ETV Bharat / state

Panchayat Board Formation: সিপিআইএম সদস্যকে অপহরণ ! জনরোষে স্থগিত বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন - বোর্ডই গঠন

Board Formation at Babupur Gram Panchayat Postpone: জনরোষের কারণে স্থগিত বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ৷ অভিযোগ সিপিআইএম সদস্য দিপালী বেসরা এবং তাঁর পরিবারকে অপহরণ করেছে তৃণমূল ৷ জবরদস্তি তাঁকে দিয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করিয়ে বোর্ড গঠন করানো হচ্ছে ৷

Panchayat Board Formation ETV BHARAT
Panchayat Board Formation
author img

By

Published : Aug 11, 2023, 9:00 PM IST

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ হঠাতে পুলিশের লাঠিচার্জ বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে

মালদা, 11 অগস্ট: বোর্ডই গঠন করা গেল না গাজোলের বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷ বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চায়েত দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়, 10 দিনের মধ্যে সেখানে বোর্ড গঠন করা হবে ৷ পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে হয়ে ওঠে এলাকা ৷ যার জেরে গতকাল রাতে মালদার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত দফতর সংলগ্ন এলাকায় চলে অভিযান ৷ সেখানে উপস্থিত মানুষজনকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিও চালায় পুলিশ ৷ যদিও এ নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

বৃহস্পতিবার বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের কথা ছিল ৷ কিন্তু, বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গতকাল ওই এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ৷ গ্রামবাসীদের দাবি, ওই পঞ্চায়েতের 61 নম্বর বুথের জয়ী, ঝাড়খণ্ড দিশম সমর্থিত সিপিআইএম সদস্য দিপালী বেসরাকে অপহরণ করেছে তৃণমূল ৷ অপহরণ করা হয়েছে দিপালীর স্বামী বিশ্বজিৎ মুর্মু এবং তাঁদের দু’বছরের ছেলে সুব্রতকে ৷ 19 জুলাই এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ ৷ মেয়ে-জামাই আর নাতিকে ফিরে পেতে দিপালীর মা মংলি হেমব্রম গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ কিন্তু, অভিযোগ পুলিশ দিপালীদের উদ্ধার করতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ৷ এরই মধ্যে তৃণমূলের লোকজন তাদের গোপন ডেরায় দিপালীর হাতে জোর করে দলীয় ঝান্ডা ধরিয়ে দেয় ৷ পরিবার-সহ দীপালিকে উদ্ধারের দাবিতে 31 জুলাই গাজোল থানা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির সমর্থকরা ৷

গতকালও বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে হাজির হন অন্তত আড়াই হাজার গ্রামবাসী ৷ তারা প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ তখনই জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ৷ এতে হিতে বিপরীত হয় ৷ গ্রামবাসীদের রোষ আছড়ে পড়ে পুলিশের উপর ৷ অভিযোগ পুলিশকে লক্ষ্য করে মারমুখী হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা ৷

পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, সেখান থেকে একসময় পুলিশকর্মীদের পালিয়ে যেতে হয় ৷ জনতার মারে হাত ভাঙে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ৷ পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় রাত 8টা পর্যন্ত বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা যায়নি ৷ শেষ পর্যন্ত ব্লক দফতরের আধিকারিকরা মাইকে ঘোষণা করেন, বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন স্থগিত করা হল ৷ আগামী 10দিনের মধ্যে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা হবে ৷

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে রণক্ষেত্র গাজোল, আক্রান্ত পুলিশ

এই ঘোষণার পরেই পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের নেতৃত্বে বাবুপুর গ্রামে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷ তখনও পঞ্চায়েত দফতরের সামনে বেশ কিছু মানুষের ভিড় ছিল ৷ তাঁদের অধিকাংশই বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থক ছিল ৷ এলাকায় ঢুকেই মানুষজনকে সরাতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে গোটা এলাকা ফাঁকা হয়ে যায় ৷ তবে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছে গাজোল থানার আধিকারিকরা ৷

বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 12টি আসন ৷ নির্বাচনী ফলাফলে তৃণমূল 5টি, সিপিআইএম 3টি, কংগ্রেস 2টি, বিজেপি একটি এবং বাম-কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী একটি আসনে জয় পান ৷ ফলে এখানে তৃণমূল বিরোধী জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠ ৷ কিন্তু, দিপালী বেসরা যদি সত্যিই তৃণমূলকে সমর্থন করেন, তাহলে দু’পক্ষের হাতে থাকবে 6টি করে আসন ৷ সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত প্রধান টসে নির্বাচিত হবেন ৷ কিন্তু, তারও আগে প্রশ্ন, পরবর্তী যেদিন এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিন ধার্য করা হবে ৷ সেদিনও গতকালের মতো পরিস্থিতি হবে না তো ? যদিও, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওই গ্রামের বাসিন্দারা দিপালীকে তাঁর পুরোনো দলে ফিরিয়ে আনতে এককাট্টা হয়েছে ৷

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ হঠাতে পুলিশের লাঠিচার্জ বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে

মালদা, 11 অগস্ট: বোর্ডই গঠন করা গেল না গাজোলের বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷ বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চায়েত দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়, 10 দিনের মধ্যে সেখানে বোর্ড গঠন করা হবে ৷ পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে হয়ে ওঠে এলাকা ৷ যার জেরে গতকাল রাতে মালদার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত দফতর সংলগ্ন এলাকায় চলে অভিযান ৷ সেখানে উপস্থিত মানুষজনকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিও চালায় পুলিশ ৷ যদিও এ নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

বৃহস্পতিবার বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের কথা ছিল ৷ কিন্তু, বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গতকাল ওই এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ৷ গ্রামবাসীদের দাবি, ওই পঞ্চায়েতের 61 নম্বর বুথের জয়ী, ঝাড়খণ্ড দিশম সমর্থিত সিপিআইএম সদস্য দিপালী বেসরাকে অপহরণ করেছে তৃণমূল ৷ অপহরণ করা হয়েছে দিপালীর স্বামী বিশ্বজিৎ মুর্মু এবং তাঁদের দু’বছরের ছেলে সুব্রতকে ৷ 19 জুলাই এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ ৷ মেয়ে-জামাই আর নাতিকে ফিরে পেতে দিপালীর মা মংলি হেমব্রম গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ কিন্তু, অভিযোগ পুলিশ দিপালীদের উদ্ধার করতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ৷ এরই মধ্যে তৃণমূলের লোকজন তাদের গোপন ডেরায় দিপালীর হাতে জোর করে দলীয় ঝান্ডা ধরিয়ে দেয় ৷ পরিবার-সহ দীপালিকে উদ্ধারের দাবিতে 31 জুলাই গাজোল থানা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির সমর্থকরা ৷

গতকালও বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে হাজির হন অন্তত আড়াই হাজার গ্রামবাসী ৷ তারা প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ তখনই জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ৷ এতে হিতে বিপরীত হয় ৷ গ্রামবাসীদের রোষ আছড়ে পড়ে পুলিশের উপর ৷ অভিযোগ পুলিশকে লক্ষ্য করে মারমুখী হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা ৷

পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, সেখান থেকে একসময় পুলিশকর্মীদের পালিয়ে যেতে হয় ৷ জনতার মারে হাত ভাঙে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ৷ পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় রাত 8টা পর্যন্ত বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা যায়নি ৷ শেষ পর্যন্ত ব্লক দফতরের আধিকারিকরা মাইকে ঘোষণা করেন, বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন স্থগিত করা হল ৷ আগামী 10দিনের মধ্যে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা হবে ৷

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে রণক্ষেত্র গাজোল, আক্রান্ত পুলিশ

এই ঘোষণার পরেই পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের নেতৃত্বে বাবুপুর গ্রামে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷ তখনও পঞ্চায়েত দফতরের সামনে বেশ কিছু মানুষের ভিড় ছিল ৷ তাঁদের অধিকাংশই বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থক ছিল ৷ এলাকায় ঢুকেই মানুষজনকে সরাতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে গোটা এলাকা ফাঁকা হয়ে যায় ৷ তবে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছে গাজোল থানার আধিকারিকরা ৷

বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 12টি আসন ৷ নির্বাচনী ফলাফলে তৃণমূল 5টি, সিপিআইএম 3টি, কংগ্রেস 2টি, বিজেপি একটি এবং বাম-কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী একটি আসনে জয় পান ৷ ফলে এখানে তৃণমূল বিরোধী জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠ ৷ কিন্তু, দিপালী বেসরা যদি সত্যিই তৃণমূলকে সমর্থন করেন, তাহলে দু’পক্ষের হাতে থাকবে 6টি করে আসন ৷ সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত প্রধান টসে নির্বাচিত হবেন ৷ কিন্তু, তারও আগে প্রশ্ন, পরবর্তী যেদিন এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিন ধার্য করা হবে ৷ সেদিনও গতকালের মতো পরিস্থিতি হবে না তো ? যদিও, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওই গ্রামের বাসিন্দারা দিপালীকে তাঁর পুরোনো দলে ফিরিয়ে আনতে এককাট্টা হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.