মালদা, 28 মে : জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মানিকচক ব্লক ৷ মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বালুটোলায় ৷ দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে চলে ব্যাপক বোমাবাজি ৷ 8-10টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ উঠেছে ৷ বিবাদমান দুই গোষ্ঠীই তৃণমূল আশ্রিত বলে জানা গিয়েছে (Bombing between TMC groups over land dispute at Manikchak) ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মানিকচক থানার পুলিশবাহিনী ৷ গ্রামে শুরু হয়েছে পুলিশি টহল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চৌকি মীরদাদপুর এলাকায় একটি জমির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে বালুটোলা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সইফুদ্দিন এবং নাসির শেখের মধ্যে ৷ সইফুদ্দিন তৃণমূল পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ৷ নাসির তৃণমূলেরই গোপালপুর অঞ্চল সভাপতি। প্রায় 64 বিঘা আম বাগান নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সইফুদ্দিন আর নাসিরের গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে বলে খবর। আজ সেই বিবাদ সংঘর্ষের রূপ নেয়। দফায় দফায় চলে বোমাবাজি। বোমার সঙ্গে গুলিও চলেছে বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ ঘটনায় দু’পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে ৷
সইফুদ্দিনের অভিযোগ, "চৌকি মীরদাদপুরে দুটি আমবাগান আমি রঞ্জিত ঝা ও সঞ্জিত ঝা-এর থেকে কিনে নিয়েছি। এখন গোপালপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি এবং তাঁর দলবল ওই জমি দখল করার চেষ্টা করছে ৷ ওরা আমার জমির ফসল কেটে দিচ্ছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এরা এলাকায় জমির মাফিয়াগিরি চালাচ্ছে। আজ ভোরে ওরা বোমা-পিস্তল নিয়ে আমাদের লোকজনের বাড়ি আক্রমণ করে। ওদের ভয়ে আমাদের লোকজন ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ওরা আমাদের বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করেছে ৷"
আরও পড়ুন : জমি বিবাদ, সালিশি সভায় মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
অন্যদিকে নাসিরের বক্তব্য, "আজ সকালে হঠাৎ করে জানতে পারি সইফুদ্দিন আর নেপাল চৌধুরীর নির্দেশে কিছু বহিরাগত লোকজন এলাকায় বোমাবাজি শুরু করেছে ৷ ওরা আমাদের 12-14 জনের বাড়ি ভাঙচুর করে। আমাদের একজন কর্মী বোমার আঘাতে আহতও হয়েছেন ৷ আমি জমি বিবাদ নিয়ে কিছুই জানি না। এটা সইফুদ্দিনই ভাল বলতে পারবে। সে এলাকার একজন মাফিয়া। সে কোন পদে রয়েছে আমি জানি না। এর আগেও সে জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে এখন ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে ৷"