ETV Bharat / state

দিল্লির কৃষক আন্দোলন করছে দালালরা : দিলীপ

দিল্লিতে কৃষকরা আন্দোলন করছে না । সেই আন্দোলন করছে দালালরা। মালদা শহরে চায়ে পে চর্চায় এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

dilip
dilip
author img

By

Published : Dec 15, 2020, 1:46 PM IST

মালদা, 15 ডিসেম্বর : দিল্লিতে কৃষকরা আন্দোলন করছে না ৷ আন্দোলন করছে দালালরা ৷ কৃষি আইন তাদের স্বার্থে আঘাত হেনেছে ৷ তাই তারা এভাবে আন্দোলন শুরু করেছে ৷ আজ মালদা শহরে চায়ে পে চর্চায় অনুষ্ঠান থেকে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ পাশাপাশি আজ একাধিক ইশুতে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন, ঠিক তখন দিলীপবাবুর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

আজ মালদা শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায় চা চক্র অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ৷ সেখানে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তৃণমূলের যুব নেতা অনন্ত চক্রবর্তী ৷ তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দিলীপবাবু ৷ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী দেশের 9 কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে 14 হাজার টাকা করে দিয়েছেন৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা সেই টাকা পাননি ৷ শুধুমাত্র দিদিমণির বিরোধিতার জন্য ৷ অথচ এই টাকা পেলে কৃষকরা পরবর্তী চাষ শুরু করতে পারতেন৷ কেন্দ্রীয় সরকার গত বছরের তুলনায় এবার ধানের সহায়কমূল্য অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ কিন্তু এখানে 10 শতাংশের বেশি কৃষক সেই সুবিধে পাননি ৷ বাকি ধান কম দামেই তাঁদের বিক্রি করতে হচ্ছে ৷ এবার আলু বীজের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে ৷ হিমঘরে আলুর বন্ড চাষিরা পায় না ৷ সব দালালরা কিনে নেয় ৷ কেন এমন হবে? কৃষকদের বাঁচাতেই প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন সংশোধন করেছেন ৷ এই আইনে কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছে মতো জায়গায় উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারবে ৷ কিন্তু এই আইনের বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷"

আরও পড়ুন : আজ অনশনে কৃষকরা, আন্দোলনকে সমর্থন করে ইস্তফা পঞ্জাবের ডিআইজির

তিনি আরও বলেন, "কৃষি আইনের সমর্থনে আমরা প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় 10-12 হাজার মানুষকে নিয়ে মিছিল করেছি ৷ কিন্তু দিদিমণি এই আইনের বিরোধিতায় শুধুমাত্র কলকাতায় কিছু দালালকে নিয়ে মিছিল করেছেন ৷ কারণ, কৃষকরা তাঁর সঙ্গে নেই ৷ আজ দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন চলছে ৷ সেখানে শুধুমাত্র পঞ্জাবের সমস্যা ৷ পঞ্জাবে এমন 40 হাজার দালাল আছে ৷ বাদল গোষ্ঠী এক সময় আমাদের সঙ্গে ছিল ৷ তারা আমাদের থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ কারণ, বাদলের কোম্পানির বাৎসরিক ব্যবসা পাঁচ হাজার কোটি টাকার ৷ তারা চাষিদের কাছ থেকে 1200 টাকায় ধান কিনে 1800 টাকায় বিক্রি করে৷ এভাবে প্রতিটি ফসল নিয়ে তারা ব্যবসা করে ৷ কেন্দ্রীয় সরকার 10টি ফসলে সহায়কমূল্য দেয় ৷ কিন্তু এরা চাষিদের ঠকানোর জন্য ফাঁদ পেতে বসে আছে ৷ নতুন কৃষি আইনে এই দালালদের সমস্যা হয়ে গিয়েছে ৷ তাই তারা চিৎকার করছে ৷ সেখানে যে কংগ্রেস নেতা নেতৃত্ব দিচ্ছে, সে 350 কোটি টাকার মালিক ৷ সে নাকি চাষি ! তার নাকি এই আইনে ক্ষতি হচ্ছে ৷ এই আইনে চাষিরা বাঁচবে ৷ দেশের যে অংশে ধান চাষ হয়, সেসব জায়গায় চাষিদের কোনও আন্দোলন নেই ৷ শুধুমাত্র পঞ্জাব আর হরিয়ানায় ৷ আর আমাদের দিদিমণি এই দালালদেরই সমর্থন করছেন ৷"

মালদা, 15 ডিসেম্বর : দিল্লিতে কৃষকরা আন্দোলন করছে না ৷ আন্দোলন করছে দালালরা ৷ কৃষি আইন তাদের স্বার্থে আঘাত হেনেছে ৷ তাই তারা এভাবে আন্দোলন শুরু করেছে ৷ আজ মালদা শহরে চায়ে পে চর্চায় অনুষ্ঠান থেকে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ পাশাপাশি আজ একাধিক ইশুতে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন, ঠিক তখন দিলীপবাবুর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

আজ মালদা শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায় চা চক্র অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ৷ সেখানে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তৃণমূলের যুব নেতা অনন্ত চক্রবর্তী ৷ তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দিলীপবাবু ৷ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী দেশের 9 কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে 14 হাজার টাকা করে দিয়েছেন৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা সেই টাকা পাননি ৷ শুধুমাত্র দিদিমণির বিরোধিতার জন্য ৷ অথচ এই টাকা পেলে কৃষকরা পরবর্তী চাষ শুরু করতে পারতেন৷ কেন্দ্রীয় সরকার গত বছরের তুলনায় এবার ধানের সহায়কমূল্য অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ কিন্তু এখানে 10 শতাংশের বেশি কৃষক সেই সুবিধে পাননি ৷ বাকি ধান কম দামেই তাঁদের বিক্রি করতে হচ্ছে ৷ এবার আলু বীজের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে ৷ হিমঘরে আলুর বন্ড চাষিরা পায় না ৷ সব দালালরা কিনে নেয় ৷ কেন এমন হবে? কৃষকদের বাঁচাতেই প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন সংশোধন করেছেন ৷ এই আইনে কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছে মতো জায়গায় উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারবে ৷ কিন্তু এই আইনের বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷"

আরও পড়ুন : আজ অনশনে কৃষকরা, আন্দোলনকে সমর্থন করে ইস্তফা পঞ্জাবের ডিআইজির

তিনি আরও বলেন, "কৃষি আইনের সমর্থনে আমরা প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় 10-12 হাজার মানুষকে নিয়ে মিছিল করেছি ৷ কিন্তু দিদিমণি এই আইনের বিরোধিতায় শুধুমাত্র কলকাতায় কিছু দালালকে নিয়ে মিছিল করেছেন ৷ কারণ, কৃষকরা তাঁর সঙ্গে নেই ৷ আজ দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন চলছে ৷ সেখানে শুধুমাত্র পঞ্জাবের সমস্যা ৷ পঞ্জাবে এমন 40 হাজার দালাল আছে ৷ বাদল গোষ্ঠী এক সময় আমাদের সঙ্গে ছিল ৷ তারা আমাদের থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ কারণ, বাদলের কোম্পানির বাৎসরিক ব্যবসা পাঁচ হাজার কোটি টাকার ৷ তারা চাষিদের কাছ থেকে 1200 টাকায় ধান কিনে 1800 টাকায় বিক্রি করে৷ এভাবে প্রতিটি ফসল নিয়ে তারা ব্যবসা করে ৷ কেন্দ্রীয় সরকার 10টি ফসলে সহায়কমূল্য দেয় ৷ কিন্তু এরা চাষিদের ঠকানোর জন্য ফাঁদ পেতে বসে আছে ৷ নতুন কৃষি আইনে এই দালালদের সমস্যা হয়ে গিয়েছে ৷ তাই তারা চিৎকার করছে ৷ সেখানে যে কংগ্রেস নেতা নেতৃত্ব দিচ্ছে, সে 350 কোটি টাকার মালিক ৷ সে নাকি চাষি ! তার নাকি এই আইনে ক্ষতি হচ্ছে ৷ এই আইনে চাষিরা বাঁচবে ৷ দেশের যে অংশে ধান চাষ হয়, সেসব জায়গায় চাষিদের কোনও আন্দোলন নেই ৷ শুধুমাত্র পঞ্জাব আর হরিয়ানায় ৷ আর আমাদের দিদিমণি এই দালালদেরই সমর্থন করছেন ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.