ETV Bharat / state

তিন মাস ধরে বন্ধ ফেরি চলাচল, সমস্যায় মহানন্দার দু'পাড়ের মানুষ - boat service closed at mahananda river

গতবছর মহাপঞ্চমীর সন্ধেয় জগন্নাথপুরে মহানন্দায় নৌকাডুবি কেড়ে নিয়েছিল ন’টি প্রাণ । প্রশাসনের তরফে বন্ধ করা হয়েছিল ফেরি চলাচল । যা চালু হয়নি এখনও । সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ ।

mahanda boat service interrupted
জগন্নাথপুরে মহানন্দায় নৌকাডুবির পর বন্ধ ফেরি চলাচল, সমস্যায় দু'পাড়ের মানুষ
author img

By

Published : Mar 3, 2020, 2:01 AM IST

Updated : Mar 3, 2020, 2:56 AM IST

মালদা, 3 মার্চ : দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছিল তখন ৷ মহাপঞ্চমীর সন্ধে পেরিয়েছে সবে ৷ উৎসবের সেই মুহূর্তে চাঁচলের বাতাস ভারি হয়ে গিয়েছিল শোকের আবহে ৷ জগন্নাথপুরে মহানন্দায় নৌকাডুবি কেড়ে নিয়েছিল ন’টি তাজা প্রাণ ৷ তার স্মৃতি এখনও দগদগে এলাকাবাসীর মনে৷ সময় যত পেরিয়েছে, শোক ছেড়ে স্বাভাবিক হয়েছে জগন্নাথপুর ৷ নৌকাডুবির সেই ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহানন্দার ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ যা এখনও চালু হয়নি ৷ যাতে প্রবল সমস্যায় পড়েছে মহানন্দার দু’পাড়ের মানুষ ৷ দু’পাড়ের গ্রামগুলির স্বাভাবিক কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ তুলছে তারা ৷

মহাপঞ্চমীর রাতে চাঁচলের জগন্নাথপুর ঘাট থেকে সামান্য দূরে মহানন্দায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে ৷ সেই ঘটনায় সলিলসমাধি হয় নয়জনের ৷ ফলে প্রশাসনের নির্দেশে মাস তিনেক ধরে বন্ধই রয়েছে সেই ফেরিঘাট ৷ এতে প্রবল সমস্যায় পড়েছে নদীর দুই পাড়ের মানুষ ৷ একসময় ঘাটের দুই পাড় মানুষজনের ভিড়ে গমগম করত ৷ নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছিল বাজার ৷ এখন সেই বাজারে ধুলো উড়ছে ৷ লোকজনের দেখা নেই বললেই চলে ৷ শুধু তাই নয়, দুই পাড়ের অনেক মানুষের কৃষিজমি রয়েছে নদীর অন্যদিকে ৷ সমস্যায় পড়েছে তারাও ৷ একইভাবে সমস্যায় পড়েছে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাও ৷

এবিষয়ে জগন্নাথপুরের বাসিন্দা সাবেদ আলি বলেন, “আমাদের কৃষিজমি নদীর ওপারে মুকুন্দপুরে ৷ তিন মাস ধরে নৌকা চলাচল বন্ধ ৷ ওপারে যেতে হলে সাঁতরে নদী পেরোতে হয় ৷ এভাবে কত আর ওপারে যাওয়া যায় ৷ ঘাটে নৌকা চলাচল শুরু না হলে আমাদের ভীষণ সমস্যা হচ্ছে ৷ নদীর ঘাটে আমার দোকান রয়েছে ৷ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বললেই চলে ৷ দিনভর দোকানে বসে সময় কাটাচ্ছি ৷ আমরা চাই, ঘাটে দ্রুত ফেরি চলাচল শুরু করা হোক ৷”

একই বক্তব্য মুকুন্দপুরের বাসিন্দা আজিজুর রহমানের ৷ তিনি বলেন, “ওপারে কৃষিজমি রয়েছে আমার ৷ নৌকার অভাবে নিয়মিত জমিতে যেতে পারছি না ৷ পলিথিনে ফসল বেঁধে নদীতে ভাসিয়ে এপারে নিয়ে আসতে হচ্ছে ৷ বাচ্চারাও স্কুল, কলেজে যেতে সমস্যায় পড়ছে ৷ ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ এখানে একটি স্কুল আছে ৷ নৌকার অভাবে শিক্ষকদের অনেক ঘুরপথে স্কুলে আসতে হচ্ছে ৷ আমরা চাই, যতদিন না ব্রিজ হচ্ছে, ততদিনের জন্য নৌকা চালু করা হোক৷” আরেক বাসিন্দা তারাপদ সাহা বলেন, “ওপারে আমার প্রায় সাত বিঘা জমি আছে৷ ধান কাটার সময় হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু ধান কাটতে যেতে পারছি না ৷ মুকুন্দপুর ঘাটে আমার দোকান ৷ দোকানের ব্যবসা প্রায় বন্ধ ৷ সংসার চালানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন ৷ আগে ব্যবসা খুব ভালো চলত ৷”

এই ব্যাপারে চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় বলেন, “জগন্নাথপুর ঘাট আগে চাঁচল পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ছিল ৷ তবে বর্তমানে সেটি জেলা পরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘাটে ফেরি চলাচল কবে শুরু হবে তা জেলা পরিষদই বলতে পারবে ৷” জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন যে, খুব দ্রুতই ওই ঘাটে ফেরি চলাচল শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে ৷ ঘাটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মাসখানেকের মধ্যেই সেখানে ফেরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে ৷

মালদা, 3 মার্চ : দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছিল তখন ৷ মহাপঞ্চমীর সন্ধে পেরিয়েছে সবে ৷ উৎসবের সেই মুহূর্তে চাঁচলের বাতাস ভারি হয়ে গিয়েছিল শোকের আবহে ৷ জগন্নাথপুরে মহানন্দায় নৌকাডুবি কেড়ে নিয়েছিল ন’টি তাজা প্রাণ ৷ তার স্মৃতি এখনও দগদগে এলাকাবাসীর মনে৷ সময় যত পেরিয়েছে, শোক ছেড়ে স্বাভাবিক হয়েছে জগন্নাথপুর ৷ নৌকাডুবির সেই ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহানন্দার ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ যা এখনও চালু হয়নি ৷ যাতে প্রবল সমস্যায় পড়েছে মহানন্দার দু’পাড়ের মানুষ ৷ দু’পাড়ের গ্রামগুলির স্বাভাবিক কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ তুলছে তারা ৷

মহাপঞ্চমীর রাতে চাঁচলের জগন্নাথপুর ঘাট থেকে সামান্য দূরে মহানন্দায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে ৷ সেই ঘটনায় সলিলসমাধি হয় নয়জনের ৷ ফলে প্রশাসনের নির্দেশে মাস তিনেক ধরে বন্ধই রয়েছে সেই ফেরিঘাট ৷ এতে প্রবল সমস্যায় পড়েছে নদীর দুই পাড়ের মানুষ ৷ একসময় ঘাটের দুই পাড় মানুষজনের ভিড়ে গমগম করত ৷ নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছিল বাজার ৷ এখন সেই বাজারে ধুলো উড়ছে ৷ লোকজনের দেখা নেই বললেই চলে ৷ শুধু তাই নয়, দুই পাড়ের অনেক মানুষের কৃষিজমি রয়েছে নদীর অন্যদিকে ৷ সমস্যায় পড়েছে তারাও ৷ একইভাবে সমস্যায় পড়েছে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাও ৷

এবিষয়ে জগন্নাথপুরের বাসিন্দা সাবেদ আলি বলেন, “আমাদের কৃষিজমি নদীর ওপারে মুকুন্দপুরে ৷ তিন মাস ধরে নৌকা চলাচল বন্ধ ৷ ওপারে যেতে হলে সাঁতরে নদী পেরোতে হয় ৷ এভাবে কত আর ওপারে যাওয়া যায় ৷ ঘাটে নৌকা চলাচল শুরু না হলে আমাদের ভীষণ সমস্যা হচ্ছে ৷ নদীর ঘাটে আমার দোকান রয়েছে ৷ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বললেই চলে ৷ দিনভর দোকানে বসে সময় কাটাচ্ছি ৷ আমরা চাই, ঘাটে দ্রুত ফেরি চলাচল শুরু করা হোক ৷”

একই বক্তব্য মুকুন্দপুরের বাসিন্দা আজিজুর রহমানের ৷ তিনি বলেন, “ওপারে কৃষিজমি রয়েছে আমার ৷ নৌকার অভাবে নিয়মিত জমিতে যেতে পারছি না ৷ পলিথিনে ফসল বেঁধে নদীতে ভাসিয়ে এপারে নিয়ে আসতে হচ্ছে ৷ বাচ্চারাও স্কুল, কলেজে যেতে সমস্যায় পড়ছে ৷ ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ এখানে একটি স্কুল আছে ৷ নৌকার অভাবে শিক্ষকদের অনেক ঘুরপথে স্কুলে আসতে হচ্ছে ৷ আমরা চাই, যতদিন না ব্রিজ হচ্ছে, ততদিনের জন্য নৌকা চালু করা হোক৷” আরেক বাসিন্দা তারাপদ সাহা বলেন, “ওপারে আমার প্রায় সাত বিঘা জমি আছে৷ ধান কাটার সময় হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু ধান কাটতে যেতে পারছি না ৷ মুকুন্দপুর ঘাটে আমার দোকান ৷ দোকানের ব্যবসা প্রায় বন্ধ ৷ সংসার চালানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন ৷ আগে ব্যবসা খুব ভালো চলত ৷”

এই ব্যাপারে চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় বলেন, “জগন্নাথপুর ঘাট আগে চাঁচল পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ছিল ৷ তবে বর্তমানে সেটি জেলা পরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘাটে ফেরি চলাচল কবে শুরু হবে তা জেলা পরিষদই বলতে পারবে ৷” জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন যে, খুব দ্রুতই ওই ঘাটে ফেরি চলাচল শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে ৷ ঘাটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মাসখানেকের মধ্যেই সেখানে ফেরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে ৷

Last Updated : Mar 3, 2020, 2:56 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.