মালদা, 14 মার্চ : বোমা বিস্ফোরণে আহত 5 তৃণমূলকর্মী ৷ গতকাল রাতে কালিয়াচক থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দুই শত বিঘি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে ৷ বিস্ফোরণে আহত একজনের অবস্থা গুরুতর ৷ তাঁকে মালদা শহরের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছে ৷ বাকিরা মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি ৷
এবিষয়ে তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মতিউর রহমান বলেন, "বৈষ্ণবনগর ব্লকে দলীয় বৈঠক ছিল ৷ বৈঠক শেষ হতে রাত হয়ে যায় ৷ আমি ঘরে ফিরছিলাম ৷ ফেরার পথে দুই শত বিঘি স্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকানে আমরা 4-5 জন বেঞ্চে বসেছিলাম ৷ 2-3 জন দাঁড়িয়েছিল ৷ সবাই তৃণমূলের ৷ দোকানটি মাটি থেকে একটি উঁচুতে ৷ কংক্রিটের স্ল্যাবের উপর তৈরি ৷ মিনিট পনেরোর মধ্যেই সেই স্ল্যাবের নিচে বোমা বিস্ফোরণ হয় ৷ তার আওয়াজের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, ওই বোমা যদি উপরে বিস্ফোরণ হত, তবে আমরা কেউ প্রাণে বাঁচতাম না ৷ ঘটনায় 6-7 জন জখম হয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর ৷ তাঁকে শহরের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছে ৷ তাঁর নাম আকবর আলি ৷ বাড়ি মোহব্বতপুর গ্রামে ৷ বাকিদের মালদা মেডিকেলে ভরতি করা হয়েছে ৷ কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বুঝতে পারছি না ৷ তবে আমাদের ধারণা, রাজনৈতিক কারণেই আমাদের উদ্দেশ্য করে এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে ৷ গোটা বিষয়টি কালিয়াচক থানার পুলিশকে জানিয়েছি ৷ "
কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, " ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ তবে কে বা কারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি ৷ ঘটনাস্থান থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ বৃষ্টিতে তদন্তের কাজ কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে ৷ তবে দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে ৷ " অন্যদিকে, মালদা মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, আহতরা প্রত্যেকেই আপাতত বিপন্মুক্ত ৷