে মোমবাতির চাহিদা সারা বছর থাকে । তবে কালীপুজোর মাসে মোমবাতির চাহিদা অনেকটা বেড়ে যায় ।

আরও পড়ুন: মাটি ছেড়ে হুগলিতে 'সুপারহিট' গোবরের প্রদীপ, তৈরি করছেন গ্রামের মহিলারা

তিনি বলেন, "এমনিতে আমরা প্রতিমাসে প্রায় 3-4 টনের মোমের কাজ করে থাকি । সেখান থেকে কিছু মজুত হয় । তবে এই সময় সমস্ত মজুত থাকা মোমবাতি মার্কেটে চলে যায় । এই এক মাসে প্রায় 10টন মাল বাজারে যায় । করোনার আগে বাজারে চিনা আলো মার্কেট ধরে ফেলেছিল । তবে করোনোর পর থেকে চিনা আলো আসা কমেছে । মানুষও বৈদ্যুতিক আলো থেকে সরে মোমবাতি জ্বালাতে পছন্দ করছেন ।"

দীপাবলির আগে মোমবাতি কারখানাগুলিতে চরম ব্যস্ততা

মালদা, 4 নভেম্বর: দীপাবলির বাকি সপ্তাহখানেক ৷ তার আগে চাহিদা বাড়ছে মোমবাতির । এই মুহূর্তে মালদা শহরের মোমবাতি কারখানাগুলিতে চরম ব্যস্ততা । নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে কাজ করছেন কর্মীরা ৷ শুধুমাত্র এই মাসে প্রায় আড়াইগুণ মোমবাতি বিক্রি হবে বলে আশাবাদী প্রস্তুতকারকরা । এর ফলে বাড়ছে কর্মসংস্থানও ।

দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব । সেজে উঠবে প্রতিটি বাড়ি ৷ একটা সময় ছিল যখন প্রতিটি বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বলত । পরবর্তীতে প্রদীপের সেই জায়গা নেয় মোমবাতি । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতিকে সরিয়ে বাজারের দখল করেছে বৈদ্যুতিক আলো । চিনা লাইট ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে । তবে করোনা আবহে লকডাউনের কারণে চিনা আলো বাজারে আসা বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় থেকে চিনা আলোর প্রতি অনীহা দেখা যায় সাধারণ মানুষের । বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় ভারতীয় টুনি বাল্ব ৷ তা সত্ত্বেও এখনও দিওয়ালিতে বহু মানুষের প্রথম পছন্দ মোমবাতিতেই ।

মালদা শহরের মোমবাতি কারখানার কর্মী ঝরনা চৌধুরী বলেন, "আমি প্রায় 5-6 বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি । আমরা যে পরিমাণে মোমবাতি তৈরি করি সেই অনুযায়ী মজুরি পাই । বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই সময় মোমবাতির চাহিদা অনেকটা বেশি থাকে । আমরা একসঙ্গে দু-তিনটে মেশিনে কাজ করি । প্রতিটি মেশিন থেকে প্রায় 25 পেটি মোমবাতি প্রতিদিন তৈরি হয় ।"

কারখানার মালিক রতন সাহার কথায়, গত 60 বছর ধরে তাঁদের এই মোমবাতি কারখানা চলছে । কারখানায় 10 জন কর্মী প্রতিদিন কাজ করেন। সারা বছরই মোমবাতির চাহিদা থাকে । গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মোমবাতি ভালোই বিক্রি হয় । অনেকে আবার প্রদীপ জ্বালানোর থেকে মোমবাতি জ্বালাতে পছন্দ করেন । মন্দির, মসজিদ, গীর্জা সব জায়গায় মোমবাতি জ্বালানো হয় । ফলে মোমবাতির চাহিদা সারা বছর থাকে । তবে কালীপুজোর মাসে মোমবাতির চাহিদা অনেকটা বেড়ে যায় ।

আরও পড়ুন: মাটি ছেড়ে হুগলিতে 'সুপারহিট' গোবরের প্রদীপ, তৈরি করছেন গ্রামের মহিলারা

তিনি বলেন, "এমনিতে আমরা প্রতিমাসে প্রায় 3-4 টনের মোমের কাজ করে থাকি । সেখান থেকে কিছু মজুত হয় । তবে এই সময় সমস্ত মজুত থাকা মোমবাতি মার্কেটে চলে যায় । এই এক মাসে প্রায় 10টন মাল বাজারে যায় । করোনার আগে বাজারে চিনা আলো মার্কেট ধরে ফেলেছিল । তবে করোনোর পর থেকে চিনা আলো আসা কমেছে । মানুষও বৈদ্যুতিক আলো থেকে সরে মোমবাতি জ্বালাতে পছন্দ করছেন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.