মালদা, 14 জুলাই: মালদা চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোপালপুর প্রাইমারি স্কুল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র ছিল। সেই বুথে অশান্তির খবরও সামনে এসেছিল ৷ ভোটপর্ব মিটে গেলেও শুক্রবার স্কুল চত্বর থেকে উদ্ধার হয়েছে দু'টি বোমা ৷ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ বোমা নিষ্ক্রিয় করতে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াডও ৷
গোপালপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক তপনজ্যোতি মণ্ডল বলেন, "স্কুলে এসে দেখি বোমা পড়ে রয়েছে। পুলিশ এসেছে। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে। বম্ব স্কোয়াড এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যাবে। কারা এখানে বোমা রেখেছে তা বলতে পারব না। আমি ভোট নিতে অন্য স্কুলে গিয়েছিলাম। এখানেও ভোট নেওয়া হয়েছিল। ভোটের দিন এখানে গণ্ডগোল হয়। ফের পুনর্নির্বাচনও হয়।"
কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, এই প্রশ্নে শিক্ষক তপনজ্যোতি বলেন, "সম্ভবত দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস করতে বোমা রেখেছিল। এখনও পর্যন্ত স্কুলের ভেতরে দু'টি বোমা পাওয়া গিয়েছে। যখন স্কুল শুরু হয়, তখন স্কুল বেহাল অবস্থায় ছিল। ফ্যান ভেঙে দেওয়া হয়েছে, জানালা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, স্কুলের বেঞ্চ খোয়া গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা ভীষণ আতঙ্কিত। আমরা চাইছি প্রশাসন নিজের দায়িত্ব পালন করুক। পুরো স্কুল চত্বরে তল্লাশি চালিয়ে আরও বোমা মজুত করা থাকলে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হোক। শুক্রবার স্কুল শুরু হওয়ার আগেই খবর ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে বাচ্চারা কেউ স্কুলে আসেনি।"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে ঘররক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় মালদায় প্রশ্নের মুখে দুই মন্ত্রীর ক্যারিশমা
প্রসঙ্গত, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বোমাবাজির অভিযোগ এসেছিল। ভোটকেন্দ্রে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোপালপুর প্রাইমারি স্কুলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র হয়েছিল। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ভোটে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছে। বোমাবাজি হয় স্কুল চত্বর অর্থাৎ ভোটকেন্দ্রেও। চলে দেদার ছাপ্পা। পুনর্নির্বাচনও হয় ৷ তবে ভোটপর্ব মিটে গেলেও স্কুল চত্বরে বোমা মেলায় আতঙ্কিত সকলেই ৷